উত্তর :প্রথমতঃ দৃষ্টি অবনমিত রাখবে এবং কোন গায়ের মাহরাম নারীর দিকে কামনার দৃষ্টিতে তাকাবেনা। আল্লাহ বলেন, ‘তুমি মুমিন পুরুষদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে’ (নূর ২৪/৩০)। অনুরূপভাবে নারীরাও এমন পোষাক পরে চলাফেরা করবে না, যাতে পুরুষ তাদের প্রতি প্রলুব্ধ হয়। আল্লাহ বলেন, ‘আর তুমি মুমিন নারীদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহের হেফাযত করে। আর তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে কেবল যেটুকু প্রকাশ পায় সেটুকু ব্যতীত। আর তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বুকের উপর রাখে।... আর তারা যেন এমনভাবে চলাফেরা না করে যাতে তাদের গোপন সৌন্দর্য প্রকট হয়ে পড়ে’ (নূর ২৪/৩১)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘চোখের যেনা হ’ল (বেগানা) নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা’ (বুখারী হা/৬২৪৩; মুসলিম হা/২৬৫৭; মিশকাত হা/৮৬)। দ্বিতীয়তঃ কুচিন্তা থেকে সাধ্যমত মুক্ত থাকবে এবং কুচিন্তার উদ্রেক হয় এমন যাবতীয় কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখবে। বিশেষতঃ আধুনিক যুগের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার কুপ্রভাব থেকে নিজেকে সর্বোতভাবে হেফাযত করবে। আল্লাহ বলেন, প্রকাশ্যে হোক কিংবা গোপনে হোক, অশ্লীল কাজ ও আচরণের নিকটবর্তীও হয়ো না (আন‘আম ৬/১৫১) তৃতীয়তঃ সম্ভব হ’লে দ্রুত বিবাহ করবে। কারণ বিবাহ ব্যক্তিকে যেনা থেকে হেফাযত করে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিবাহ করার সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে। কারণ এটা তার দৃষ্টিকে অবনমিত রাখে, লজ্জাস্থানকে হেফাযত করে। আর যে সামর্থ্য রাখে না সে যেন ছিয়াম পালন করে। কারণ এটা তার জন্য ঢালস্বরূপ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩০৮০)

চতুর্থতঃ সর্বদা আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবে। এজন্য নিম্নোক্ত দো‘আগুলো পাঠ করা যেতে পারে-اَللَّهُمَّ اغْفِرْ ذَنْبِيْ وَطَهِّرْ قَلْبِيْ وَحَصِّنْ فَرْجِيْ ‘আল্ল-হুম্মাগফির যানবী ওয়া তাহহির ক্বালবী ওয়া হাছছিন ফারজী’ (হে আল্লাহ! তুমি আমার গুনাহ ক্ষমা কর, আমার হৃদয়কে পবিত্র কর এবং আমার লজ্জাস্থানকে হেফাযত কর)। রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে এক যুবক যেনা করার অনুমতি চাইলে তিনি তার জন্য এই দো‘আ করেন (আহমাদ হা/২২২৬৫; ছহীহাহ হা/৩৭০)। অথবা اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِي، وَمِنْ شَرِّ بَصَرِي، وَمِنْ شَرِّ لِسَانِي، وَمِنْ شَرِّ قَلْبِي، وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّي، ‘আল্ল-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন শার্রি সামঈ ওয়ামিন শার্রি বাছারী অমিন শার্রি লিসানী ওয়ামিন শার্রি ক্বালবী ওয়ামিন শার্রি মানিইঈ (হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাই আমাদের কর্ণ, চক্ষু, জিহবা ও আমাদের অন্তরের অনিষ্ট হ’তে এবং আমার শুক্র অবৈধ স্থানে পতিত হওয়া থেকে) (আবুদাঊদ হা/১৫৫১; তিরমিযী হা/৩৪৯২; মিশকাত হা/২৪৭২; ছহীহুল জামে‘ হা/১২৯২, ৪৩৯৯)

প্রশ্নকারী : তরীকুল ইসলাম, কুমিল্লা। 








বিষয়সমূহ: পাপ
প্রশ্ন (২/৪৪২) : ইবরাহীম (আঃ) কি ইসমাঈলকে কুরবানী করেছিলেন, না ইসহাককে? দলীল ভিত্তিক জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৮/৪৪৮) : কালেমা দিনে কত বার পড়তে হবে। দলীল ভিত্তিক জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৬/১১৬): পোষাক থাকা সত্ত্বেও ছেলেরা খালি গায়ে থাকতে পারে কি এবং খালি গায়ে ওযূ করতে পারে কি?
প্রশ্ন (১৭/৪১৭) : মসজিদে ঈদের ছালাত আদায় করতে হলে তাহ্ইয়াতুল ওযূ ও তাহ্ইয়াতুল মসজিদ আদায় করতে হবে কি? - -ছফিউল্লাহ খান, কাঞ্চন, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৮/৪৫৮) : আমি দশ বছর পূর্বে স্বামী থেকে একটি কন্যাসহ তালাকপ্রাপ্তা হয়েছি। পরে আমি অন্যত্র বিবাহিতা হই। আমার দ্বিতীয় স্বামী আমার মেয়েকে প্রতিপালন করে। এক্ষণে আমার মেয়ের বিয়েতে আমি বা তার পালক পিতা কি অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতে পারবে? পূর্বের স্বামী দাবী করলে করণীয় কী? - -কামরুন নাহার, রসূলপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (২৯/৬৯): কুরবানীর পশু ক্রয়ের পর খুঁতযুক্ত হয়ে গেলে সে পশু দিয়ে কুরবানী হবে কি?
প্রশ্ন (২১/১৪১) : কোন মুসলিম নারী প্রসাধনী হিসাবে সিঁদুর ব্যবহার করতে পারবে কি? যদি তার স্বামী পসন্দ করে তথা স্বামীকে খুশি করার জন্যে কি ব্যবহার করা জায়েয হবে?
প্রশ্ন (২০/৩৮০) : আমি মানুষের বসার সুবিধার্থে গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে দু’টি বসার স্থান তৈরী করে দিয়েছি। কিন্তু অনেকের অভিযোগ যে, সেখানে বসে ভালো-মন্দ উভয় কাজই হয়, তাই এটা উঠিয়ে ফেলা উচিৎ। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (১৮/১৩৮): ফেরেশতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৯/৩৯) : ক্রোধ নিবারণের জন্য অনেকে কানফুল দিয়ে থাকে। অনেকে ওযূ করতে বলে। এগুলো শরী‘আতসম্মত কি?
প্রশ্ন (১৬/২১৬) : আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেছেন, ‘আমাকে নবী করীম (ছাঃ) দু’টি বস্ত্ত দিয়েছেন। একটি প্রকাশ করেছি। অপরটি প্রকাশ করলে আমার গর্দান কাটা যাবে। তিনি কি ইলমে তাছাউফের জ্ঞান গোপন করেছিলেন, যেমনটি অনেকে বলে থাকেন? - -মুজাহিদুল ইসলাম, সি এ্যান্ড বি ঘাট, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।
প্রশ্ন (২২/১৮২) : কুরআন পাঠরত অবস্থায় কিছুক্ষণ বিরতি নেওয়ার পর পুনরায় কোন আয়াত থেকে পাঠ শুরু করলে ‘আ‘ঊযুবিল্লাহ’ না ‘বিসমিল্লাহ’ দিয়ে শুরু করতে হবে? এছাড়া বক্তব্যের মাঝে বা কোন কুরআনী দো‘আ পাঠের শুরুতে কিছু পাঠ করতে হবে কি?
আরও
আরও
.