উত্তর : ইফতারের বিষয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা হ’ল- সূর্যাস্তের সাথে সাথে ছায়েম ইফতার করবে (বু. মু. মিশকাত হা/১৯৮৫)। তিনি ইশারা দিয়ে বলেন, যখন এদিক হ’তে রাত্রি আগমন করবে এবং এদিক হ’তে দিন প্রস্থান করবে এবং সূর্য অস্ত যাবে, তখনই ছায়েম ইফতার করবে’ (বুখারী হা/১৯৫৪, মিশকাত হা/১৯৮৫ ‘ছিয়াম’ অধ্যায়, ‘বিবিধ মাসায়েল’ অনুচ্ছেদ)। অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন, ‘দ্বীন ততদিন বিজয়ী থাকবে, যতদিন লোকেরা তাড়াতাড়ি ইফতার করবে। কেননা ইহূদী-নাছারারা দেরীতে ইফতার করে’ (আবুদাউদ হা/২৩৫৩)। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে সূর্যাস্ত হ’লেই ছায়েম ইফতার করবে। এক্ষণে কেউ যদি অতি উৎসাহী হয়ে স্থানীয় সময়কে গুরুত্ব না দিয়ে তাড়াহুড়া করে ইফতার করে, তাহ’লে তার জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আমি জাহান্নাম পরিদর্শনে গিয়ে দেখলাম একদল লোক তাদের পায়ের গোড়ালির উপর মোটা শিরায় (বাঁধা অবস্থায়) লটকানো আছে, তাদের কেশগুলো কেটে ও ছিঁড়ে আছে এবং কেশ বেয়ে রক্তও ঝরছে। নবী করীম (ছাঃ) বলেন, আমি বললাম, ওরা কারা? তাঁরা বললেন, ওরা হ’ল তারা ঐসব লোক; যারা সময় হওয়ার পূর্বেই ইফতার করে নিত (হাকেম হা/১৫৬৮; ছহীহাহ হা/৩৯৫১; ছহীহুত তারগীব হা/১০০৫)। অতএব দেরীতে ইফতার করে যেমন রাসূল (ছাঃ)-এর নির্দেশনা অমান্য করা ও ইহুদী-খৃষ্টানদের সাদৃশ্য অবলম্বন করা হবে, তেমনি সময়ের পূর্বে ইফতার করাও জাহান্নামী হওয়ার কারণ হবে। হাফেয ইবনু হাজার (রহঃ) বলেন, বিদ্বানগণ এ বিষয়ে একমত যে, সূর্য দেখে তা অস্ত যাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেলে বা ন্যায়পরায়ণ দু’জন বা একজন সাক্ষী সূর্যাস্তের ব্যাপারে সাক্ষ্য দিলে ছায়েম ইফতার করবে (ফাৎহুল বারী হা/১৯৫৭-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য; উছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/২২৬৭)।
প্রশ্নকারী : সাঈদ আহমাদ, মান্দা, নওগাঁ।