উত্তর : সন্তানের বিরুদ্ধে বদ দো‘আ করা সমীচীন নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নিজেদের জন্য বদ দো‘আ করো না, নিজ সন্তানদের বিরুদ্ধে বদ দো‘আ করো না এবং নিজেদের অর্থ-সম্পদের ব্যাপারে বদ দো‘আ করো না, যাতে তোমরা এমন এক সময়ে না পৌঁছে যাও, যে সময় দো‘আ করা হ’লে তা তোমাদের জন্য কবুল করা হয় (মুসলিম হা/৩০০৯, মিশকাত হা/২২২৯)। অর্থাৎ এর ফলে বদ দো‘আ কার্যকর হয়ে যেতে পারে। এক্ষণে কোন পিতা-মাতা যদি বদ দো‘আ করে মারা যান, তাহ’লে তাদের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতে হবে, দো‘আ করতে হবে, দান-ছাদাক্বা করতে হবে এবং পিতা-মাতার জীবদ্দশায় তাদের সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল এমন ব্যক্তিদের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘সবচেয়ে বড় নেকীর কাজ এই যে, ব্যক্তি তার পিতার মৃত্যুর পর তার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সদ্ব্যবহার করবে’ (আহমাদ হা/৫৬১২; ছহীহুল জামে‘ হা/১৫২৫)। তিনি বলেন, ‘কোন ব্যক্তির সর্বোত্তম নেকীর কাজ হচ্ছে তার পিতার বন্ধুজনের সঙ্গে সদাচরণের মাধ্যমে সম্পর্ক রক্ষা করা’ (মুসলিম হা/২৫৫২; মিশকাত হা/৪৯১৭)। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, ‘এ হাদীছ পিতা-মাতার মৃত্যুর পর তাদের আত্মীয়-স্বজন বা প্রিয় মানুষদের প্রতি সদাচরণকে সর্বোত্তম নেকীর কাজ হিসাবে আখ্যা দিয়েছে। আর এসব লোকের প্রতি সদাচরণের কারণ হ’ল তারা পিতা-মাতার বন্ধু-বান্ধব বা প্রিয় মানুষ’ (শরহ মুসলিম হা/২৫৫২-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য, ১৬/১০৯-১১০)।
প্রশ্নকারী : শরীফুল ইসলাম, গাংণী, মেহেরপুর।