উত্তর :
একজন আদর্শ স্ত্রীর কর্তব্য হ’ল স্বামীর সাথে ভালো ব্যবহার করা এবং তার
আনুগত্য করা। জনৈক মহিলা রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে কথা বলা সম্পন্ন করলে তিনি
তাকে বললেন, হে অমুক! তোমার স্বামী আছে কি? সে বলল, হ্যাঁ আছে। তিনি বললেন,
তুমি তার জন্য কেমন? সে বলল, আমি তার আনুগত্য ও খেদমতে কমতি করি না। তবে
যেটা করতে অসমর্থ হই তা ব্যতীত। রাসূল (ছাঃ) তখন বললেন, তুমি খেয়াল রেখ যে,
তুমি তার হৃদয়ের কোথায় অবস্থান করছ? কেননা সে তোমার জান্নাত ও জাহান্নাম (আহমাদ হা/১৯০২৫; ছহীহাহ হা/২৬১২)।
অন্যদিকে বিনা কারণে তালাক চাওয়া হারাম। কোন স্ত্রী এরূপ করলে তার জন্য জান্নাতের সুগন্ধি হারাম হয়ে যাবে (আবুদাঊদ হা/২২২৬ প্রভৃতি; মিশকাত হা/৩২৭৯)। অন্য বর্ণনায় রাসূল (ছাঃ) বলেন, যারা স্বামী থেকে পৃথক হ’তে চায় এবং যারা খোলা করতে চায়, তারা মুনাফিক’ (নাসাঈ হা/২৪৬১, মিশকাত হা/৩২৯০)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা তা করো না। কেননা আমি যদি কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ ছাড়া অপর কাউকে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহ’লে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করতে। সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! স্ত্রী তার স্বামীর হক আদায় না করা পর্যন্ত তার প্রভুর হক আদায় করতে সক্ষম হবে না (ইবনু মাজাহ হা/১৮৫৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৫২৯৫)।
অতএব স্ত্রীকে সাধ্যমত নছীহত করতে হবে এবং ধৈর্যের সাথে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা নারীদেরকে উত্তম নছীহত কর। কেননা নারী জাতিকে পুরুষের পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়গুলোর মধ্যে উপরের হাড়টি বেশী বাঁকা। তুমি যদি তা সোজা করতে যাও, তাহ’লে তা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি ছেড়ে দাও, তাহ’লে তা সব সময় বাঁকাই থাকবে। অতএব নারীদের নছীহত করতে থাক’ (বুখারী হা/৩৩৩১; মুসলিম হা/১৪৬৮; মিশকাত হা/৩২৩৮)। আর নিরূপায় অবস্থায় উপনীত হ’লে স্ত্রীকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে।
প্রশ্নকারী : নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রাজশাহী।