উত্তর : এ মর্মে তাফসীর গ্রন্থসমূহে কিছু বর্ণনা পাওয়া গেলেও সেগুলির সূত্র যঈফ ও মুনকার (সিলসিলা যঈফাহ হা/২৭৯-২৮১)। এছাড়া বিষয়টি কুরআন ও ছহীহ হাদীছেরও বিরোধী। কেননা ঈসা (আঃ) তাঁর পরবর্তী যে নবী সম্পর্কে সুসংবাদ দিয়েছেন তিনি ছিলেন ‘আহমাদ’ (ছাফ ৬১/০৬)।
অত্র আয়াতে ঈসার পরে নবী হিসাবে যার নাম উল্লেখ করা হয়েছে তিনি আহমাদ বা
মুহাম্মাদ (ছাঃ)। অনুরূপভাবে রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘ঈসা ইবনু মারইয়ামের সাথে
সম্পর্কের দিক দিয়ে লোকদের মধ্যে আমিই সর্বোত্তম। কারণ নবীগণ পিতার দিক
দিয়ে ভাই ভাই। আমার ও তার মধ্যে কোন নবী নেই’ (বুখারী হা/৩৪৪২; মুসলিম হা/২৩৬৫, নববী, আল-মাজমূ‘ ২/১০৪-৫)।
ইবনু কাছীর (রহঃ) বলেন, এই হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ঈসা (আঃ)-এর পর
খালিদ বিন সিনান নামে কোন নবীর আগমন ঘটেনি, যেমনটি কেউ কেউ বর্ণনা করেছেন (তাফসীর ইবনু কাছীর, তাফসীর আহযাব ৪০ আয়াত)।