উত্তর : এক্ষেত্রে বিধান হ’ল- প্রথমতঃ মুকুল আসার পূর্বে ফল বিক্রি করা জায়েয হবে না। কারণ জাবের (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ফল পরিপক্ক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এবং কয়েক বছরের মেয়াদে কোন গাছের বা বাগানের ফল বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন (বুখারী হা/২১৯৪-৯৬; মুসলিম হা/১৫৩৬; মিশকাত হা/২৮৪১; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৯৩২)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বলতো, আল্লাহ তা‘আলা যদি ফল নষ্ট করে দেন, তবে কিসের বিনিময়ে তোমার ভাইয়ের মাল গ্রহণ করবে’? (বুখারী হা/২২০৮; মুসলিম হা/১৫৫৫)। অতএব এরূপ অস্পষ্ট ও একপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাযুক্ত ক্রয়-বিক্রয় জায়েয নয়। বরং গাছের আম ‘মুযারাবা’ অংশীদারী চুক্তিতে বর্গা দিতে পারে (মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/২৫৩৪-৩৫; ইরওয়া ৫/২৯২, হা/১৪৬৯-এর আলোচনা ‘মুযারাবা’ অনুচ্ছেদ)। অর্থাৎ জমির মালিক ও ফলের ক্রেতার মধ্যে লাভ-লোকসান অংশীদারী ভিত্তিতে ব্যবসায়িক চুক্তি হ’তে পারে।

দ্বিতীয়তঃ ইবনু তায়মিয়াহ, ইবনুল ক্বাইয়িম ও শায়েখ ওছায়মীন (রহঃ) সহ কতিপয় বিদ্বানের মতে, গাছে মুকুল আসার পূর্বেই যদি বাগান ভাড়া দেওয়া হয়, তবে তা জায়েয। তাদের বক্তব্য, এটিই ওমর (রাঃ)-এর অভিমত এবং এ ব্যাপারে কোন ছাহাবী তাঁর বিরোধিতা করেননি (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩০/১৫১-১৫২; ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৬/২০৩-২০৮; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩/৮৪-৮৫)। যেমন ওমর (রাঃ)-এর নিকট একজন ইয়াতীম ছিল। তিনি তার সম্পদগুলো তিন বছরের জন্য ভাড়া দিয়ে দেন (ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৩২৫৮, ২৩৭২১, সনদ ছহীহ)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, উসায়েদ বিন হুযায়ের মারা গেলে তার কিছু ঋণ ছিল। তখন ওমর (রাঃ) তার বাগানটি দু’বছরের জন্য ভাড়া দিয়ে তার ঋণ পরিশোধ করেন (ইবনু আবী শায়বাহ হা/২৩২৬০, ২৩৭২৩, সনদ যঈফ)। আর ‘কয়েক বছরের জন্য গাছ বা বাগান বিক্রয় নিষিদ্ধ’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটির জওয়াবে বিদ্বানগণ বলেন, বাগানের ক্রেতা যদি গাছের দেখাশুনা, পানি সেচ থেকে শুরু করে সার্বিক দায়-দায়িত্ব গ্রহণ করে, তবে এটা হাদীছের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে না। কেননা এটি জমি ভাড়া দেয়ার মতই (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/৮৩-৮৪)। এজন্য ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, বাগান ভাড়া নেওয়া জমি ভাড়া নেওয়ার মতই। কারণ বাগান চাষাবাদ করে ফল ফলানো হয়, যেমন জমি চাষ করে ফসল ফলানো হয়। সুতরাং দুনিয়ায় যদি কোন বিশুদ্ধ ক্বিয়াস থাকে তাহ’লে এটি সেটি (আহকামু আহলিয যিম্মাহ ১/২৬৩-৬৪)

প্রশ্নকারী :নাজমুছ ছাদিক, শিবগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।








প্রশ্ন (২৪/২২৪) : এ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং-এর ৫০ মিটার দূরত্বে বড় জামে মসজিদ রয়েছে। এক্ষণে ১০-১৫ জন নিয়ে বিল্ডিংয়ের নীচ তলায় স্থায়ীভাবে ওয়াক্তিয়া জামা‘আতের ব্যবস্থা করা ঠিক হবে কি? - মাহফূয, জেদ্দা, সঊদী আরব।
প্রশ্ন (১/১৬১) : দ্বীন ও শরী‘আত কি একই বিষয়? উভয়ের মধ্যে পার্থক্য বা সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৬/৩৭৬) : সুন্নাত বা নফল ছালাতে বাংলায় দো‘আ করা যাবে কি? হারামের ইমামদের দেখা যায় তাঁরা রামাযান মাসে বিতর ছালাতে ইচ্ছামত লম্বা দো‘আ আরবী ভাষায় পড়েন। এক্ষণে আরবীতে পড়লে জায়েয, কিন্তু বাংলায় পড়লে নাজায়েয হবে কি? - -শো‘আইব আহমাদ, ডুইসবার্গ, জার্মানী।
প্রশ্ন (৭/২৮৭) : ছালাতে দাঁড়ানোর সময় মুছল্লীর দুই পায়ের মাঝে কতটুকু ফাঁক থাকবে?
প্রশ্ন (৩০/৩৭০) : ‘সূর্য শয়তানের দুই শিংয়ের মধ্য দিয়ে উদিত হয়’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটির ব্যাখ্যা জানতে চাই। - -তা‘লীমুল হক, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩০/৩৫১) : মাসবূকের সামনে সুতরা রেখে কেউ চলে আসতে পারে কি? যেমনটি বর্তমানে শহরের মসজিদগুলোতে দেখা যাচ্ছে।
প্রশ্ন (৩২/৩২) : আমরা কেবল তিনবোন। ভাই নেই। আমার পিতারা পাঁচ ভাইবোন। আমার পিতা জীবদ্দশায় আমাদের তিন বোনের নামে সমুদয় সম্পদ রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। আমার এক মামা বলেছেন এটা ঠিক হয়নি। তিনি অন্য ওয়ারিছদের হক বঞ্চিত করেছেন। মসজিদের ইমাম ছাহেব বলেছেন, জীবদ্দশায় পিতা সন্তানদের মধ্যে যেকোন সম্পদ সমানভাবে ভাগ করে দিতে পারেন। এ বিষয়ে সমাধান কি?
প্রশ্ন (৩০/৩০) : কোন কোন ছালাত আদায় না করলে গোনাহ হবে এবং কোন ছালাত আদায় না করলে গোনাহ হবে না। বিস্তারিত জানতে চাই। - -মুনীর, উল্ল­াপাড়া, সিরাজগঞ্জ।
প্রশ্ন (৩১/১৯১) : ছহীফা কয়টি এবং কাদের উপর তা নাযিল হয়েছিল? - -মুহায়মিনুল হক লাবীব, শ্যামলী, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৯/১৭৯) : পিতা-মাতার কবরের পার্শ্বে গিয়ে দুই হাত তুলে দো‘আ করা যাবে কি? এ সময় কিবলামুখী হ’তে হবে কি? - -আনোয়ার, চন্ডিপুর বাযার, ঝিনাইদহ।
প্রশ্ন (১৭/৩৭৭) : আমার আত্মীয়-স্বজন ছালাত ছিয়াম আদায় করে না। এ ব্যাপারে কিছু বললে বিরূপ মন্তব্য করে। এমতাবস্থায় তাদের সাথে সম্পর্ক রাখা যাবে কি? অথবা তাদের বিপদে সাহায্য না করলে গুনাহগার হতে হবে কি?
প্রশ্ন (১৬/৪৫৬) : তামাক আবাদ করা জায়েয হবে কি? যারা হারাম জিনিস বেচা-কেনা করে তাদের ইবাদত কবুল হবে কি?
আরও
আরও
.