উত্তর :
রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আল্লাহ সর্বপ্রথম সৃষ্টি করেছেন ‘কলম’। অতঃপর তাকে
বলেন, লিখ। সে বলল, কি লিখব? আল্লাহ বললেন, তাক্বদীর লিখ। অতঃপর সে লিখল,
যা কিছু ঘটেছে এবং যা কিছু ঘটবে ভবিষ্যতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত (আবুদাউদ হা/৪৭০০; তিরমিযী হা/২১৫৫; ছহীহাহ হা/১৩৩)।
আলবানী বলেন, أَولُ مَا خلقَ اللهُ نُوْرِ نَبِيِّكَ يَا جابرُ ‘আল্লাহ
প্রথম তোমার নবীর নূর সৃষ্টি করেন হে জাবের!’ মর্মে বর্ণিত প্রসিদ্ধ
হাদীছটির কোন সনদ আমি জানতে পারিনি (তাহকীক মিশকাত হা/৯৪-এর টীকা ১; ১/৩৪ পৃঃ)। আর لَولاَكَ لماَ خَلقتُ الأَفْلاَك ‘তুমি না হলে আমি আসমান-যমীন কিছুই সৃষ্টি করতাম না’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মওযূ বা জাল (সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮০, ২৮২)।
দ্বিতীয়তঃ রাসূল (ছাঃ) মানুষ ছিলেন (কাহফ ১৮/১১০) এবং তিনি সহ পূর্বেকার সকল নবী মৃত্যুবরণ করেছেন (যুমার ৩৯/৩০)। জীবিত বা মৃত কোন মানুষ কখনো হাযির-নাযির হতে পারে না। এটি সম্পূর্ণরূপে শিরকী আক্বীদা। আর আল্লাহ আরশে সমুন্নীত। অতএব তাঁর সত্তা সর্বত্র হাযির-নাযির নয়। বরং তাঁর জ্ঞান ও শক্তি সর্বত্র বিরাজমান। যেমন তিনি মূসা ও হারূণকে বলেন, ‘আমি তোমাদের সাথে আছি। শুনছি এবং দেখছি (ত্বোয়াহা ২০/৪৬)। অতএব প্রথম সৃষ্টি হ’ল কলম। যা দিয়ে তাক্বদীর লেখা হয়েছে এবং রাসূল (ছাঃ) সর্বত্র হাযির-নাযির নন।