উত্তর : শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর
প্রতি জামাইয়ের অবশ্য পালনীয় শারঈ কোন কর্তব্য নেই, যেমনটি তার স্বীয়
পিতা-মাতার প্রতি রয়েছে। তবে নিকটাত্মীয় হিসাবে তাদের প্রতি সদাচরণ করবে
এবং প্রয়োজনে তাদের জন্য খরচ করবে। আল্লাহ বলেন, তিনিই মানুষকে পানি হ’তে
সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি তার বংশগত ও বিবাহগত সম্পর্ক নির্ধারণ করেছেন।
আর তোমার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান’ (ফুরক্বান ২৫/৫৪)। অত্র আয়াতে
নিজ বংশ ও শ্বশুর বংশের উল্লেখ করার মাধ্যমে উভয় বংশের গুরুত্ব ও মর্যাদা
বুঝানো হয়েছে। অতএব উভয় বংশের সম্মান রক্ষা করা ও পরস্পরের প্রতি
শ্রদ্ধাশীল ও সহানুভূতিশীল থাকা প্রত্যেকের জন্য অপরিহার্য। কারণ এই দুই
বংশের মিলন ব্যতীত পৃথিবীতে মানুষের অস্তিত্ব লাভ সম্ভব হ’ত না। অতএব
পিতা-মাতা, দাদা-দাদী ও নানা-নানীদের এমন চরিত্রের হওয়া উচিত, যেন
সন্তানেরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণ করে এবং নিজেরা উন্নত চরিত্র গঠনের
প্রতি উদ্বু্দ্ধ হয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, জেনে রেখ! তোমাদের যেরূপ অধিকার
রয়েছে তোমাদের স্ত্রীদের উপর, তোমাদের স্ত্রীদেরও তদ্রূপ অধিকার রয়েছে
তোমাদের উপর (কাজেই উভয়ের প্রতি উভয়ের অধিকার আদায় করা কর্তব্য) (তিরমিযী হা/১১৬৩)। অতএব স্ত্রীর পিতা-মাতা হিসাবে শ্বশুর-শ্বাশুড়ীর প্রতি জামাইয়ের সহানুভূতিশীল হওয়া এবং সদাচরণ করা কর্তব্য।