উত্তর: শয়তান
মানুষকে শয়তানী কাজে সহযোগিতা করে। আল্লাহ বলেন, কতক জিন এবং মানুষ এমন
আছে যারা একে অন্যকে মনোমুগ্ধকর ও চাকচিক্যময় কথা দ্বারা প্ররোচিত করে
থাকে। যেন তারা ধোঁকায় পতিত হয়। তোমার প্রতিপালকের ইচ্ছা হলে তারা এমন কাজ
করতে পারত না। কিন্তু এ দ্বারা যারা পরকালের প্রতি ঈমান রাখে না, তাদের
অন্তরকে ঐ দিকে অনুরক্ত করে (আন‘আম ১১২-১১৩)। জানা আবশ্যক যে,
মানুষকে জাহান্নামে নেওয়ার জন্য শয়তান সর্বদা পিছনে লেগে থাকে। এজন্য সে
অনেক সময় নিজেই মানুষের রূপ ধারণ করে অথবা অন্য মানুষের মাধ্যমে তার
উদ্দেশ্য হাছিল করে। এগুলি সবই শয়তানী কারসাজি। সাময়িকভাবে এরূপ করার
ক্ষমতা আল্লাহ ইবলীসকে দিয়েছেন (হিজর ১৫/৩৯; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬৮)।
তবে জীবিত শয়তানের ধোঁকার জাল ছিন্ন হ’লেও মৃত পীর পূজার শয়তানী ধোঁকার
জাল বিস্তৃত থাকে যুগের পর যুগ ধরে। যেখান থেকে আল্লাহর বিশেষ
অনুগ্রহপ্রাপ্ত ব্যক্তিরাই কেবল কদাচিৎ বেরিয়ে আসতে পারেন। আল্লাহ বলেন,
يَعِدُهُمْ وَيُمَنِّيهِمْ وَمَا يَعِدُهُمُ الشَّيْطَانُ إِلاَّ غُرُوْرًا
‘শয়তান তাদের মিথ্যা ওয়াদা দেয় ও আশার বাণী শুনায়। অথচ শয়তান তাদেরকে
প্রতারণা ব্যতীত কোনই প্রতিশ্রুতি দেয় না’ (নিসা ৪/১২০)। কিন্তু শত প্রতারণার জাল বিছিয়েও শয়তান আল্লাহর কোন মুখলেছ বান্দাকে পথভ্রষ্ট করতে পারে না (হিজর ১৫/৪০)।
শিরকমুক্ত হাদীছ সম্মত উপায়ে ঝাড়-ফুঁক করা জায়েয। যেমন সূরা ফাতিহা, নাস ও ফালাক্ব দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করা (বুখারী, মিশকাত হা/২৯৮৫; মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৫৩২)।