উত্তর : ইসলামে ঈদ মাত্র দু’টি। ঈদুল ফিত্বর ও ঈদুল আযহা (আবূদাঊদ হা/১১৩৪)।
ঈদে মীলাদ বলে কোন কিছুই নেই। এটি খ্রিষ্টানদের সাথে মুসলমানদের ক্রুসেড
যুদ্ধের সময় তাদের ‘বড় দিন’ পালনের অনুকরণে ৬২৫ হিজরীতে ইরাকের ‘এরবল’
প্রদেশের গবর্ণর আবু সাঈদ মুযাফফরুদ্দীন কুকুবুরী (৫৮৬-৬৩০ হি.)-এর
নির্দেশক্রমে মুসলমানদের মধ্যে চালু হয়। সমস্ত আলেম এর বিরোধিতা করলেও জনৈক
সরকারী আলেম এর পক্ষে বই লেখেন। তখন থেকেই এই বিদ‘আতী প্রথা চালু হয়েছে (দ্র. তারীখ ইবনু খাল্লিকান)।
এদেশের বিদ‘আতীরা ঐ সঙ্গে যোগ করেছে ক্বিয়াম ও জশনে জুলূসের প্রথা। তাদের ধারণা মতে মীলাদের মজলিসে রাসূল (ছাঃ)-এর রূহ মুবারক হাযির হয়। সেকারণ তাঁর সম্মানে সবাইকে দাঁড়িয়ে ‘ইয়া নবী সালাম ‘আলায়কা’ বলতে হয়। অতঃপর তাঁর জন্মের খুশীতে মিছিল বের করতে হয়। যাকে ‘জশনে জুলূস’ বলা হয়। বর্তমানে রাসূল (ছাঃ)-এর জন্ম ও মৃত্যু দিবস একই দিনে অর্থাৎ ১২ই রবীউল আউয়াল তারিখে পালন করা হচ্ছে। এটাও এক জাহেলী কর্মকান্ড। অথচ রাসূল (ছাঃ)-এর জন্ম ও মৃত্যু দিবস কোনটাই সঠিকভাবে বলার উপায় নেই। সর্বাধিক ধারণা মতে তাঁর জন্ম তারিখ ছিল ৯ই রবীউল আউয়াল এবং মৃত্যু তারিখ ছিল ১লা রবীউল আউয়াল (দ্র. সীরাতুর রাসূল (ছাঃ) ৩য় মুদ্রণ ৫৬-৫৭ পৃ.; বিস্তারিত দ্র. ‘মীলাদ প্রসঙ্গ’ বই, ৬ষ্ঠ প্রকাশ)।
প্রশ্নকারী : বদীউয্যামান, বিরামপুর, দিনাজপুর।