উত্তর : উক্ত ব্যবসায়ে ৫ নং শর্ত অনুযায়ী মোট নির্মাণ ব্যয়ের ২০% টাকা চুক্তিকালীন সময় মালিককে জমা দিতে হবে। অতঃপর ৬ নং শর্ত অনুযায়ী কোম্পানীর বিনিয়োগকৃত ৮০% টাকার উপরে ৩% সার্ভিস চার্জ এবং ৭ নং শর্ত অনুযায়ী কাজ শুরুর মাস থেকে মাসিক কিস্তি প্রদান মালিককে নিশ্চিত করতে হবে। অথচ তখন কোম্পানী কোন টাকাই ব্যয় করেনি এবং প্রতিশ্রুত ৮০% টাকা বিনিয়োগ করেনি। কিন্তু মোট টাকার উপরে ২০% টাকা শুরুতেই নিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যা রূপার উপরে বর্ধিতহারে রূপা নেওয়ার শামিল। এটি সূদ।
সেই সাথে এটি ধোঁকা। কেননা কোনরূপ কাজ না করেই সার্ভিস চার্জ ও প্রথম কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে বলা হচ্ছে। এরপরেও কাজ কতদিনে শেষ হবে, তার কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা নেই। প্রতি বর্গফুটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু নির্মাণাধীন অবস্থায় সরঞ্জামাদির মূল্য বৃদ্ধি পেলে সেক্ষেত্রে কি হবে এবং কাজের মান আশানুরূপ না হলে মালিকের সেখানে কিছু করার থাকবে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলা নেই। বিষয়গুলি অস্বচ্ছ। যা বায়‘এ গারার-এর অন্তর্ভুক্ত।
উদাহরণ স্বরূপ, একটি বিল্ডিং-এর প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় ৫ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী মালিককে ২০% অর্থাৎ ১ কোটি টাকা নগদ দিতে হবে। সেই সাথে কোম্পানীর ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ ৮০%-এর উপর ৩% সার্ভিস চার্জ ১২ লাখ টাকা। সেই সাথে ১ম মাসিক কিস্তি ৩ লাখ ৩৩ হাযার ৩৩৩ টাকা। সর্বমোট ১ কোটি ১৫ লাখ ৩৩ হাযার ৩৩৩ টাকা মালিকের পক্ষ থেকে কোম্পানীকে শুরুতেই নগদ দিতে হবে। অথচ কোম্পানীর তখন কোন বিনিয়োগ নেই।
এটি আদৌ কোন ব্যবসা নয়, বরং ধোঁকা। কারণ এতে কোম্পানীর কোন ব্যবসায়িক ঝুঁকি নেই। কেবলই লাভ। যা সূদের শামিল।