উত্তর : ছাহাবী মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) তাঁর পরিবারের জন্য মহামারীকে রহমত হিসাবে কামনা করেছিলেন। আর এতে তাঁর দুই স্ত্রী ও পুত্রসহ তিনি নিজে মারা যান। হাদীছে এসেছে, সেনাপতি আবু ওবায়দাহ (রাঃ)-এর মৃত্যুর পর সেনাপতি হন রাসূল (ছাঃ)-এর আরেক প্রিয় ছাহাবী মু‘আয ইবনে জাবাল (রাঃ)। সবাই তখন প্লে­গের আতঙ্কে ভীত-সন্ত্রস্ত। নতুন সেনাপতি হবার পর মু‘আয (রাঃ) একটি ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি বলেন, এই প্লেগ আল্ল­াহর পক্ষ থেকে কোন মুছীবত নয় বরং إِنَّهَا رَحْمَةُ رَبِّكُمْ وَدَعْوَةُ نَبِيِّكُمْ، وَقَبْضُ الصَّالِحِينَ قَبْلَكُمْ. اللَّهُمَّ أَدْخِلْ عَلَى آلِ مُعَاذٍ نَصِيبَهُمْ مِنْ هَذِهِ الرَّحْمَةِ ‘এটা তোমাদের রবের পক্ষ থেকে রহমত এবং নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর দো‘আর ফল। এতে ইতিপূর্বে বহু সৎকর্মশীলের জীবন নাশ হয়েছে। হে আল্ল­াহ! এটি মু‘আযের পরিবারেও পাঠান। যাতে আমরাও এ রহমতের একটি অংশ পাই। দো’আ শেষে ঘরে ফিরে দেখলেন তাঁর সবচেয়ে প্রিয় পুত্র আব্দুর রহমান প্লে­গাক্রান্ত হয়ে গেছেন। ছেলে তার পিতাকে সান্ত্বনা দিয়ে কুরআনের ভাষায় বলেন, ‘সত্য সেটাই যা তোমার পালনকর্তার নিকট থেকে আসে। অতএব তুমি অবশ্যই সন্দেহবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না’ (বাকারাহ ২/১৪৭)। পুত্রের সান্ত্বনার জবাব পিতাও দেন কুরআনের ভাষায়- ‘ইনশাআল্লাহ তুমি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবে’ (আছ-ছাফফাত ৩৭/১০২)

কিছু দিনের মধ্যে তাঁর প্রিয় পুত্রটি মৃত্যুবরণ করেন এবং তাঁর দুই স্ত্রীও মারা যান। অবশেষে তাঁর হাতের একটি আঙ্গুলে ফোঁড়া বের হয়। এটা দেখে মু‘আয (রাঃ) খুবই খুশী হন এবং বলেন, দুনিয়ার সকল সম্পদ এটির তুলনায় মূল্যহীন। অল্পদিনের মধ্যে তিনিও প্লে­গে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন (আহমাদ হা/২২১৩৮; ছহীহুত তারগীব হা/১৪০২)। স্মর্তব্য যে, এই প্রার্থনা তাঁর ব্যক্তিগত ইজতিহাদ ছিল। তাছাড়া তিনি জীবন থেকে বীতশ্রদ্ধ হয়ে এই প্রার্থনা করেননি। বরং মহামারীতে মারা গেলে শহীদের মর্যাদা পাওয়া যায়, এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেছিলেন। কারণ নিজের বিরুদ্ধে দো‘আ করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমরা তোমাদের নিজেদের, তোমাদের সন্তান-সন্ততির এবং তোমাদের সম্পদের ব্যাপারে বদদো‘আ করো না (মুসলিম হা/৩০০৯; মিশকাত হা/২২২৯)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা নিজের জন্য যা কল্যাণকর, শুধু সেটাই চাও। কেননা তোমরা যা বল তার জন্য ফেরেশতাগণ আমীন, আমীন বলতে থাকেন (মুসলিম হা/৯২০; মিশকাত হা/১৬১৯)

প্রশ্নকারী : খাদেমুল ইসলাম, রিয়ায, সঊদী আরব।







প্রশ্ন (৩১/৭১): আমাদের আহলেহাদীছ মসজিদে তারাবীহ ছালাতের শেষে বিতর ছালাত জামা‘আতে পড়ানোর সময় ইমাম ছাহেব কোন দিন এক রাক‘আত কোন দিন তিন রাক‘আত পড়ান। কিন্তু মুছল্লীগণকে কিছু বলেন না। এমতাবস্থায় মুছল্লীরা কিভাবে নিয়ত করবে। আর এভাবে কি ইমাম ছাহেবের ছালাত পড়ানো ঠিক হচ্ছে।
প্রশ্ন (২৩/৩০৩) : জনৈক ব্যক্তি ২০ বছর পূর্বে বিবাহের সময় শ্বশুরবাড়ী থেকে ২ লাখ টাকা যৌতুক নিয়েছিল। এখন উক্ত টাকা ফেরত দিতে চাইলে টাকার মূল্যমান অনুযায়ী বেশি দিতে হবে না সমপরিমাণ পরিশোধ করলেই চলবে?
প্রশ্ন (২২/১৮২) : বর্তমানে বেশী লাভের উদ্দেশ্যে আখের গুড়ে ব্যাপকভাবে চিনি মিশানো হচ্ছে। অন্যদিকে পিওর গুড় বানাতে গেলে বাজারে টেকা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষণে বাধ্যগত অবস্থায় কিছুটা চিনি মিশানো যাবে কি? - -আতাউর রহমান, নওগাঁ।
প্রশ্ন (২৪/৩৪৪) : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ লেখা চাদর দিয়ে লাশ ঢেকে দেয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১৪/৫৪) : শায়খ উছায়মীন বলেন, ইকবামতের জবাব না দেওয়াই ভাল। অন্যদিকে ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)-এ বলা হয়েছে, ইক্বামতের জবাব দিতে হবে। কোনটি সঠিক?
প্রশ্ন (৩২/৩৯২) : ঋণ গ্রহণ করে কুরবানী দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (১৪/২৫৪) : জনৈকা মহিলা ধর্মীয় কারণে স্বামীর থেকে ‘খোলা’ গ্রহণ করেছে। এক্ষণে সে অন্যত্র ইসলামী মন-মানসিকতার ছেলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হ’তে চায়। কিন্তু অভিভাবক পূর্বের ফাসেক স্বামীর কাছেই ফিরে যেতে বলে। উক্ত মহিলা কিভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবে?
প্রশ্ন (১৬/৩৭৬) : সাহারীর শেষ সময় এবং ফজরের আযানের সময় কি আলাদা? - -আবুল কালাম আযাদ, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৩৫/২৩৫) : জনৈক ব্যক্তি কম মূল্যে বাকীতে জমি ক্রয় করে অধিক মুল্যে অন্যের কাছে তা বিক্রি করে পরে টাকা পরিশোধ করে দেয়। এরূপ ব্যবসায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্নঃ (৯/৪৯) : ছালাতের মধ্যে আঙ্গুল ফুটানো যায় না এ মর্মে ছহীহ দলীল জানতে চাই।
প্রশ্ন (১২/২৯২) : সরকারী এমপিওভুক্ত মাদ্রাসায় যাকাত, ফেৎরা, ওশর, কুরবানীর চামড়া ইত্যাদি গ্রহণ করা এবং তা প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১০/৫০) : উম্মে হারাম বিনতে মিলহান এবং উম্মে সুলাইম-এর সাথে রাসূল (ছাঃ) কিরূপ সম্পর্ক ছিল?
আরও
আরও
.