উত্তর :
রজব মাসের বিশেষ মর্যাদা বা বিশেষ কোন ইবাদত যেমন ছালাত-ছিয়াম ও
যিকির-আযকারের ব্যাপারে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, সবই যঈফ ও জাল। যেমন ‘যে
ব্যক্তি রজব মাসে তিনটি ছিয়াম পালন করবে, তার জন্য আল্লাহ এক মাসের ছিয়াম
লিখে দিবেন’। হাদীছটি জাল (আল-লা‘আলিল মাছনূ‘আহ ফিল আহাদীছিল মাউযূ‘আহ ২/১১৪-১১৫ পৃ.)।
এছাড়া ‘পাঁচ রাতে দো‘আ ফেরত দেওয়া হয় না। রজব মাসের প্রথম রাত, মধ্য
শা‘বানে, জুম‘আর রাত, ঈদুল ফিতর এবং কুরবানীর রাতের দো‘আ’ মর্মে বর্ণিত
হাদীছটি জাল (ইবনু ‘আসাকির, আলবানী, সিলসিলা যঈফাহ হা/১৪৫২)।
ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, ‘ছালাতুর রাগায়েব’ নামে ১২ রাক‘আত ছালাত যা রজব মাসের প্রথম জুম‘আর দিন মাগরিব থেকে এশার মধ্যে পড়া হয় এবং মধ্য শা‘বানের রাতে যে ১০০ রাক‘আত ছালাত পড়া হয়, তা নিকৃষ্ট বিদ‘আত’ (আল-মাজমূ‘ ৪/৫৬)। তিনি আরো বলেন, এই ছালাতের আবিষ্কারককে আল্লাহ ধ্বংস করুন। এটি অজ্ঞতা ও ভ্রষ্টতায় পূর্ণ একটি ঘৃণিত বিদ‘আত (নববী, শরহ মুসলিম ৮/২০)।
ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘রজব মাসে ছিয়াম রাখা সংক্রান্ত সবগুলো বর্ণনা যঈফ; বরং মওযূ‘ বা জাল। বিদ্বানগণ এব্যাপারে একটি বর্ণনাকেও নির্ভরযোগ্য বলেননি’ (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৫/২৯০)। ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেন, রজব মাসে ছিয়াম পালন ও নফল ছালাত আদায়ের ব্যাপারে যে কয়টি হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তার সবই জাল (আল-মানারুল মুনীফ ৯৬ পৃ.)। অতএব রজব মাসের জন্য বিশেষ কোন ইবাদত নেই।