উত্তর: প্রথমতঃ পিতা মীরাছ বণ্টন যথাযথভাবে না করায় এবং মেয়েদের হক নষ্ট করায় গোনাহগার হয়েছেন। এক্ষণে বোনেরা যদি খুশি হয়ে প্রাপ্য দাবী ত্যাগ করেন বা কম-বেশীতে রাযী থাকেন, তবেই পিতা দায়মুক্ত হবেন। কারণ ভাই-বোনদের পারস্পরিক সন্তুষ্টি ও সমঝোতার মাধ্যমে মীরাছে কমবেশী করা যেতে পারে (নিসা ৪/২৯; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৬/২০৭, ২৩৬)। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, অতঃপর যদি কেউ অছিয়তকারীর পক্ষ হ’তে পক্ষপাতিত্বের বা গোনাহের আশংকা করে এবং তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়, তবে তার কোন অপরাধ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান (বাক্বারাহ ২/১৮২)। কন্যা বা বোনেরা অনেক সময় চাপের মুখে অথবা লৌকিকতার খাতিরে চুপ থাকে বা মেনে নেয়। এটির নাম মীমাংসা নয়। বরং তাদের পরিপূর্ণ সন্তুষ্টি ও সমঝোতা থাকতে হবে। তাদের বঞ্চিত করার জন্য কোনরূপ টালবাহানা করা যাবে না। কারণ মীরাছ থেকে কাউকে বঞ্চিত করা কবীরা গোনাহ (ইবনুল ক্বাইয়িম, ই‘লামুল মুওয়াক্কিঈন ৪/৩০৬; বিন বায, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২০/২২১)

প্রশ্নকারী : আব্দুস সাত্তার, বাথানপাড়া, রাজশাহী।






বিষয়সমূহ: মহিলা বিষয়ক
প্রশ্ন (১৫/১৭৫) : ৭টি কারণে দরিদ্রতা আসে। যথা- দ্রুত ছালাত, দাঁড়িয়ে পেশাব, পেশাবের স্থানে ওযূ, দাঁড়িয়ে পানি পান, ফুঁ দিয়ে বাতি নেভানো, দাঁত দিয়ে নখ কাটা, পরিধেয় বস্ত্ত দ্বারা মুখ ছাফ করা। এটি কি কোন হাদীছ? - -আব্দুল ওয়াহীদ, যশোর।
প্রশ্ন (৩৬/১১৬) : আলেমগণের মাঝে মতভেদের কারণ কি এবং এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের করণীয় কি? কিরূপ মতপার্থক্যের ক্ষেত্রে গোনাহ হয় না? ব্যাখ্যাগত মতপার্থক্যের কারণে যে সামাজিক বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়, সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৬/১৯৬) : জনৈক ব্যক্তি স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ৩ দিনের মাথায় ফিরিয়ে নেয়। অতঃপর এর প্রায় ২ মাস পর আবার ঝগড়া করে তালাক দিয়ে পরদিন ফিরিয়ে নেয়। অতঃপর পাঁচ মাস পরে পুনরায় ভীষণভাবে রাগান্বিত হয়ে স্ত্রীকে বলে ‘তোমাকে ডিভোর্স দিলাম’। এসময় স্ত্রী ঋতুবতী ছিল, যা স্বামীর জানা ছিল না। এক্ষণে তৃতীয় তালাকটি পতিত হয়েছে কি? - -প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ ইব্রাহীম, ঢাকা।
প্রশ্ন (১/৪৪১) : কেউ যদি মানত করে থাকে যে তার ছেলে সন্তান হ’লে তাকে মাদ্রাসায় পড়াবে। কিন্তু জন্মের পর এখন সে তাকে স্কুলে পড়াচ্ছে। এটা ঠিক হচ্ছে কি? এজন্য কোন ক্ষতির শিকার হ’তে হবে কি?
প্রশ্ন (২৮/২২৮) : পরীক্ষার পূর্বরাতে বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে স্পেশাল সাজেশন পাওয়া যায়, যা থেকে সর্বাধিক সংখ্যক কমন পাওয়া যায়। এসব সাজেশন নেওয়া জায়েয হবে কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বরিশাল।
প্রশ্ন (২১/১৪১) : মসজিদ কর্তৃপক্ষ শুদ্ধভাবে আযান ও ইক্বামত দেওয়ার লোক থাকা সত্ত্বেও অশুদ্ধ উচ্চারণকারী ব্যক্তিকে দিয়ে একাজ করিয়ে থাকে। এক্ষণে এর জন্য কর্তৃপক্ষের পরণতি কি হবে? - -যাকারিয়া খান, কুমিল্লা।
প্রশ্ন (৩৬/৩৯৬) : মসজিদের কিছু জমি সরকার অধিগ্রহণ করে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। উক্ত টাকা কি জমি ওয়াকফকারী না মসজিদ কর্তৃপক্ষ পাবে? এটা দিয়ে মসজিদের উন্নয়ন বা ইমাম-মুওয়াযযিনের বেতন দেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২২/২২) : জনৈক আলেম বলেন, সব হাদীছই তো রাসূলের। তা আবার ছহীহ বা যঈফ হয় কিভাবে?
প্রশ্ন (২২/১৪২) : বেশীরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল কক্ষেই শিক্ষা উপকরণ হিসাবে নানা রকম জীবজন্তু ও মানুষের ছবি দিয়ে সাজানো থাকে। শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষার্থীদেরকে এই সব কক্ষেই ছালাত আদায় করতে হয়। এটা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩১/৩১১) : বিবাহ সম্পাদনের সময় পবিত্র অবস্থায় থাকার কোন শর্ত আছে কি?
প্রশ্ন (১২/২১২) : মসজিদের সামনে জনসাধারণের বসার স্থান তৈরী করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৪/৩৪৪) : ব্যাংকে মোটা অংকের অর্থ জমা থাকায় প্রতিবছর যাকাত দিতাম। কিন্তু কয়েক বছর পূর্বে একজনকে তা ঋণ দিয়েছি। এক্ষণে উক্ত সম্পদের যাকাত আমাকে না ঋণ গ্রহীতাকে পরিশোধ করতে হবে? - -বযলুল করীম, পুঠিয়া, রাজশাহী।
আরও
আরও
.