উত্তর : অনুসরণীয় চার ইমামের মধ্যে ইমাম শাফেঈ (রহঃ) ব্যতীত বাকী তিনজনের কেউই ফিক্বহী বিষয়ে কোন গ্রন্থ রচনা করে যাননি। যদি ‘ফিক্বহে আকবর’ ও ‘মুসনাদে আবু হানীফা’-কে তাঁর কিতাব বলে ধরেও নেওয়া হয়, তাহ’লে বলা হবে যে, প্রথমোক্ত ছোট পুস্তিকাটি আক্বায়েদের উপরে লিখিত এবং শেষোক্তটি হাদীছের সংক্ষিপ্ত সংকলন। অতএব ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর ফৎওয়াসমূহ কি ছিল এবং সেগুলি ছহীহ হাদীছের ভিত্তিতে প্রদান করা হয়েছে কি-না, তা যাচাই করার কোন সুযোগ নেই।

তিনি যে ফৎওয়া বিষয়ে কোন কিতাব রচনা করেননি, তার অন্যতম প্রমাণ এই যে, একদা তিনি স্বীয় প্রধান শিষ্য আবু ইউসুফকে ধমক দিয়ে বলেন, সাবধান হে ইয়াকূব (আবু ইউসুফ)! আমার নিকট থেকে যা-ই শুনো তাই-ই লিখে নিয়ো না। কেননা আমি আজকে যে রায় দেই, কালকে তা পরিত্যাগ করি। কাল যে রায় দেই, পরশু তার প্রত্যাহার করি’। আরেকবার তিনি বলেন, ‘তোমাদের ধ্বংস হৌক তোমরা এইসব কিতাবগুলিতে আমার উপরে কত মিথ্যারোপ করেছ, যা আমি বলিনি’ (তারীখু বাগদাদ, ১৩/৪০২; ১৪/২৫৮)

এক্ষণে চার ইমামের মাযহাব বলে গৃহীত মাসআলা সমূহের সংকলন হিসাবে যে সকল বিরাট বিরাট ফিক্বহগ্রন্থ পরবর্তীকালে রচিত ও প্রচারিত হয়েছে, পরীক্ষায় দেখা যাবে যে, সেগুলিতে সংকলিত অধিকাংশ মাসআলা কিংবা সবগুলোই তাঁদের অনুসারী পরবর্তী বিদ্বানদের রচিত। যেমন ইবনু দাক্বীকুল ঈদ (রহঃ) চার মাযহাবে প্রচলিত ছহীহ হাদীছ বিরোধী ফৎওয়া সমূহের যে বিরাট সংকলন গ্রন্থ রচনা করেছিলেন, তার ভূমিকাতে তিনি ঘোষণা করেন যে, ‘এই মাসআলাগুলি চার ইমামের নামে চার মাযহাবে চালু থাকলেও এগুলোকে তাঁদের দিকে সম্পর্কিত করা হারাম’। এগুলির মাধ্যমে তাঁদের উপরে মিথ্যারোপ করা হয়েছে মাত্র। তাফ্তাযানী, শা‘রাবী, অলিউল্লাহ দেহলভী, মোল্লা মুঈন সিন্ধী, আব্দুল হাই লাক্ষ্ণৌভী প্রমুখ বিদ্বানগণ সকলেই একথা স্বীকার করেছেন।

উদাহরণস্বরূপ আব্দুল হাই লাক্ষ্ণৌবী (রহঃ) বলেন, কতইনা নির্ভরযোগ্য কিতাব রয়েছে, যার উপরে বড় বড় ফক্বীহগণ নির্ভর করে থাকেন, যা মওযূ বা জাল হাদীছসমূহ দ্বারা পরিপূর্ণ। বিশেষ করে ফাৎওয়ার কিতাবসমূহ। ... তুমি কি দেখনা ‘হেদায়াহ’ লেখকের দিকে? যিনি নেতৃস্থানীয় হানাফী বিদ্বানগণের অন্যতম। আল-ওয়াজীযের ভাষ্যকার রাফেঈ-র দিকে, যিনি নেতৃস্থানীয় শাফেঈ বিদ্বানগণের অন্যতম। তাঁরা যদিও এমন ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত, যাঁদের দিকে অঙ্গুলিসংকেত করা হয় এবং বড় বড় পন্ডিতগণ যাদের উপর নির্ভর করে থাকেন। তাঁরা তাদের কিতাবসমূহে এমন সব বিষয় বর্ণনা করেছেন, যার পক্ষে হাদীছে দক্ষ ব্যক্তিদের নিকটে কোন প্রমাণ নেই (নাফে‘ কাবীর পৃ. ১৩;  আল-আজওয়াবাতুল ফাযেলাহ পৃ. ২৯; বিস্তারিত দ্রঃ ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ থিসিস পৃ.১৭১-৭২; ১৭৯-৮২)। অতএব ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) সহ চার ইমামের নামে প্রচলিত ফৎওয়াসমূহ অন্ধভাবে অনুসরণের কোন সুযোগ নেই। কেননা তাঁরা প্রত্যেকে বলেছেন, যখন ছহীহ হাদীছ পাবে, জেনে রেখ সেটাই আমাদের মাযহাব (শা‘রানী, কিতাবুল মীযান ১/৭৩)






প্রশ্ন (৩৬/২৭৬) : জনৈক আলেম বলেন, আলী (রাঃ) ইবনু আববাস (রাঃ)-এর পা ছুঁয়ে সালাম করেছেন। এর সত্যতা আছে কি এবং এরূপ করা যাবে কি? - তাওহীদ জুমারবাড়ী, সাঘাটা, গাইবান্ধা।
প্রশ্ন (৭/১২৭) : আমি ইসলাম গ্রহণ করেছি। আমাকে গ্রামের লোকজন বাড়ি করে দিয়েছে। আমি কি এখন আমার বিধর্মী বাবার সম্পত্তি নিতে পারব?
প্রশ্ন (২১/১৪১) : আমি বাংলাদেশ ডাক বিভাগে ‘ডাক জীবন বীমা’ সেক্টরে চাকরি করছি। যদিও আমি কাউকে বীমা করাই না বা করতে বলিও না। আমার কাজ কেবলই অফিসিয়াল। ৪/৫ বছর কাজ করার পর আমি সেক্টর পরিবর্তন করতে পারব ইনশাআল্লাহ। এক্ষণে এ চাকুরী আমার জন্য হালাল হবে কি?
প্রশ্ন (১৫/৪৫৫) : রাসূল (ছাঃ) নারীদেরকে বুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে ত্রুটিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ দু’টিকে ত্রুটি বলার পিছনে হিকমত কি?
প্রশ্ন (৩৪/৩৯৪) : পিতা-মাতার নিকট মিথ্যা কথা বলে টাকা নিয়ে দান করা জায়েয কি?
প্রশ্ন (১৩/৯৩) : বাড়ী করার জন্য পিতা-মাতা আমাকে একখন্ড জমি দান করেন। কিন্তু আমি ভাইদের সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে বলে ফেলি যে, আমি যদি ঐ জমিতে যাই তাহ’লে মুসলিম থেকে খারিজ হয়ে যাব। এখন ঐ জমিতে যেতে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৩/৭৩) : ঈদের তাকবীর হিসাবে যে দো‘আগুলি পাঠ করা হয় তার কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (৮/৩৬৮): দেশের অবস্থা অনুযায়ী সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন কাজে নিরুপায় হয়ে ঘুষ প্রদান করতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে শরী‘আতের বিধান কি?
প্রশ্ন (২১/২১): ছিয়াম অবস্থায় দাড়ি শেভ করা, নখ কাটা বা পেষ্ট দ্বারা ব্রাশ করায় ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে কি?
প্রশ্ন (১০/৪১০) : কবর দেওয়ার সময় তিন অঞ্জলী না তিন মুষ্ঠি মাটি দিতে হবে?
প্রশ্ন (১৫/২১৫) : মহিলারা কয়জন পুরুষের সামনে বিনা পর্দায় যেতে পারে? - আব্দুল্লাহ বিন যহীর আবুধাবী, আরব আমিরাত।
প্রশ্ন (২৬/৩৪৬) : চীনের ‘তিয়ার্নাশ কোম্পানী বাংলাদেশে MLM সিস্টেমে যে ব্যবসা করছে তাতে শরীক হওয়া আমাদের জন্য বৈধ হবে কি? - -শাহরিয়ার ছালেহীন হাড়ুপুর, পবা, রাজশাহী।
আরও
আরও
.