উত্তর :
কুরবানী চামড়া দ্বারা কুরবানী দাতা উপকৃত হ’তে পারবেন অথবা ফকীর-মিসকীনকে
ছাদাক্বা করে দিতে পারবেন। কিন্তু এর মূল্য ভক্ষণ করা নিষিদ্ধ। রাসূল (ছাঃ)
বলেন, যে ব্যক্তি কুরবানীর চামড়া বিক্রয় করল (অর্থাৎ বিক্রয়লব্ধ মূল্য ভোগ
করল) তার কুরবানী হ’ল না (হাকেম, বায়হাক্বী; ছহীহুল জামে‘ হা/৬১১৮)। যদি ছাদাক্বার সুযোগ না থাকে, তবে নিজে যে কোন কাজে ব্যবহার করে উপকৃত হ’তে পারবে (আল-মাজমূ‘ ৮/৪২১)। আলক্বামা ও মাসরূক (রহঃ) কুরবানীর চামড়াকে পাকিয়ে মুছল্লা বানিয়ে তাতে ছালাত আদায় করতেন (ইবনু আবী শায়বাহ হা/৪১০৪-০৫)।
আর যবহকৃত হালাল পশুর প্রবাহিত রক্ত ব্যতীত সবই হালাল (আন‘আম ৬/১৪৫)। হানাফী কিতাব সমূহে আরো ছয়টি বস্ত্ত হারাম বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু সেগুলি সব ক্বিয়াসী বা অনুমান নির্ভর। সুতরাং হালাল পশুর চামড়া যদি কেউ খেতে চায়, খেতে পারে। তবে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সবকিছু থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা রাসূল (ছাঃ) বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত হয়ো না এবং ক্ষতি করো না (ইবনু মাজাহ হা/২৩৪০; ছহীহাহ হা/২৫০)। কেননা এতে খাদ্য গ্রহণের লক্ষ্য ব্যাহত হয় (ফৎহুল ক্বাদীর বাক্বারাহ ২/১৬৮; মায়েদাহ ৫/৮৮; আনফাল ৮/৬৯)।