উত্তর : এটি রাসূল (ছাঃ) এবং আয়েশা (রাঃ)-এর চাহিদার ভিত্তিতে লোকেরা করত না। বরং তারা আয়েশা (রাঃ)-এর মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য রেখে করতেন। কারণ আয়েশা (রাঃ) একমাত্র স্ত্রী যার সাথে একই কাপড়ে থাকাকালীন রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট অহী নাযিল হয়েছিল। লোকেরা আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-কে হাদিয়া প্রদানের জন্য আয়েশা (রাঃ)-এর গৃহে তাঁর অবস্থানের দিন হিসাব করত। আয়েশা (রাঃ) বলেন, একদা আমার সতীনগণ উম্মু সালামা (রাঃ)-এর নিকট সমবেত হয়ে বললেন, হে উম্মু সালামাহ! আল্লাহর কসম! লোকজন তাদের হাদিয়াসমূহ প্রেরণের জন্য আয়েশা (রাঃ)-এর গৃহে অবস্থানের দিন গণনা করে। আয়েশা-এর মত আমরাও কল্যাণ আকাঙ্ক্ষা করি। আপনি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলুন, তিনি যেন লোকদের বলে দেন, তারা যেন আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) যেদিন যেখানেই অবস্থান করেন সেখানেই তারা হাদিয়া পাঠায়। উম্মু সালামাহ (রাঃ) আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গে এ বিষয় উল্লেখ করলেন। তখন রাসূল (ছাঃ) তার কথা শুনে মুখ ফিরিয়ে নেন। পরে উম্মে সালামার গৃহে অবস্থানের জন্য রাসূল (ছাঃ) আসলে তিনি পুনরায় তাকে ঐ কথা বলেন। এবারও তিনি মুখ ফিরিয়ে নেন। তৃতীয়বারেও তিনি রাসূলকে ঐ কথা বললে তিনি বললেন, হে উম্মে সালামা! আয়েশা-এর ব্যাপারে তোমরা আমাকে কষ্ট দিয়ো না। আল্লাহর কসম! তোমাদের মধ্যে আয়েশা ছাড়া অন্য কারো শয্যায় একই কাপড়ে শায়িত অবস্থায় আমার উপর অহী নাযিল হয়নি (বুখারী হা/২৫৮১, ৩৭৭৫)। অতএব রাসূল (ছাঃ)-এর নিষেধ না করার বিষয়টি ইনছাফ বহির্ভূত নয়; বরং সঠিক ও যুক্তিসঙ্গত ছিল।
প্রশ্নকারী : আকবর আলী, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।