উত্তর : তালাক না দেওয়ায় বিবাহ ঠিক আছে। তবে একত্রে থাকার পরও স্ত্রী থেকে এতদিন বিরত থাকায় স্বামী কবীরা গোনাহগার হয়েছে। এজন্য তাকে তওবা করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস কর (নিসা ৪/১৯)। রাসূল (ছাঃ)-এর নিকটে আব্দুল্লাহ বিন আমর ইবনুল ‘আছ (রাঃ)-এর বেশী বেশী ইবাদতে রত থাকার অভিযোগ আসলে তিনি তাকে মধ্যপন্থা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, ...তোমার উপর তোমার স্ত্রীর হক রয়েছে। ...অতএব প্রত্যেক হকদারের যথাযথ হক আদায় কর’ (বুখারী হা/১৯৭৫; মিশকাত হা/২০৫৪)। বিদায় হজ্জের ভাষণে তিনি বলেন, জেনে রাখ! তোমাদের যেমন তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি অধিকার আছে, তাদেরও তোমাদের প্রতি ঠিক সেরকমই অধিকার আছে (তিরমিযী হা/১১৬৩; ছহীহ আত-তারগীব হা/১৯৩০)। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, পুরুষের জন্য আবশ্যক হ’ল ন্যায়সঙ্গতভাবে স্ত্রীর প্রতি সংগত হওয়া। এটি স্ত্রীর খাদ্যদান অপেক্ষা অধিক গুরুত্বপূর্ণ অধিকার। তাই খাবারের ন্যায় প্রয়োজন অনুপাতে এটা করা ওয়াজিব (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩২/২৭১)।
অতএব কোন অসুবিধা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করতে হবে। এভাবে দূরে থাকা কোনভাবেই জায়েয হবে না। এক্ষণে যদি স্বামী সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও স্ত্রী থেকে দূরে থাকেন, সেক্ষেত্রে তিনি স্ত্রীকে তালাক দিবেন। তালাক দিতে অস্বীকার করলে বিচারক তালাকের ব্যবস্থা করবেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমা ২০/২৬১)। আর স্বামী যদি অক্ষম হন, সেক্ষেত্রে স্ত্রী ইচ্ছা করলে ‘খোলা’ করে স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্যত্র বিবাহ করতে পারেন।