
উত্তর : জুম‘আর খুৎবার ব্যাপারে শরী‘আতের নির্দেশনা হ’ল- ছালাত ও খুৎবা উভয়ই মধ্যম হবে (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪০৫)। তবে প্রয়োজন অনুযায়ী খুৎবা দীর্ঘ করাতেও কোন বাধা নেই। উম্মে হিশাম বলেন, আমি সূরা ক্বাফ মুখস্ত করেছি রাসূল (ছাঃ)-এর মুখ থেকে শুনে, যা তিনি প্রতি জুম‘আয় খুৎবা দানকালে পাঠ করতেন’ (মুসলিম হা/৮৭৩; মিশকাত হা/১৪০৯)। উল্লেখ্য যে, প্রতি জুম‘আয় পাঠ করা ওয়াজিব নয়, বরং ঐচ্ছিক। কারণ এর মধ্যে ওয়ায ও উপদেশসমূহ নিহিত রয়েছে (মির‘আত ৪/৪৯৮)। সূরা ক্বাফ পাঠ করা ছাড়াও রাসূল (ছাঃ) মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিতেন। এসময় তাঁর কন্ঠস্বর উঁচু হ’ত, চক্ষু লাল হয়ে যেত, ক্রোধ ভীষণ হ’ত। যেন তিনি কোন সৈন্যদলকে সতর্ক করছেন’ (মুসলিম হা/৮৬৭; মিশকাত হা/১৪০৭)। এতে বুঝা যায়, সূরা ক্বাফ পাঠ করা এবং এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার সময়সীমা অবশ্যই ছালাতের সময়সীমার চাইতে দীর্ঘ হ’ত। অতঃপর ‘খুৎবা সংক্ষিপ্ত ও ছালাত দীর্ঘ করা’র হাদীছের (মুসলিম হা/৮৬৯, মিশকাত হা/১৪০৬) ব্যাখ্যা এই যে, খুৎবা কখনো কখনো খুবই সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ হ’ত। সুতরাং প্রয়োজন মত খুৎবা দীর্ঘ করা যায়। তবে সর্বাবস্থায় খুৎবা সংক্ষিপ্ত হওয়াটাই উত্তম, যা খতীবের বিচক্ষণতার পরিচায়ক।