উত্তর : আব্দুল্লাহ
ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, ভাগ্যকে অস্বীকারকারীরা এ
উম্মতের অগ্নি উপাসকদের ন্যায়। তারা অসুস্থ হ’লে তোমরা তাদেরকে দেখতে যাবে
না। আর মারা গেলে তাদের জানাযায় অংশ নিবে না (আবুদাঊদ হা/৪৬৯১, সনদ হাসান)।
এর ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিছগণ বলেন, আলো এবং অন্ধকারের ব্যাপারে ক্বাদারিয়াদের
সাথে অগ্নি উপাসকদের মতবাদের সাদৃশ্যের কারণে রাসূল (ছাঃ) এরূপ বলেছেন।
মজূসীরা ধারণা করে যে, ভাল কথা ও কর্ম আলো থেকে আসে। আর মন্দ কথা ও কর্ম
অন্ধকার থেকে আসে। এভাবে তারা দ্বৈতবাদী। তেমনিভাবে ক্বাদারিয়ারা ভালো
কাজকে আল্লাহর সাথে এবং মন্দকর্মকে মানুষ, শয়তান ইত্যাদির সাথে সম্পৃক্ত
করে। অথচ আল্লাহ ভালো-মন্দ উভয়েরই স্রষ্টা। তাঁর ইচ্ছা ব্যতীত কোনটাই
সংঘটিত হয় না। সৃষ্টি ও অস্তিত্বে আনয়নের দিক দিয়ে এ দু’টি আল্লাহর সাথে
সম্পর্কিত এবং কর্ম ও উপার্জনের দিক দিয়ে এ দু’টি বান্দার সাথে সম্পর্কিত’ (নববী, শরহ মুসলিম ১/১৫৪; আযীমাবাদী, আওনুল মা‘বূদ শহর আবুদাঊদ ১২/২৯৫)।
আল্লাহ হ’লেন কর্মের স্রষ্টা এবং বান্দা হ’ল কর্মের বাস্তবায়নকারী’। অতএব
তাওহীদী আক্বীদার সাথে ক্বাদরিয়াদের আক্বীদা পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। যা থেকে
বিরত থাকা যরূরী।