উত্তর : আশূরায়ে মুহাররমে ৯-১০ অথবা ১০-১১ দু’দিন নাজাতে মূসার শুকরিয়ার নিয়তে দু’টি নফল ছিয়াম রাখতে হবে। ১০ই মুহাররম তারিখে ফেরাঊনের সাগরডুবি হয় এবং মূসা ও তাঁর বনু ইস্রাঈল সম্প্রদায় অত্যাচারী ফেরাঊনের হাত থেকে নাজাত পায়। তার শুকরিয়া হিসাবে মূসা (আঃ) এ দিন নফল ছিয়াম রাখেন। মূসার তাওহীদী আদর্শের সনিষ্ঠ অনুসারী হিসাবে উম্মতে মুহাম্মাদীকে এ দিন নফল ছিয়াম রাখতে বলা হয়েছে। ইহুদীরা কেবল ১০ তারিখে ছিয়াম রাখে। উম্মতে মুহাম্মাদীকে তার আগে বা পিছে আরেকদিন যোগ করে দু’দিন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে তার বিগত এক বছরের (ছগীরা) গোনাহ সমূহ মাফ করা হয় (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৪৪; বায়হাক্বী ৪/২৮৭)। নাজাতে মূসার শুকরিয়ার নিয়তে উক্ত ছিয়াম রাখতে হবে শাহাদাতে হোসায়েন-এর নিয়তে নয়। কেননা এই ছিয়ামের সূচনা হয়েছে মূসা (আঃ)-এর সময় থেকে। আর কারবালার ঘটনা ঘটেছে রাসূলের মৃত্যুর ৫০ বছর পরে ৬১ হিজরীতে (বিস্তারিত পাঠ করুন : আশূরায়ে মুহাররম ও আমাদের করণীয়’ বই)।