উত্তর : ‘বিটকয়েন’ হ’ল ক্রিপ্টোকারেন্সি বা একধরনের সাংকেতিক মুদ্রা। এর নিজস্ব কোন মূল্যমান নেই। বাস্তব কোন রূপ নেই। এর অস্তিত্ব কেবল ইন্টারনেটে। এজন্য একে ডিজিটাল, ভার্চুয়াল বা অনলাইন কারেন্সিও বলা হয়। বর্তমানে বিটকয়েনের অনুরূপ প্রশ্নোল্লেখিত রিপটনসহ বিভিন্ন নামে হাযারো সাংকেতিক মুদ্রার আবির্ভাব ঘটেছে। এর লেনদেনের জন্য কোন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন হয় না। ফলে এর কোন আইনসঙ্গত ভিত্তি নেই, কোন জওয়াবদিহিতাও নেই। প্রকৃত মুদ্রার বৈশিষ্ট্যও এতে নেই। ফলে এই মুদ্রার লেনদেন পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে নিষিদ্ধ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিটকয়েন ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও এর মূল্য প্রধানত ফটকামূলক লেনদেন থেকে প্রাপ্ত। ফলে আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে এর দর মারাত্মক ওঠানামা করে। যেহেতু গোটা বিষয়টি অজ্ঞাত, অনিশ্চয়তাপূর্ণ ও প্রতারণার ঝুঁকিপূর্ণ, অতএব এরূপ অনিয়মিত ও অপ্রকৃত মুদ্রার আদান-প্রদানে জড়িত হওয়া জায়েয নয়।

আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) ‘হাছাহ’ ও ‘গারার’ ব্যবসা হ’তে নিষেধ  করেছেন’  ( আহমাদ  হা/৭৪০৫; বায়হাক্বী হা/১০৩৯০, সনদ ছহীহ)। ‘হাছাহ’ ব্যবসা বলতে যখন বিক্রেতা ক্রেতার কাছে কাপড় বিক্রির সময় বলে, ‘আমি আপনার কাছে তা-ই বিক্রি করব যার উপর আমার ছোড়া পাথরটি পড়বে’। অথবা ‘আমি আপনাকে সেই জমিই বিক্রি করব যার উপর আমার ছোড়া পাথরটি পড়বে’। অর্থাৎ কোন দ্রব্যটি বিক্রি করা হচ্ছে তা জ্ঞাত নয়। ফলে এটি নিষিদ্ধ। আর ‘গারার’ হ’ল যা অনিশ্চিত বা অনুমাননির্ভর। অর্থাৎ হ’তেও পারে, নাও হ’তে পারে। যেমন পানির মাছ বিক্রি করা, গরুর বাঁটের দুধ বিক্রি করা কিংবা গর্ভবতী পশুর গর্ভে যা আছে তা বিক্রি করা ইত্যাদি। এটি নিষিদ্ধ। কারণ এতে ‘গারার’ বা প্রতারণার ঝুঁকি রয়েছে।

সুতরাং যেহেতু এটি পরিষ্কার যে, ডিজিটাল কারেন্সি একটি অজ্ঞাত উৎস হ’তে এবং অকর্তৃত্বশালী পক্ষ হ’তে প্রচলন করা হয়; আর এতে গারার বা অস্পষ্টতা রয়েছে এবং সেই সাথে ফটকামূলক লেনদেনের কারণে এতে জুয়ারও সম্পর্ক রয়েছে, সেহেতু এর ক্রয়-বিক্রয় বা এর সাথে সম্পৃক্ত হওয়া বৈধ নয়। তুরস্কের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আরব আমিরাত, মিসর ও ফিলিস্তীনের কেন্দ্রীয় ফৎওয়া বিভাগ, দারুল উলূম দেওবন্দের ফৎওয়া বিভাগসহ বিভিন্ন দেশের অধিকাংশ ইসলামী গবেষণা প্রতিষ্ঠান তাদের ওয়েবসাইটে ক্রিপ্টো কারেন্সিকে নাজায়েয ফৎওয়া দিয়েছে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘হালাল স্পষ্ট, হারামও স্পষ্ট। এর মধ্যবর্তী বিষয়সমূহ অস্পষ্ট, যা অনেক মানুষ জানে না। অতএব যে ব্যক্তি সন্দিগ্ধ বস্ত্তসমূহ থেকে বেঁচে থাকবে, সে ব্যক্তি তার দ্বীন ও সম্মানকে পবিত্র রাখল। আর যে ব্যক্তি সন্দিগ্ধ কাজে লিপ্ত হ’ল, সে হারামে পতিত হ’ল’ (বুখারী হা/২০৫১; মুসলিম হা/১৫৯৯; মিশকাত হা/২৭৬২)

                                                                                                                                                                                   প্রশ্নকারী : শফীকুল ইসলাম, সিঙ্গাপুর।






বিষয়সমূহ: ব্যবসা-বানিজ্য
প্রশ্ন (৩৫/৩১৫) : ছিয়াম অবস্থায় তরকারীর স্বাদ চেখে দেখলে ছিয়ামের কোন ক্ষতি হবে কি? - -ফাতেমা, পুঠিয়া, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৭/৪২৭) : মসজিদে টাইলস ফিটিং, এসি সংযোজন সহ শ্রীবৃদ্ধিমূলক বিবিধ প্রয়োজনে দান করা অথবা গরীব-মিসকীনের জন্য ব্যয় করা উভয়টির মধ্যে কোনটি উত্তম?
প্রশ্ন (২০/৩০০) : মৃত্যু যন্ত্রণা ও কবরের আযাব থেকে বাঁচার উপায় জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৪/৫৪) : এ্যালকোহলযুক্ত লোশন মাখা অবস্থায় ছালাত আদায় করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৮/৩৮) : সন্তান জন্মের ৭ম দিনে যদি কুরবানীর ঈদের দিন হয় তবে ক্রয়কৃত পশু শিশুর আকীকা হিসাবে দিতে হবে, না কুরবানী হিসাবে?
প্রশ্ন (১০/২১০) : হায়েযের রক্ত বন্ধ হওয়ার পর সহবাস করার জন্য গোসল কি আবশ্যক হবে? না ওযু বা কেবল পরিচ্ছন্ন হওয়ার মাধ্যমেই পবিত্রতা অর্জন করা যাবে?
প্রশ্ন (৩৭/৪৩৭) : গরীব-মিসকীনদের নিকট কুরবানীর গোশত পৌঁছানোর জন্য কোন সংস্থায় সহায়তা করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৬/৬৬) : কোন পরিবারের কেউ বিদেশে মারা গেলে দেশে তার পরিবারকে তিনদিন বাড়িতে রান্না করা থেকে বিরত থাকতে হবে কি?
প্রশ্ন (৪/৩২৪) : একটি বইয়ে লেখা হয়েছে, ঈদায়নের ছালাতে ১২ তাকবীরের হাদীছগুলি যঈফ। শায়খ আলবানী ব্যতীত অন্য কোন মুহাদ্দিছ এসব হাদীছকে ছহীহ বলেননি। এর সত্যতা আছে কি? - -আতীকুল ইসলামবড় বনগ্রাম, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৬/১০৬) : যেনাকারীকে আ­ল্লাহ তা‘আলা ক্বিয়ামতের দিনে কেমন শাস্তি দিবেন?।
প্রশ্ন (২২/১৪২) : ডান হাতে তাসবীহ গণনার সময় ডান দিকের আঙ্গুল দিয়ে শুরু করতে হবে কি? - -শরীফ হোসাইন, রাজশাহী।
প্রশ্নঃ (৯/৪০৯): কোন্ দুই ব্যক্তি রাসুল (ছাঃ)-এর সুফারিশ ছাড়াই জান্নাতে যাবে? তারা দুনিয়াতে কী ধরনের আমল করতেন?
আরও
আরও
.