উত্তর : উক্ত মর্মে সমাজে যে বর্ণনা প্রচলিত আছে তা ভিত্তিহীন (সিলসিলা যঈফাহ হ/৫১০৩)। এবিষয়ে সঠিক আক্বীদা হল, আল্লাহ তা‘আলা আরশের উপরে সমুন্নীত। এ সম্পর্কে কুরআনে সাতটি আয়াত বয়েছে (সূরা ইউনুস ৩; আ‘রাফ ৫৪; ত্বোয়াহা ৫; ফুরক্বান ৫৯; সাজদাহ ৪; হাদীদ ৪)। একাধিক ছহীহ হাদীছ দ্বারাও তা প্রমাণিত (মুসলিম হা/১২২৭; বুখারী হা/৭৪২৩)।
তবে আল্লাহ তাঁর ইলম ও কুদরতের মাধ্যমে সকলের সাথে থাকেন। যেমন তিনি মূসা ও
হারূণকে বলছেন, لاَ تَخَافَا إِنَّنِيْ مَعَكُمَا أَسْمَعُ وَأَرَى ‘ভয়
করো না। আমি তোমাদের সাথে আছি। আমি সব শুনছি ও দেখছি (ত্বোয়াহা ৪৬)।
আল্লাহ্র নাম ও গুণাবলীর অসীলায় দো‘আ করা যাবে। যেমন, يا رحيم ارحمنى، يا رزاق ارزقنى، يا هادى اهدنى، يا ناصر انصرنى ‘হে দয়ালু! আমাকে দয়া কর। হে রূযীদাতা! আমাকে রূযী দাও। হে পথ প্রদর্শক! আমাকে সুপথ দেখাও। হে সাহায্যকারী! আমাকে সাহায্য কর’ ইত্যাদি। এভাবে অর্থ বুঝে দো‘আ করলে হৃদয়ে প্রশান্তি আসে। আল্লাহ্র প্রতি নির্ভরতা বৃদ্ধি পায় ও দেহমনে শক্তি আসে। বস্ত্ততঃ ছিফাতী নামগুলি আল্লাহ্র একত্ববাদ, তাঁর দয়া, দানশীলতা ও সর্বোচ্চ শক্তি হওয়ার প্রমাণ বহন করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আল্লাহ্র সুন্দর নাম সমূহ রয়েছে তোমরা সেগুলির মাধ্যমে আল্লাহকে ডাক (আ‘রাফ ১৮০)।