উত্তর : নিজেকে সংশোধন করা, দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া এবং দ্বীনকে শক্তিশালী করার জন্য মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা কোনটির গুরুত্বই কম নয়। তবে প্রত্যেক আদম সন্তানের প্রাথমিক ও মৌলিক দায়িত্ব হ’ল নিজের আমল সংশোধন করাই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, নিশ্চয়ই সফল হয় সেই ব্যক্তি, যে পরিশুদ্ধ হয় (আ‘লা ৮৭/১৪)। যারা নিজেদের সংশোধন না করে মানুষকে দাওয়াত দেয় তাদের পরিণতি বর্ণনা করে আল্লাহ বলেন, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা এমন কথা কেন বল যা তোমরা কর না? আল্লাহর নিকটে বড় ক্রোধের বিষয় এই যে, তোমরা বল এমন কথা যা তোমরা কর না? (ছফ ৬১/২-৩)। সুতরাং প্রথমে নিজেকে সংশোধন করতে হবে এবং অপরকে সংশোধনের চেষ্টা করতে হবে। অতঃপর দ্বীনকে শক্তিশালী করার জন্য এবং দ্বীনের ব্যাপক প্রচার ও প্রসারের জন্য হকপন্থী মানুষদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা চালাতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগন! তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে (জাহান্নামের) আগুন থেকে রক্ষা কর’ (তাহরীম ৬৬/৬)। তিনি তাঁর রাসূলকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘তুমি বল, এটাই আমার পথ। আমি ও আমার অনুসারীগণ ডাকি আল্লাহর দিকে জাগ্রত জ্ঞান সহকারে’ (ইউসুফ ১২/১০৮)। তিনি আরও বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে লড়াই করে সারিবদ্ধভাবে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায়’ (ছফ ৬১/৪)।
প্রশ্নকারী : রফীকুল ইসলাম, মাতুয়াইল, ঢাকা।