উত্তর: এগুলি সুন্নাত বিরোধী কাজ। বিনা প্রয়োজনে বহনকারী পরিবর্তনের কোন বিধান নেই। তবে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে পারে। আর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দু’টি কবরের উপরে যে খেজুরের দু’টি কাঁচা চেরা ডাল পুঁতেছিলেন, সেটা ছিল তাঁর জন্য ‘খাছ’। তাঁর বা কোন ছাহাবীর পক্ষ থেকে পরবর্তীতে এমন কোন আমল করার নযীর নেই বুরাইদা আসলামী (রাঃ) ব্যতীত। কেননা তিনি এটার জন্য অছিয়ত করেছিলেন (বুখারী হা/১৩৬১)। অতএব এটা স্পষ্ট যে, কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নেক আমলের কারণেই কবর আযাব মাফ হ’তে পারে। ফুল দেওয়া বা কাঁচা ডাল পোতার কারণে নয়। কেননা এসবের কোন প্রভাব মাইয়েতের উপর পড়ে না। যেমন আব্দুর রহমান (রাঃ)-এর কবরের উপর তাঁবু খাটানো দেখে ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, ওটাকে হটিয়ে ফেল হে বৎস! কেননা ওটা তার আমলের উপরে ছায়া করছে বা বাধা সৃষ্টি করছে (দ্র. ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ‘মৃত্যুর পরে প্রচলিত বিদ‘আত সমূহ’ অধ্যায়; ফাৎহুল বারী ১/৩২০; মির‘আত ২/৫২; বিস্তারিত দ্রঃ আলবানী, মিশকাত হা/৩৩৮-এর টীকা ৫)। আর কবরের মাটি দৃঢ় করার জন্য কবরে পানি ছিটিয়ে দেওয়া মুস্তাহাব। রাসূল (ছাঃ) তাঁর সর্বশেষ পুত্র ইব্রাহীমকে দাফন করার পর কবরের উপর পানি ছিটিয়ে ছিলেন (ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/৬১৪১; মিশকাত হা/১৭০৮; ছহীহাহ হা/৩০৪৫)। তবে পানি ছিটানোর মাধ্যমে মাইয়েত প্রশান্তি পাবে, তার কল্যাণ হবে এরূপ ধারণার কোন ভিত্তি নেই (উছায়মীন, তা‘লীক্ব ‘আলাল কাফী ২/৩৮৯)।
প্রশ্নকারী : মামূনুর রশীদ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।