উত্তর : বিবাহিতা নারীর জন্য স্বামীর অনুসরণ করা কর্তব্য। স্বামী পড়াতে চাইলে পর্দার বিধান মেনে পড়াশুনা করবে। স্বামী সংসারে মনোনিবেশ করতে বললে তাই করবে। যদি পিতা-মাতা এবং স্বামীর আদেশ-নিষেধের মাঝে চূড়ান্ত বৈপরীত্য দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে সংসার জীবনে বৈষয়িক বিষয় সমূহে স্বামীর আদেশকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কেননা বিবাহের পূর্ব পর্যন্ত নারীরা পিতা-মাতার নিয়ন্ত্রণাধীনে থাকে। কিন্তু বিবাহের পর তারা স্বামীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। সুতরাং সেসময় স্বামীর আদেশ-নিষেধ মান্য করাই তার জন্য যরূরী হবে। ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, বিবাহিতা নারীর স্বামীই আনুগত্যের ক্ষেত্রে পিতা-মাতার উপর অগ্রগণ্য। তার জন্য স্বামীর আনুগত্য করা ফরয (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩২/২৬১)। অন্যত্র তিনি বলেন, পিতা-মাতা বা অন্য কেউ আদেশ দিলেও স্ত্রী স্বামীর অনুমতি ব্যতীত বাইরে বের হ’তে পারবে না। এই ব্যাপারে চার ইমামের ঐক্যমত রয়েছে (মাজমূঊল ফাতাওয়া ৩২/২৬৩)। উল্লেখ্য যে, ইসলামী পর্দার বিধান মেনে দ্বীনী ইলম অর্জনের পাশাপাশি পরিবার ও সামাজিক জীবন পরিচালনার জন্য বৈষয়িক জ্ঞান অর্জন করা দোষণীয় নয়। বৈষয়িক জ্ঞানও ইসলামের পথে ও সামাজিক কল্যাণে ব্যয় করলে, তাতে ছওয়াব রয়েছে।
-প্রশ্নকারী : ইবনাত বিভা, দিনাজপুর।
* [আরবীতে ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]