উত্তর : প্রথমত : ইসলামী আক্বীদা ও আমল প্রতিষ্ঠা ও ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা দু’টি ভিন্ন বিষয়। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে যারা দ্বীনের মৌলিক উদ্দেশ্য বলে ধারণা করে থাকেন, বা ধর্মই রাজনীতি বলে প্রচারণা চালান, তারা দ্বীনকে সম্পূর্ণ ভুল অর্থে গ্রহণ করেছেন। মূলতঃ ইসলামী আক্বীদা ও আমল নিজের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠা করা প্রত্যেকের উপর ফরয দায়িত্ব। আর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বিষয়টি আল্লাহর হাতে। নিজের জীবনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা যেমন ফরয দায়িত্ব, তেমনি রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য যাবতীয় বৈধ প্রচেষ্টা চালানোও প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয দায়িত্ব। কিন্তু রাষ্ট্র কায়েম করাই ইসলাম এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা অর্জন করাই হল ইক্বামতে দ্বীন বা দ্বীনের বিজয়, এটি হ’ল চরমপন্থী খারেজীদের আক্বীদা। ইসলামের মৌলিক আক্বীদা-বিশ্বাসের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।

দ্বিতীয়ত : জিহাদ বলতে উক্ত ব্যক্তিরা সম্ভবত ক্বিতাল বা ‘সশস্ত্র সংগ্রাম’কে বুঝিয়েছেন। মূলতঃ কিতাল বা সশস্ত্র সংগ্রাম করার জন্য বিশেষ কিছু শর্ত রয়েছে, যা পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কিতাল ‘ফরয’ হয় না। শর্তগুলো হল- একজন প্রতিষ্ঠিত ও ক্ষমতাপ্রাপ্ত আমীর থাকা, উপযুক্ত প্রতিপক্ষ থাকা, জিহাদের প্রকাশ্য ঘোষণা থাকা। এ সকল শর্ত পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কিতাল ফরয হয় না, যেমনভাবে নিছাব পরিমাণ সম্পদ না থাকলে যাকাত ফরয হয় না। সুতরাং একজন মুসলিম হিসাবে সর্বদা বাতিলের বিরুদ্ধে জিহাদের চেতনা থাকা এবং শহীদ হওয়ার আকাংখা থাকা অবশ্যই যরূরী। কিন্তু একক ও বিচ্ছিন্নভাবে জিহাদের নামে অস্ত্রবাজি করা অবৈধভাবে মানুষ হত্যা করার পর্যায়ভুক্ত হবে। বস্ত্ততঃ তাওহীদের মর্মবাণীকে জনগণের নিকটে পৌঁছে দেওয়া ও তাদের মর্মমূলে প্রোথিত করাই হ’ল প্রকৃত দাওয়াত এবং জাহেলিয়াতের বিরুদ্ধে আপোষহীন জিহাদই হ’ল দ্বীন কায়েমের সঠিক পদ্ধতি। আর আক্বীদা ও আমলের সংশোধনের মাধ্যমেই সমাজের সার্বিক সংস্কার সাধন সম্ভব। এটাই হ’ল নবীগণের চিরন্তন তরীকা। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ সেপথেই সংগ্রাম করে থাকে। (এবিষয়ে আত-তাহরীকে প্রকাশিত দরসে কুরআন জিহাদ ও ক্বিতাল’ (ডিসেম্বর ২০০১) এবং হা,ফা,বা প্রকাশিত ইক্বামতে দ্বীন’ বইটি পাঠ করুন)







প্রশ্ন (১৪/৪৫৪) : মাসিক আত-তাহরীকে পূর্বে বলা হয়েছিল, ইউসুফ (আঃ)-এর সাথে যুলায়খার বিবাহ হয়নি। কিন্তু নবী কাহিনীতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তাদের মাঝে বিবাহ হয়েছিল এবং সন্তানও হয়েছিল। সঠিক বিষয়টি কি?
প্রশ্ন (৩০/৩৯০) :পরিবার প্রধান হজ্জে গিয়ে কুরবানী করলে দেশে কুরবানীর করার প্রয়োজন আছে কি?
প্রশ্ন (২৪/২২৪) : কোন ব্যক্তি নিজের মধ্যে ভীতি সৃষ্টির জন্য কাফনের কাপড় কিনে রাখতে পারবে কি?
প্রশ্ন (৬/২৪৬) : অমুসলিম দেশের ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত স্থানে ঘুরতে যাওয়া মুসলমানদের জন্য জায়েয হবে কি? বিশেষত সেখানে যদি অমুসলিম নারী-পুরুষের খোলামেলা চলাফেরা চোখে পড়ার নিশ্চিত সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে এটা কতটুকু জায়েয হবে?
প্রশ্ন (৫/৪০৫) : আমরা পাঁচ ভাই যৌথভাবে পিতার সংসারে কাজ করি। কোন কোন ভাই গোপনে টাকা-পয়সা, ধান-চাল বিক্রয় করে জমা করে রাখে। এ ব্যাপারে শারঈ বিধান জানতে চাই।
প্রশ্ন (৬/৮৬) : আমরা মেসে ৫জন একত্রে থাকি ও খাই। আমাদের মধ্যে একজন অমুসলিম। শিডিউল অনুযায়ী সবাই রান্না করে। এক্ষণে অমুসলিম বন্ধুর রান্না করা খাবার খাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৭/৭) : বিবাহ ঠিক হওয়ার সময় শারঈ জ্ঞান না থাকায় মোহরানা অধিক পরিমাণে নির্ধারণ করা হয়। ছাত্রজীবনে থাকায় ব্যক্তিগত কোন উপার্জন নেই। ফলে পরিশোধেরও সামর্থ্য নেই। এক্ষণে আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (৩৯/১৫৯) : মাসজিদুল হারামে ছালাত আদায়ের নেকী ১ লাখ গুণ বেশী। এটা কি নারীদের জন্যও প্রযোজ্য? কারণ নারীদের জন্য তো ঘরে ছালাত আদায়ই উত্তম। আমার মা ওমরায় যাচ্ছেন। তার জন্য সেখানে হোটেলে ছালাত আদায় করা উত্তম হবে কি?
প্রশ্ন (১/১২১): সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য চোখের ভ্রু উঠিয়ে ফেলা বা কাটছাঁট করা কি শরী‘আত সম্মত?
প্রশ্ন (৫/৩৬৫) : জেলখানার লকআপে জুম‘আর ছালাতের আয়োজন করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১১/৩৩১) : ইসলামী শরী‘আতে স্বামীকে আপনি, তুমি বা তুই সম্বোধন করার ব্যাপারে কোন নির্দেশনা আছে কি?
প্রশ্ন (২৬/১৪৬) : মৃত স্বামীর জন্য ইদ্দত পালনকালে স্ত্রী নখ-চুল ইত্যাদি কাটতে পারবে কি?
আরও
আরও
.