উত্তর : হাদীছটি
হ’ল- আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি একদিন উপস্থিত লোকদের
বললেন, ‘আমি কি তোমাদের নিয়ে রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাতের ন্যায় ছালাত পড়ব?
অতঃপর তিনি ছালাত পড়লেন এবং তাতে তাকবীরে তাহরীমা ব্যতীত অন্য সময় রাফ‘উল
ইয়াদায়েন করলেন না’ অর্থাৎ দু’হাত তুললেন না (তিরমিযী হা/২৫৭; আহমাদ হা/৪২১১; আবুদাউদ হা/৭৪৮; মিশকাত হা/৮০৯)।
হাদীছটির সনদ ছহীহ হ’লেও তা ‘শায’ (অর্থাৎ অন্য ছহীহ হাদীছ সমূহের বিপরীত)। সুতরাং তা আমলযোগ্য নয়। তাছাড়া হাদীছটি জানাযার ছালাতের তাকবীর সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে বলে মুহাদ্দিছগণ মত প্রকাশ করেছেন (আলবানী, আহকামুল জানায়েয ১/১১৬)।
উল্লেখ্য যে, রুকূতে যাওয়া ও রুকূ হ’তে ওঠার সময় ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’ করা সম্পর্কে চার খলীফাসহ প্রায় ২৫ জন ছাহাবী থেকে বর্ণিত ছহীহ হাদীছ সমূহ রয়েছে। একটি হিসাব মতে, ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’-এর হাদীছের রাবী সংখ্যা ‘আশারায়ে মুবাশ্শারাহ’ ১০জন সহ অন্যূন ৫০ জন ছাহাবী (ফাৎহুল বারী ২/২৫৮) এবং সর্বমোট ছহীহ হাদীছ ও আছারের সংখ্যা অন্যূন চারশত (মাজদুদ্দীন ফীরোযাবাদী, সিফরুস সা‘আদাত ১৫ পৃ.)। ইমাম বুখারী বলেন, কোন ছাহাবী রাফ‘উল ইয়াদায়েন তরক করেছেন বলে প্রমাণিত হয়নি। তিনি আরও বলেন ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’-এর হাদীছ সমূহের সনদের চেয়ে বিশুদ্ধতম সনদ আর নেই’ (ফাৎহুল বারী ২/২৫৭)।
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, ‘রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতের শুরুতে, রুকূতে যাওয়াকালীন ও রুকূ হ’তে ওঠাকালীন সময়ে... এবং ২য় রাক‘আত থেকে উঠে দাঁড়াবার সময় ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’ করতেন’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, বুখারী, মিশকাত হা/৭৯৩-৯৪)। হাদীছটি বায়হাক্বীতে বর্ধিতভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, ‘এভাবেই তাঁর ছালাত জারী ছিল, যতদিন না তিনি আল্লাহর সাথে মিলিত হন’। অর্থাৎ আমৃত্যু তিনি রাফ‘উল ইয়াদায়েন সহ ছালাত আদায় করেছেন। হাসান বছরী ও হামীদ বিন হেলাল বলেন, সকল ছাহাবী উক্ত তিন স্থানে রাফ‘উল ইয়াদায়েন করতেন’ (বায়হাক্বী, মা‘রিফাতুস সুনান ওয়াল আছার হা/৮১৩, ‘মুরসাল হাসান’ ২/৪৭২, দ্র. ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ১০৮-১১১)।
[সংশোধনী : গত আগস্ট’১৯ সংখ্যায় (১০/৪১০) প্রশ্নোত্তরে ‘কুরবানীর চামড়া, গোশত এবং কুরবানীর প্রাণীর কোন অংশ বিক্রয় করা যাবে না’ বলা হয়েছে, যা ভুল। বরং সঠিক উত্তর হল, চামড়া বিক্রি করে তার মূল্য ফকীর-মিসকীনদের মধ্যে বিতরণ করে দিতে হবে (মির‘আত ৫/১২১)।]