উত্তর : আল্লাহ তা‘আলা দু’টি কারণে বিপদ-আপদ দেন। প্রথমতঃ পাপীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য। যেমন আল্লাহ বলেন, তোমাদের যেসব বিপদাপদ হয়, তা তোমাদের কৃতকর্মের ফল (শূরা ৪২/৩০)। অন্যত্র আল্লাহ তা‘আলা বলেন, স্থলে ও সমুদ্রে সর্বত্র বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে মানুষের কৃতকর্মের দরুন। এর মাধ্যমে আল্লাহ তাদের কর্মের কিছু শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা (আল্লাহর দিকে) ফিরে আসে (রূম ৩০/৪১)। দ্বিতীয়তঃ আল্লাহ তা‘আলা তঁার প্রিয় বান্দাদের পরীক্ষা করে গুনাহমুক্ত করতে চান ও উত্তম পুরস্কার দিতে চান। যেমন আল্লাহ তা‘আলা উক্ত আয়াতের শেষে বলেন, ‘আর তিনি তোমাদের অনেক পাপ মার্জনা করে দেন’ শূরা ৪২/৩০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘মুমিনের অবস্থা বিস্ময়কর। সকল কাজই তার জন্য কল্যাণকর। মুমিন ছাড়া অন্য কেউ এ বৈশিষ্ট্য লাভ করতে পারে না। তারা সুখ-শান্তি লাভ করলে শুকরগুযার হয় আর অস্বচ্ছলতা বা দুঃখ-মুছীবতে আক্রান্ত হ’লে ছবর করে, প্রত্যেকটাই তার জন্য কল্যাণকর’ (মুসলিম হা/২৯৯৯; মিশকাত হা/৫২৯৭)। তিনি আরো বলেন, ‘কোন ঈমানদার ব্যক্তির শরীরে কোন কাটার আঘাত কিংবা তার চাইতেও কোন নগণ্য আঘাত লাগলে আল্লাহ তা‘আলা তার একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দেন কিংবা তার একটি গুনাহ মোচন করে দেন’ (মুসলিম হা/২৫৭২)। তিনি আরো বলেন, আল্লাহর পক্ষ হ’তে কোন মানুষের জন্য যখন কোন মর্যাদা নির্ধারিত হয়, যা সে আমল দিয়ে লাভ করতে পারে না, তখন আল্লাহ তাকে তার শরীরে অথবা তার সন্তান-সন্ততির ওপর বিপদ ঘটিয়ে পরীক্ষা করেন। এতে তাকে ধৈর্যধারণ করারও শক্তি দান করেন। যাতে সেরূপ মর্যাদা লাভ করতে পারে, যা আল্লাহর তরফ হ’তে তার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে’ (আবূদাউদ, ছহীহাহ হা/২৫৯৯)। তিনি আরো বলেন, ‘বড় পরীক্ষায় বড় পুরস্কার রয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা যখন কোন জাতিকে ভালবাসেন, তখন তার পরীক্ষা নেন। ফলে তাতে যে সন্তুষ্টি (ধৈর্য) প্রকাশ করবে, তার জন্য (আল্লাহর) সন্তুষ্টি রয়েছে। আর যে (আল্লাহর পরীক্ষায়) অসন্তুষ্ট হবে, তার জন্য রয়েছে আল্লাহর অসন্তুষ্টি’ (তিরমিযী, ছহীহাহ হা/১৪৬)। অতএব কুরআন এবং হাদীছের মধ্যে কোন বিরোধ নেই।

প্রশ্নকারী :বাহারুল আলম, চুয়াডাঙ্গা।







বিষয়সমূহ: পাপ
প্রশ্ন (১১/৩৩১) : ইসলামী শরী‘আতে স্বামীকে আপনি, তুমি বা তুই সম্বোধন করার ব্যাপারে কোন নির্দেশনা আছে কি?
প্রশ্ন (২৯/৬৯) : তেল বা সুগন্ধি ব্যবহার করা কি সুন্নাত? - -মিনহাজ পারভেয, হড়গ্রাম, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১০/৫০) : পানি পানের আদব সম্পর্কে জানতে চাই। - -কামাল হোসেন, গুরুদাসপুর, নাটোর।
প্রশ্ন (৩৯/৩১৯) : চার সন্তানের জনক জনৈক ব্যক্তি বিবাহের ৮-১০ বছর পর থেকে বিগত ১৬ বছর যাবত একই বাসায় থাকলেও স্ত্রী সংসর্গ থেকে দূরে থাকেন এবং পৃথক বিছানায় রাত্রি যাপন করেন। একারণে স্ত্রী তার ব্যাপারে বিভিন্ন সন্দেহ করেন। এমতাবস্থায় তাদের বিবাহ ঠিক আছে কি? এক্ষণে স্বামী বা স্ত্রীর জন্য করণীয় কি? - -ইবরাহীম খলীল, ঢাকা।
প্রশ্ন (২/৪৪২) : কোন পিতা যদি নাবালিকা সন্তানের জন্য স্বর্ণ ক্রয় করে রাখে। আর সেটা যদি নিছাব পরিমাণ হয় তবে কি তার যাকাত দিতে হবে? আর যদি তা নিছাব পরিমাণ না হয়, তবে কি পিতার সম্পদের সাথে সংযুক্ত করে পিতাকে যাকাত দিতে হবে?
প্রশ্ন (১৯/২১৯) : বিবাহ ঠিক হওয়ার পর বিবাহ পড়ানোর কিছুদিন দেরী আছে। এক্ষণে পাত্রীর সাথে পাত্র প্রয়োজনীয় কথাবার্তা বলতে পারবে কি?
প্রশ্ন (২৩/১০৩) : যোহরের পূর্বে চার রাক‘আত সুন্নাত ছালাত এক সালামে পড়তে হবে কি? - -রেযা, হালসা, নাটোর।
প্রশ্ন (১/২০১) : সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সাথে যুক্ত হয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা সেবা চালু করেছে। সকল শিক্ষার্থীর জন্য স্বাস্থ্যবীমায় প্রতি বছর ২৭০ টাকা দেওয়া বাধ্যতামূলক। বিনিময়ে সকল শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা ও মেডিক্যাল ব্যয়ভার বহন করবে প্রতিষ্ঠানটি। এ অর্থ গ্রহণ করা কি জায়েয হবে?
প্রশ্ন (৪/৩২৪) : একটি বইয়ে লেখা হয়েছে, ঈদায়নের ছালাতে ১২ তাকবীরের হাদীছগুলি যঈফ। শায়খ আলবানী ব্যতীত অন্য কোন মুহাদ্দিছ এসব হাদীছকে ছহীহ বলেননি। এর সত্যতা আছে কি? - -আতীকুল ইসলামবড় বনগ্রাম, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৬/১৯৬) : অনেকেই মসজিদে বিভিন্ন পণ্য কিংবা ফলমূল দান করেন। সেগুলো সবাইকে ডেকে নিলামে তুলে বিক্রয় করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : কুরবানী একটির বেশী করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৩৬/১৯৬) : দাড়ি শেভ করা ব্যক্তির ছালাত কবুল হবে কি?
আরও
আরও
.