উত্তর : রাসূল (ছাঃ) বলেন, কেউ আমাকে সালাম দিলে আল্লাহ তা আমার রূহের উপর ফিরিয়ে দেন। অতঃপর আমি উক্ত সালামের উত্তর দেই (আবুদাউদ হা/২০৪১; মিশকাত হা/৯২৫)। এজন্য একদল ফেরেশতা নিয়োজিত রয়েছে (নাসাঈ, দারেমী, মিশকাত হা/৯২৪)। অর্থাৎ ফেরেশতা মারফত তাঁর নিকট সালাম পৌঁছানো হয়। একথার অর্থ এটা নয় যে, দুনিয়ার মত তিনি কবরে জীবিত আছেন। বরং এর অর্থ হল, তাঁর রূহ ‘আলামে বারযাখে জীবিত রয়েছে। যা দুনিয়ার জীবন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা এবং যা কখনো দুনিয়ায় ফিরে আসবে না। আল্লাহ বলেন, ‘আর তাদের (মৃতদের) সামনে পর্দা থাকবে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত’ (মুমিনূন ২৩/১০০)

কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মাধ্যমে রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুবরণের বিষয়টি দিবালোকের ন্যয় স্পষ্ট হয়ে গেছে। আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মরণশীল এবং তারাও মরণশীল’ (যুমার ৩৯/৩০)। তিনি অন্যত্র বলেন, ‘আমরা তোমার পূর্বেও কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করিনি। সুতরাং তোমার মৃত্যু হলে তারা কি চিরজীবী হয়ে থাকবে?’ (আম্বিয়া ২১/৩৪)। তিনি আরো বলেন, ‘মুহাম্মাদ একজন রাসূল মাত্র। তার পূর্বে বহু রাসূল গত হয়ে গেছে। সুতরাং যদি সে মারা যায় অথবা নিহত হয়, তবে কি তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করবে? (আলে-ইমরান ৩/১৪৪)

রাসূল (ছাঃ) যখন মৃত্যুবরণ করেছিলেন তখন তাঁর এই মৃত্যু সংবাদ ওমর (রাঃ) কোন মতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। ফলে তিনি অশান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তখন আবুবকর (রাঃ) বলেছিলেন, ‘যারা মুহাম্মাদ-এর ইবাদত করে তারা জেনে রাখুক যে, মুহাম্মাদ মারা গেছেন। আর যারা আল্লাহর ইবাদত করে তারা জেনে রাখুক যে, আল্লাহ চিরঞ্জীব, তিনি মরেন না’ (বুখারী হা/৩৬৬৮)। অন্য হাদীছে এসেছে, আয়েশা (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর মৃত্যুকালীন আযাব সম্পর্কে বলেন যে, তাঁর সামনে একটি পাত্রে পানি রাখা ছিল। তিনি তাতে হাত প্রবেশ করাচ্ছিলেন। আর মুখমন্ডল ধৌত করছিলেন এবং বলছিলেন, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। নিশ্চয়ই মৃত্যু যন্ত্রণা খুবই কঠিন। এরপর দু’হাত তুলে বলতে লাগলেন, আমাকে উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন বন্ধুর সাথে মিলিত কর। এ অবস্থাতেই তাঁর জান কবয হয়ে গেল এবং তাঁর হাত এলিয়ে পড়ল’ (বুখারী হা/৬৫১০; মিশকাত হা/৫৯৫৯)






প্রশ্ন (১৪/৪১৪) : কোন কারণ ছাড়া পরিবার পরিকল্পনা করা যাবে কি? কারণগুলো বিস্তারিত জানাবেন।
প্রশ্ন (৬/২৮৬) : রাসূল (ছাঃ) কি কখনো আল্লাহকে দেখেছেন? জনৈক আলেম বলেন, তিনি তাকে স্বপ্নে সোনার জুতা পরিহিত একজন যুবকের আকৃতিতে দেখেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২২/৩৮২) : পিতাকে কষ্ট দেওয়া সন্তানের জন্য মহাপাপ। কিন্তু পিতা যদি সন্তানকে কষ্ট দেয়, তাহ’লে তাঁর শাস্তি কি? পিতা আমাকে ৮ বছর পূর্বে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছেন। বহুবার তার নিকটে ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু তিনি ও মা-ভাই-বোন সকলে মিলে আমাকে স্থান দেয়নি। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -রতন আলী, কামারখন্দ, সিরাজগঞ্জ।
প্রশ্ন (১৪/৪১৪) : আমার পিতা ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে আমাকে চাকুরী নিয়ে দিয়েছেন। এক্ষণে আমার জন্য উক্ত চাকুরীর বেতনের টাকা দিয়ে সংসার চালানো জায়েয হচ্ছে কি?
প্রশ্ন (৩৬/৩৬) : যে ব্যক্তি কুরবানীর নিয়ত করেছে, সে যদি যিলহজ্জের চাঁদ ওঠার পর চুল-নখ ইত্যাদি কর্তন করে, তবে তার বিধান কি? তাছাড়া এরূপ চুল-নখ কর্তনের পিছনে হেকমত কি? - -মারজান মারযূক, লাবসা, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (২৭/২২৭) : এমন কোন নিয়মিত আমল বা দো‘আ আছে কি, যা নিয়মিত পাঠ করলে বর্তমান ও ভবিষ্যতে নানা রোগ-ব্যাধি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে? - -সিলভিয়া খাতূনশিমুলতলী, গাযীপুর।
প্রশ্ন (৩২/৩২) : আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, বৃক্ষ মেলায়, পার্কে, খেলনা ট্রেন বা চরকি ইত্যাদি স্থাপন করে ছেলে-মেয়ে উভয়কে তুলে ব্যবসা করি। আমার এ ব্যবসা হালাল হবে কি?
প্রশ্ন (২৭/৬৭) : দাহিয়াতুল কালবী নামক বিখ্যাত ছাহাবীর নামের অর্থ কি? ছাহাবীদের নামে নাম রাখার কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (২৫/২৫) : পশ্চিমা দেশগুলোতে পড়াশোনা বা চাকুরীর জন্য গিয়ে গাড়ি, বাড়ি, টিউশন ফি সহ বিভিন্ন খাতে ঋণ নিতে বাধ্য হ’তে হয়। যার উপর অল্প হ’লেও নিয়মিতভাবে সূদ পরিশোধ করতে হয়। বাধ্যগত অবস্থায় এভাবে সূদের উপর ঋণ নেওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৬/২৪৬) : খেলাধুলার সামগ্রী যেমন ব্যাট, ফুটবল, লাটিম ইত্যাদি বিক্রয়ের দোকান করায় শরী‘আতে কোন বাধা আছে কি?
প্রশ্নঃ (২০/১৮০) : যে সমস্ত ছালাতে সরবে ক্বিরাআত পড়ার হুকুম রয়েছে, সেই ছালাতগুলো একাকী পড়লে ক্বিরাআত নীরবে পড়া যাবে কি?
প্রশ্ন (৮/৮৮) : অন্যান্য প্রাণী হারাম হ’লেও মৃত মাছ খাওয়া জায়েয হওয়ার কারণ কি?
আরও
আরও
.