উত্তর : লাইলী-মজনু খৃষ্টীয় ৭ম শতাব্দীতে রচিত বিখ্যাত প্রেমমূলক কাব্যকাহিনীর দু’টি প্রধান চরিত্রের নাম। তাদের প্রেমের ঘটনাকে উপলক্ষ করে লায়লী-মজনু নামে খ্যাতনামা সুন্নী মুসলিম ফার্সী কবি নিযামী গাঞ্জাবী (১১৪১-১২০৯ খৃ.) মহাকাব্য রচনা করেন। মজনু ও লায়লা উভয়ে শৈশবকালে মেষ চরানোর সময় পরস্পরের প্রেমে পড়ে। কিন্তু তাদের পরিবার তাদের বিয়েতে আপত্তি করে। ফলে মজনু লায়লার প্রেমে পাগল হয়ে ঘুরতে থাকেন ও অবশেষে মজনু (পাগল) নামেই বিখ্যাত কবি হিসাবে পরিচিত হন।

মজনুর প্রকৃত নাম সম্বন্ধে মতভেদ রয়েছে। যেমন ক্বায়েস বিন মুলাউয়াহ, বাখতারী বিন জা‘দ বা অন্য কিছু। তার গোত্রের নাম বনূ ‘আমের বিন ছা‘ছা‘আহ অথবা বনূ কা‘ব বিন সা‘দ। প্রেমিকা লায়লার নাম লায়লা বিনতে মাহদী আল-‘আমেরিয়াহ। আবু ওবায়দাহ বলেন, প্রেমে মত্ত হয়ে তিনি পাগল হয়ে যান। কথিত আছে যে, লায়লার গোত্র বাদশাহর নিকট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেশ করে। ফলে বাদশাহ তার রক্ত মূল্যহীন ঘোষণা করেন। লায়লার গোত্র তাকে বাড়ী নিয়ে যায়। অন্যদিকে মজনু তার গোত্রে গিয়ে লায়লার প্রেমে আত্মহারা হয়ে কবিতা গাইতে থাকে। যা ছিল গভীর প্রেমমূলক। যা ইতিহাসে অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রেমকাব্য হিসাবে স্থান পেয়েছে। পাগলপারা হয়ে মজনু কখনো নাজদে, কখনো শামে ও কখনো হিজাযে দিশেহারা হয়ে ঘুরতে থাকে। একসময় তার মৃতদেহ বড় বড় পাথরসমূহের মধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। যা তার গোত্রের লোকেরা উঠিয়ে নিয়ে যায় (তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট)

লায়লী-মজনুর এই ঘটনা ইয়াযীদ বিন মু‘আবিয়া ও আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের (রাঃ)-এর শাসনকালে সংঘটিত হয়। যাহাবী (৬৭৩-৭৪৮ হি.) বলেন, লাইলী-মজনুর প্রেমকাহিনীকে অনেকে ভিত্তিহীন বলেছেন। তবে তারা তাদের দাবীর পক্ষে কোন প্রমাণ পেশ করেননি (যাহাবী, সিয়ারু অ‘'লামিন নুবালা ৪/৫১১)। আরবী সাহিত্য সমালোচক ড. ত্বহা হোসাইন (১৩০৬-১৩৯৩ হি.) মনে করেন, লায়লী-মজনু নামে কিছুই নেই। বরং এগুলি বিভিন্ন যুগের কবিদের কল্পনা প্রসূত নাম। কবিগণ নিজেদের মজনু কল্পনা করে ও প্রেমিকাদের লায়লা ভেবে কবিতা রচনা করেছেন (হাদীছুল আরবি‘আ ১/১৭৪-১৮০)।  

কিছু মানুষের ধারণা জান্নাতে তাদের বিবাহ হবে। এগুলি   স্রেফ কল্পকাহিনী। যার কোন ভিত্তি নেই।






প্রশ্ন (৩৩/১১৩) : বৃষ্টির সময় আযানে ‘আছ-ছালাতু ফী রিহালিকুম’ বলার বিধান কি? কখন এবং কয়বার এটি বলতে হবে?
প্রশ্ন (৩২/৪৭২) : ঋণগ্রস্তের জন্য যাকাত আদায় করা ফরয কি?
প্রশ্ন (৮/২৮৮) : ওমর (রাঃ)-এর চিঠির মাধ্যমে নীলনদের পানি প্রবাহিত হওয়ার ঘটনাটির সত্যতা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৯/৩৭৯) : জনৈক লেখক দাবী করেছেন, ইমাম আবু হানীফার জন্ম ৮০ হিজরীতে আর মৃত্যু ১৫০ হিজরীতে। ইমাম বুখারীর জন্ম ১৯৪ হিজরীতে আর মৃত্যু ২৫৬ হিজরীতে। সুতরাং আবু হানীফার কথা বাদ দিয়ে ইমাম বুখারীর সংগৃহীত হাদীছ গ্রহণ করা যাবে না। কারণ ইমাম বুখারীর চেয়ে ইমাম আবু হানীফা অনেক পূর্ববর্তী। উক্ত দাবীর সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৬/৩৫৬) : ইসলামী সম্মেলন প্রজেক্টরের মাধ্যমে মহিলাদেরকে দেখানো যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৪/১৫৪) : বাজনাযুক্ত গান বা অশ্লীল ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করলে যতদিন অন্য মানুষ তা দেখবে এবং গুনাহগার হবে, ততদিন সমপরিমাণ পাপ আমার আমলনামায় যুক্ত হবে। এমনকি আমার মৃত্যুর পরেও যুক্ত হ’তে থাকবে। একথা কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৬/৩১৬) : পুত্র সন্তান নেই এরূপ সচ্ছল পিতা-মাতার ভরণ-পোষণসহ সার্বিক দেখাশোনা করা বিবাহিত মেয়েদের জন্য ফরয দায়িত্ব কি? সাধ্যমত দেখাশোনা করার পরেও তাদের সন্তুষ্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় মেয়েরা গুনাহগার হবে কি?
প্রশ্ন (১৭/৯৭) : সূদ কি? এটি কেন ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়? যদিও আপাত দৃষ্টিতে কল্যাণকর।
প্রশ্ন (১৭/১৭৭) : আমাদের মসজিদে কয়েকজন মুরববী চেয়ারে বসে ছালাত আদায় করেন। তারা ইচ্ছামত বিভিন্ন কাতারে বিভিন্ন স্থানে বসার কারণে কয়েকটি কাতারে মুছল্লীদের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট হয়। পিছনের মুছল্লীরও সিজদা দিতে সমস্যা হয়। এভাবে কাতার বিনষ্ট করে ছালাত আদায় করা জায়েয হবে কি?
প্রশ্ন (৪/২৪৪) : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, কালো কুকুর, গাধা ও নারী মুছল্লীর সামনে দিয়ে গেলে তার ছালাত নষ্ট হয়ে যায় (ইবনে মাজাহ, আবুদাঊদ)। হাদীছটির ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৮/১৬৮) : অন্তিম শয্যায় ‘রাসূল (ছাঃ) আয়েশা-কে জান্নাতে দেখতে পেয়েছিলেন। তাতে তিনি তাকে দুনিয়ায় ছেড়ে যাওয়ার বেদনা ভুলে যান’ মর্মে বর্ণিত ঘটনাটির সত্যতা জানতে চাই।
প্রশ্ন (৩৫/৩৯৫) : সন্তান জন্মের সময় মহিলার স্বামী ধাত্রীর সাথে সহযোগিতা করতে পারবেন কি? - ডা. সালমান খন্দকার, মৌলভীবাজার, সিলেট।
আরও
আরও
.