
উত্তর : পিতা-মাতার বিয়েটা সঠিক পদ্ধতিতে না হ’লেও তা শিবহে নিকাহ বা সন্দেহপূর্ণ বিবাহ হয়েছে। আর উক্ত বিবাহ ক্বাযীর মাধ্যমে হওয়ায় এবং পরবর্তীতে পিতা মেনে নেওয়ায় তাদের সন্তানেরা জারজ হিসাবে গণ্য হবে না। আয়েশা (রাঃ) তার ভাই আব্দুর রহমান শামে থাকাকালীন তার ভাতিজী হাফছার বিয়ে মুনযির বিন যুবায়েরের সাথে দেন। আব্দুর রহমান বাড়ি ফিরে আসলে আয়েশার প্রতি রেগে গিয়ে বলেন, আমার সাথে এমন আচরণ করা হ’ল? আয়েশা (রাঃ) মুনযিরের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি বলেন, আব্দুর রহমান যা করবে তাই হবে। আব্দুর রহমান সে বিবাহে স্বীকৃতি দেন এবং হাফছাহ তার সাথেই সংসার করেন (মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/৫৬৯, ১৫৬৪ৎ বায়হাক্বী হা/১৩৬৫৩; শারহু মা‘আনিল আছার হা/৪২৫৫, সনদ ছহীহ)।
দ্বিতীয়তঃ প্রশ্নকারীর বিবাহে তার পিতা অলী বা অভিভাবক হওয়ায় বিবাহ শরী‘আত সম্মত হয়েছে (শীরাজী, আল-মুহাযযাব ২/৪২৬; নববী, আল-মাজমূ‘ ১৬/১৪৬; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/৮)।
উল্লেখ্য যে, রাসূল (ছাঃ) অলী ছাড়া বিবাহ বন্ধন বাতিল বলে গণ্য করেছেন (আবুদাউদ হা/২০৮৩; মিশকাত হা/৩১৩১; ছহীহুল জামে‘ হা/২৭০৯)। এরূপ ক্ষেত্রে অলী বা তার প্রতিনিধি বা বর্তমান অভিভাবকের সম্মতিতে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে পুনরায় বিবাহের ঈজাব-কবুল করাতে হয় এবং মোহর নির্ধারণ করতে হয় (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৯/৩৪৬; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়াহ ৪১/২৪৮)।
প্রশ্নকারী : হাবীবা, ঢাকা।