উত্তর : হাদীছ ব্যতীত কুরআন অনুসরণের দাবী অবাস্তব। আল্লাহ ছালাত আদায় ফরয করেছেন। কিন্তু কিভাবে করবেন, তা কুরআনে নেই। তিনি যাকাত ও হজ্জ ফরয করেছেন। কিন্তু কিভাবে করবেন, তা কুরআনে নেই। তিনি বিবাহ করার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কিভাবে করবেন, তা কুরআনে নেই। আল্লাহ বলেন, ‘রাসূল তোমাদেরকে যা (নির্দেশ) দেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা হ’তে বিরত থাক...’ (হাশর ৫৯/০৭)। তিনি বলেন, ‘তোমার পালনকর্তার শপথ! তারা কখনো (পূর্ণ) মুমিন হ’তে পারবে না, যতক্ষণ না তারা তাদের বিবাদীয় বিষয়ে তোমাকে ফায়ছালা দানকারী হিসাবে মেনে নিবে। অতঃপর তোমার দেওয়া ফায়ছালার ব্যাপারে তাদের অন্তরে কোনরূপ দ্বিধা-সংকোচ না রাখবে এবং সর্বান্তঃকরণে তা মেনে নিবে’ (নিসা ৪/৬৫)। রাসূল (ছাঃ) ভবিষ্যদ্বাণী করে বলেন, ‘জেনে রাখো! আমি কুরআন প্রাপ্ত হয়েছি ও তার ন্যায় আরেকটি বস্ত্ত। সাবধান! এমন একটি সময় আসছে যখন বিলাসী মানুষ তার গদিতে বসে বলবে, তোমাদের জন্য এ কুরআনই যথেষ্ট। সেখানে যা হালাল পাবে, তাকেই হালাল জানবে এবং সেখানে যা হারাম পাবে, তাকেই হারাম জানবে। অথচ আল্লাহর রাসূল যা হারাম করেছেন তা আল্লাহ কর্তৃক হারাম করার অনুরূপ’(আবুদাঊদ হা/৪৬০৫ প্রভৃতি; মিশকাত হা/১৬২)। এখানে ‘কুরআন’ হ’ল ‘প্রকাশ্য অহি’ এবং তার ন্যায় আরেকটি বস্ত্ত হ’ল ‘হাদীছ’ যা ‘অপ্রকাশ্য অহি’।

রাসূল (ছাঃ)-এর উক্ত ভবিষ্যদ্বাণী হিজরী দ্বিতীয় শতকের শেষের দিকে বাস্তবে দেখা দেয়। এ সময় কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটে, যারা সুন্নাতকে অস্বীকার করে। ইমাম শাফেঈ এমন একজন হাদীছ অস্বীকারকারী ব্যক্তির সাথে তার মুনাযারার কথা উল্লেখ করেছেন এবং তার দাবীর অসারতা প্রমাণ করেছেন (কিতাবুল উম্ম ৭/২৮৭-২৯২)। অতঃপর দীর্ঘ এগারো শত বছর যাবৎ হাদীছ অস্বীকারকারীদের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেনি। বিগত ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মিসর, ইরাক এবং ভারতে এই ফিৎনার পুনরাবির্ভাব ঘটে (বিস্তারিত দ্র. হাফাবা প্রকাশিত ‘হাদীছের প্রামাণিকতা’ বই)

বর্তমানে বাংলাদেশে এই ভ্রান্ত আক্বীদার কিছু লোকের কথা শোনা যায়। যাদের থেকে দূরে থাকা আবশ্যক। বিদ্বানগণ এ ব্যাপারে একমত যে, যারা হাদীছকে অস্বীকার করে তারা মূলতঃ রাসূল (ছাঃ)-এর আগমনের উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে চায়। কেননা হাদীছ ব্যতীত দ্বীনের উপর আমল করা অসম্ভব। অতএব তারা কাফের (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২/৩৮, ৩/১৯৪)। ইসহাক বিন রাওয়াইহ বলেন, যার নিকট ছহীহ হাদীছ পৌঁছার পর তা প্রত্যাখ্যান করল সে কাফের (আল-ইহকাম ১/৯৯)। ইবনু হাযম বলেন ‘যদি কোন ব্যক্তি বলে যে কুরআনে যা পাব তা ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করব না, তবে সে মুসলিম উম্মাহর সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাফের (আল ইহকাম ২/৮০)। ইমাম সুয়ূত্বী (রহঃ) বলেন, ‘তারা কাফের এবং ইসলাম হ’তে খারিজ। তাদের হাশর হবে ইহূদী ও নাছারা বা অন্যান্য ভ্রান্ত মতাবলম্বীদের সাথে’ (মিফতাহুল জান্নাহ ৫ পৃ.)

প্রশ্নকারী : মাহমূদুল হাসান, রংপুর।






প্রশ্ন (৩৩/১১৩) : আহলেহাদীছগণ ফিরক্বা নাজিয়াহ হওয়া সত্ত্বেও এদের মাঝে এত দলাদলির কারণ কি?
প্রশ্ন (৩৮/১৫৮): জনৈক ব্যক্তির ছয় বোন এবং ৩ ভাই। ছোট ছেলের চাকুরীর জন্য তার মা জমি বিক্রয় করে তাকে টাকা দিচ্ছে। উক্ত টাকা দেয়া তার জন্য বৈধ হবে কি?
প্রশ্ন (১৮/১৭৮): ‘সেই দেহ জান্নাতে যাবে না যে দেহ হারাম খাদ্যে পরিপুষ্ট’। প্রশ্ন হল, ভারত সীমান্ত এলাকা থেকে চোরাই পথে গরুর গোশত নিয়ে এসে বিক্রয় করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন পণ্য আসে। উক্ত গোশত খেয়ে বা পণ্য ব্যবহার করে ইবাদত করলে ইবাদত কবুল হবে কি?
প্রশ্ন (৩৪/৩৪) মাতা-পিতার মুখের দিকে তাকালে কবুল হজ্জের নেকী পাওয়া যায় মর্মে হাদীছটি নাকি জাল। কিন্তু কেন জাল তার কারণ জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩৯/৭৯) : যে সমস্ত পাপী মুমিন জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যাবে তারা কি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করবে?
প্রশ্ন (২৯/১০৯) : কোন সন্তান যদি পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয় আর এ জন্য তারা যদি চোখের পানি ঝরায়, তাহলে সেই সন্তান পূর্বে যত আমল করেছে সব নষ্ট হয়ে যাবে। উক্ত কথার দলীল জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১/২৮১) : চার বা তিন রাক‘আত বিশিষ্ট ছালাতের প্রথম তাশাহহুদে দরূদে ইবরাহীমী পাঠ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১৯/২৯৯) : কোন ছেলে যদি কোন অসহায় মেয়েকে ‘ধর্ম বোন’ বানায় এবং নিজের বোনের মত তাকে দেখাশোনা করে, তবে সেটি জায়েয হবে কি? - -আশরাফুল ইসলাম, পাঁচবিবি, জয়পুরহাট।
প্রশ্ন (৭/৩৬৭) : আমার স্ত্রী আমাকে তালাক দেওয়ার তের দিনের মাথায় অন্যত্র বিবাহ করে। তার দ্বিতীয় বিবাহ বৈধ হয়েছে কি? - -কে. এম. হাসান, বাগেরহাট।
প্রশ্ন (২৮/১৮৮) : মসজিদে নববীতে আয়েশা খুঁটি, হান্নানা খুঁটি এরূপ বিভিন্ন খুঁটি রয়েছে। এসব স্থানের পাশে ছালাত আদায় করায় বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?
প্রশ্ন (২২/১৪২) : সহো সিজদার সঠিক পদ্ধতি কি?
প্রশ্ন (২/৮২) :কোন পাপ কাজ করার মানত করার পর তা না করে থাকলে কাফফারা দিতে হবে কি?
আরও
আরও
.