উত্তর :
উল্লিখিত তিনটি ছালাতই মূলতঃ একই ছালাত। সময়ের ব্যবধানের কারণে নামের
ভিন্নতা হয়ে থাকে। যেমন ‘শুরূক্ব’ অর্থ সূর্য উদিত হওয়া। ‘ইশরাক্ব’
অর্থ চমকিত হওয়া। ‘যোহা’ অর্থ সূর্য গরম হওয়া। এই ছালাত সূর্যোদয়ের পরপরই
প্রথম প্রহরের শুরুতে পড়লে একে ‘ছালাতুল ইশরাক্ব’ বলা হয় এবং কিছু পরে
দ্বিপ্রহরের পূর্বে পড়লে তাকে ‘ছালাতুয যোহা’ বা ‘চাশতের ছালাত’ বলা হয়।
আবার দুপুরের পূর্বে পড়লে এই ছালাতকেই ‘ছালাতুল আউওয়াবীন’ বলে (মুসলিম হা/৭৪৮; ছহীহাহ হা/১১৬৪; মিশকাত হা/১৩১২; মির‘আত ৪/৩৫১)।
অতএব এ ছালাতটি তিনটি সময়ের যে কোন সময়ে পড়লেই যথেষ্ট হবে। উল্লেখ্য যে,
মাগরিবের পরের ছয়, বিশ বা যে কোন পরিমাণ নফল ছালাতকে ‘আউওয়াবীন’ বলার
হাদীছগুলি অত্যন্ত যঈফ (তিরমিযী হা/৪৩৫; মিশকাত হা/১১৭৩-৭৪; যঈফাহ হা/৪৬৯, ৪৬৭, ৪৬১৭)।
এই ছালাত বাড়ীতে পড়া ‘সুন্নাত’। এটি সর্বদা পড়া এবং আবশ্যিক গণ্য করা ঠিক নয়। কেননা আল্লাহ রাসূল (ছাঃ) কখনও পড়তেন, কখনো ছাড়তেন’ (মির‘আত শরহ মিশকাত ৪/৩৪৪-৫৮)।