উত্তর :
জ্যোতিষশাস্ত্র হ’ল কিছু পদ্ধতি, প্রথা এবং বিশ্বাসের সমষ্টি, যাতে
মহাকাশে নক্ষত্রসমূহের আপেক্ষিক অবস্থান এবং তৎসংশ্লিষ্ট তথ্যাদির মাধ্যমে
মানব জীবন, মানুষের ব্যক্তিত্ব এবং মানবীয় ও বহির্জাগতিক ঘটনাবলী সম্পর্কে
ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়। এখানে জ্যোতিষ্কসমূহের আপেক্ষিক অবস্থান পৃথিবীতে
বসবাসকারী মানুষের জীবনধারায় প্রভাব বিস্তার করে বলে বিশ্বাস করা হয়। আর
জ্যোতির্বিজ্ঞান জ্যোতিষশাস্ত্র থেকে পৃথক একটি বিষয়, যেখানে মহাকাশের
বস্ত্ত সমূহ নিয়ে গবেষণা করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী করা
এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করা শিরক। কেননা নক্ষত্রের কোন ক্ষমতা নেই মানুষের
ভাল-মন্দ করার আল্লাহর হুকুম ব্যতীত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি
গণকের কাছে গেল এবং সে যা বলে তা বিশ্বাস করল, ঐ ব্যক্তি মুহাম্মাদ
(ছাঃ)-এর প্রতি যা অবর্তীণ হয়েছে, তার সাথে কুফরী করল’ (আহমাদ, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৫৯৯ সনদ ছহীহ)। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি গণৎকারের কাছে যায় এবং (সত্য ভেবে) তার কাছে কোন কথা জিজ্ঞেস করে, তার চল্লিশ দিনের ছালাত কবুল হয় না’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৪৫৯৫)।
একদিন কিছু লোক রাসূল (ছাঃ)-কে গণৎকারদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ওরা কিছুই নয়। লোকেরা বলল, এদের কথা যে অনেক সময় সত্য হয়?’। রাসূল (ছাঃ) বললেন, ওরা আকাশে ফেরেশতাদের আলোচনা থেকে কিছু কথা চুরি করে এনে দুনিয়ায় তার বন্ধুর কানে ভরে দেয়। তারপর ঐ জ্যোতিষী বন্ধু তাতে শত মিথ্যা যোগ করে মানুষকে শুনায় (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪৫৯২-৯৩, ‘জ্যোতিষীর গণনা’ অনুচ্ছেদ)।