উত্তর : হাফেয শামসুদ্দীন যাহাবী (৬৭৩-৭৪৮ হিঃ) তাঁর বিখ্যাত জীবনীগ্রন্থে ৫৩ পৃষ্ঠার দীর্ঘ আলোচনায় বলেন, তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত জ্ঞানী ও দূরদর্শী ছাহাবীগণের অন্যতম। তিনি ৬০টি হাদীছ বর্ণনা করেন। যার মধ্যে ৪টি ছহীহ বুখারী ও ৩টি মুসলিমে এসেছে। তাঁর থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন ইবনু আববাস, আনাস, আবুত তোফায়েল প্রমুখ বিখ্যাত ছাহাবীগণ। তিনি ইরানের ইস্ফাহান নগরীর ‘জাই’ নামক গ্রামে এক অগ্নিপূজক পিতার গৃহে জন্মগ্রহণ করেন। পরে তিনি খ্রিষ্টান ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। ফলে তাঁকে ঘরের মধ্যে লোহার শৃংখলে আবদ্ধ করে রাখা হয়। কিন্তু একদিন শাম (সিরিয়া) থেকে একটি খৃষ্টান ব্যবসায়ী কাফেলা এসেছে জানতে পেরে তিনি গোপনে শিকল ভেঙ্গে তাদের সাথে শামে চলে যান। সেখানে তিনি সেখানকার প্রধান পাদ্রীর সেবক হন। কিন্তু তিনি দেখতে পান যে, পাদ্রী সবাইকে ছাদাক্বা করতে বলেন। অথচ তা জমা হ’লে নিজে আত্মসাৎ করেন। তিনি তা থেকে অভাবগ্রস্তদের দান করেন না। অথচ তাঁর কাছে তখন ৭ কলস সোনা ও রূপা সঞ্চিত ছিল। এতে তিনি বিরূপ হয়ে পড়েন। এসময় পাদ্রী মারা গেলে ভক্তদের তিনি সব বলে দেন। এতে লোকেরা তাকে দাফন না করে তার লাশ শূলে চড়ায় ও পাথর মারতে থাকে। পরে তিনি অন্য পাদ্রীর কাছে গমন করেন। সেখানে তিনি জানতে পরেন যে আখেরী যামানার নবী আগমনের সময় হয়ে গেছে। তিনি তেহামার পাহাড় থেকে বের হবেন ও খেজুর বাগিচার দিকে হিজরত করবেন। তাঁর স্কন্ধদেশে নবুঅতের মোহর থাকবে। তিনি হাদিয়া খাবেন। কিন্তু ছাদাক্বা খাবেন না। তুমি সম্ভব হ’লে সেখানে হিজরত কর। ইতিমধ্যে একটি আরব কাফেলা আসে। তিনি তাদের সাথে মদীনায় গমন করেন। কিছুদিনের মধ্যেই রাসূল (ছাঃ) মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেন। অতঃপর তিনি তাঁর লক্ষণসমূহ দেখে চিনে ফেলেন এবং ইসলাম গ্রহণ করেন।

তিনি অহি লেখক ছিলেন না। তাঁর বয়সের ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে যে, তিনি ৩৫০ অথবা ২৫০ বছর বেঁচে ছিলেন। জীবনীকার ইমাম যাহাবী বলেন, আমি নিজেও তারীখে কাবীরে একথা লিখেছি। কিন্তু এখন আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, ওটা সঠিক ছিল না। বরং এটাই সঠিক যে, তাঁর বয়স মাত্র ৮০ অতিক্রম করেছিল। সম্ভবতঃ ৪০ বছর বা তার কম বয়সে তিনি হেজায আগমন করেন। তিনি ওমর (রাঃ) কর্তৃক ১৬ হিজরীতে মাদায়েন বিজয়ে প্রেরিত সেনাদলের আমীর ছিলেন। ৩৫ বা ৩৬ হিজরীর প্রথম দিকে তিনি ওছমান (রাঃ)-এর খেলাফতকালে মৃত্যুবরণ করেন (সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ১/৫০৫-৫৫৭)। খেলাফত দাবী করায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল এই বক্তব্য ভিত্তিহীন।






প্রশ্ন (৩৫/৩৫) : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাতের সাথে যদি আমাদের ছালাতে মিল না থাকে, তাহ’লে সে ছালাত কি আল্লাহর দরবারে কবুল হবে? যেমন মাযহাবী ভাইদের ছালাত?
প্রশ্ন (৩৮/২৩৮) : সূরা বাক্বারাহ ১৪৮ আয়াতের ব্যাখ্যা জানতে চাই। - -নূরুল ইসলাম, নীলফামারী।
প্রশ্ন (৩৫/১৯৫) : চার ইমামের মধ্যে কোন্ কোন্ ইমাম ছালাতে রাফ‘উল ইয়াদায়েন করতেন?
প্রশ্ন (৩০/১৫০) : স্বামী থাকার পরও পরকিয়ায় লিপ্ত স্ত্রী গোপনে দ্বিতীয় বিবাহ করে। সে প্রথম স্বামীর বাসাতেই থাকে। যদি সে প্রথম স্বামীর কাছেই থাকতে চায় তাহলে কি করতে হবে? - -আব্দুল মালেক আকন্দ, বাসাইল, টাঙ্গাইল।
প্রশ্ন (৫/২৪৫) : চল্লিশা বিদ‘আত হওয়ায় আমাদের সমাজে মৃত্যুর আগেই ‘জীবদ্দশায় ফয়তা’ নামের একটি অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। এটি কি জায়েয হবে?
প্রশ্ন (২/৪২) : কেউ যদি কুরআন ও সুন্নাহ মেনে চলে তার জন্য কোন জামা‘আত বা সংগঠনের অন্তুর্ভুক্ত থাকা যরূরী কি? বিশেষতঃ যারা আমরা অমুসলিম দেশে বসবাস করি? - -রফীকুল ইসলাম, এ্যানকোনা, ইতালী।
প্রশ্ন (২৯/৩০৯) : ২০ দিন ই‘তিকাফ করা কি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিয়মিত আমল ছিল?
প্রশ্ন (২/৩২২) : ওছমান বিন আফফান (রাঃ)-কে দেখে ফেরেশতারা কেন লজ্জিত হতেন? - -মুহাম্মাদ আব্দুল মুমিন, সারিয়াকান্দি, বগুড়া।
প্রশ্ন (৩/১৬৩) : একাধিক সন্তান প্রতিপালনরত মা মাঝে মধ্যে প্রয়োজনবশত ছালাত জমা‘ করতে পারবেন কি? বিশেষত আছরের ছালাত অধিকাংশ সময় মাগরিবের কিছু আগে পড়তে হয়। সেক্ষেত্রে উক্ত ছালাত যোহরের সাথে জমা‘ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১১/২১১) : কুরআন মাজীদের উপর বই কিংবা অন্য কোন বস্ত্ত রাখা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৪/২২৪) : আমাদের দিকে নির্দিষ্ট টাকার বিনিময়ে কয়েক বছরের জন্য জমি বন্ধক রাখা হয়। এটা করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৪/৭৪) : মালয়েশিয়ায় সাপ্তাহিক ছুটি রবিবার হওয়ায় এখানে শুক্রবারেও ডিউটি করতে হয়। ফলে জুম‘আর ছালাতে যাওয়া সম্ভব হয় না। অফিসের কোন স্থানে বা বাসায় জুম‘আ আদায়ের কোন বিধান আছে কি?
আরও
আরও
.