উত্তর : উক্ত বিষয়ে রাসূল (ছাঃ) থেকে কোন হাদীছ বর্ণিত হয়নি। বরং এ বিষয়ে কুরআনী বর্ণনা হ’ল এই যে, আদম (আঃ)-এর পুত্রদ্বয় আল্লাহ্র নামে কুরবানী করেছিল। কিন্তু আল্লাহ একজনের কুরবানী কবুল করেন, অন্যজনেরটা করেননি। এতে একজন ক্ষুব্ধ হয়ে অপরজনকে বলল, ‘আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব’। জবাবে সে বলল, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাক্বওয়াশীল বান্দাদের থেকে (কুরবানী) কবুল করে থাকেন। এক্ষণে যদি তুমি আমাকে হত্যা করতে উদ্যত হও, তবে আমি তোমাকে পাল্টা হত্যা করতে উদ্যত হব না। কেননা আমি বিশ্বচরাচরের পালনকর্তা আল্লাহ্কে ভয় করি’। অতঃপর ক্ষিপ্ত হয়ে একজন অন্যজনকে হত্যা করে, যার কুরবানী কবুল হয়েছিল (মায়েদাহ ৫/২৭-৩১)।
উক্ত আয়াতসমূহ থেকে স্পষ্ট হয় যে, ভ্রাতৃ হত্যার কারণ ছিল এই হিংসা বশতঃ যে, হাবীলের কুরবানী কবুল হয়েছিল, কিন্তু ক্বাবীলের কুরবানী কবুল হয়নি। আর ভালোর প্রতি হিংসা মানুষের মধ্যে চিরন্তন।
তবে বিবাহগত মতবিরোধের কারণে তাদের মধ্যে ক্রোধের সঞ্চার হওয়া এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে আগুন এসে কুরবানী উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া বিষয়ে যে সব ‘আছার’ বর্ণিত হয়েছে, সে সম্পর্কে তিরমিযীর ভাষ্যকার আহমাদ শাকের বলেন, এগুলি আহলে কিতাবদের গ্রন্থসমূহ থেকে গৃহীত, যার কোন বিশুদ্ধ ভিত্তি নেই। তবে এগুলি উত্তম সনদে বর্ণিত হওয়ায় আমরা তা গ্রহণ করব উদাহরণ হিসাবে, বিশুদ্ধ ও কবুলযোগ্য বর্ণনা হিসাবে নয় (আহমাদ শাকের, উমদাতুত তাফসীর মুখতাছার তাফসীর ইবনে কাছীর (আলেকজান্দ্রিয়া, মিসর, দারুল ওয়াফা : ২য় সংস্করণ ১৪২৬/২০০৫) ১/৬৬২-৬৬৩)।