উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মাটির মানুষ ছিলেন; নূরের তৈরী নন। আল্লাহ বলেন, ‘(হে নবী!) ‘তুমি বলে দাও, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মত একজন মানুষ মাত্র। (পার্থক্য হ’ল) আমার নিকট ‘অহি’ করা হয় ...’ (কাহ্ফ ১৮/১১০)। এটা কেবল আমাদের নবীই নন, বরং বিগত সকল নবীই স্ব স্ব কওমের উদ্দেশ্যে একথা বলেছিলেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের মত মানুষ মাত্র’ (ইবরাহীম ১৪/১১)

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমি তো একজন মানুষ। আমিও তোমাদের মত ভুলে যাই। সুতরাং আমি (ছালাতে কিছু) ভুলে গেলে তোমরা আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ো’ (বুখারী হা/৪০১; মুসলিম হা/৫৭২; মিশকাত হা/১০১৬ ‘সিজদায়ে সহো’ অনুচ্ছেদ)। তিনি বলেন, আমি একজন মানুষ। আমি তোমাদের দ্বীনের ব্যাপারে কোন কিছু আদেশ করলে তা গ্রহণ করবে। আর নিজস্ব রায় থেকে কিছু বললে আমি একজন মানুষ মাত্র। অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে আমার ভুলও হ’তে পারে (মুসলিম হা/২৩৬৫, মিশকাত হা/১৪৭)

বস্ত্ততঃ ফেরেশতারা হ’ল নূরের তৈরী, জিনেরা আগুনের তৈরী  এবং মানুষ হ’ল মাটির তৈরী মুসলিম হা/২৯৯৬; মিশকাত হা/৫৭০১; মুমিনূন ২৩/১২, আন‘আম ৬/২)

উল্লেখ্য যে, রাসূল (ছাঃ) নূরের তৈরী ছিলেন মর্মে সমাজে কিছু হাদীছ প্রচলিত রয়েছে। যেমন ‘আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেন’। এ মর্মে বর্ণিত সব বর্ণনাই জাল (‘আজলূনী, কাশফুল খাফা হা/৮২৭; ছহীহাহ হা/৪৫৮-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)

সূরা মায়েদাহ ১৫ আয়াতে বলা হয়েছে, قَدْ جَاءَكُمْ مِنَ اللهِ نُوْرٌ وَكِتَابٌ مُبِيْنٌ ‘তোমাদের কাছে এসেছে একটি জ্যোতি এবং একটি সমুজ্জ্বল গ্রন্থ’। উক্ত আয়াতে ‘নূর’ বা জ্যোতি দ্বারা কুরআনকে বুঝানো হয়েছে। অর্থাৎ কুরআন শিরকের অন্ধকার হ’তে মানুষকে তাওহীদের আলোর পথে বের করে আনে। এখানে ‘ওয়া কিতাবুম মুবীন’  (وَكتابٌ مبيْنٌ)তার পূর্ববর্তী ‘নূর’ (نُوْرٌ)-এর উপর عطف بيان হয়েছে। অর্থাৎ আল্লাহ বলছেন, ‘তোমাদের কাছে আল্লাহর নিকট থেকে এসেছে একটি জ্যোতি ও সমুজ্জ্বল গ্রন্থ’। যেমন ইতিপূর্বে সূরা নিসা ১৭৪-৭৫ আয়াতে بُرْهَانٌ ও نُوْرًا مُبِيْنًا বলে কুরআনকে বুঝানো হয়েছে। অমনিভাবে সূরা আ‘রাফ ১৫৭ আয়াতের কুরআনকে ‘নূর’ বলা হয়েছে।

উক্ত আয়াতের তাফসীরে ‘নূর’-এর ব্যাখ্যায় যাজ্জাজ বলেন, এখানে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে বুঝানো হয়েছে (কুরতূবী)। যদি সেটাই ধরে নেওয়া হয়, তাহ’লেও এর অর্থ এই নয় যে, মুহাম্মাদ (ছাঃ) নূরের তৈরী ছিলেন। কারণ কুরআনেই বলা হয়েছে যে, তিনি তোমাদের মত মানুষ ছিলেন’ (কাহফ ১৮/১১০)। আর মানুষ বলেই তো তিনি পিতা-মাতার সন্তান ছিলেন এবং সন্তানের পিতা ছিলেন। তিনি খানা-পিনা ও বাজার-ঘাট করতেন। অতএব রাসূল (ছাঃ) যে মাটির তৈরী মানুষ ছিলেন, এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।






প্রশ্ন (৪০/৪০) : কোন নারী ধর্ষণের শিকার হ’লে সে কি অপরাধী হিসাবে গণ্য হবে?
প্রশ্ন (১৯/৩৩৯) : পোষাক পরিবর্তনের সময় সতর খুলে যাওয়ায় অথবা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ালে ওযূ ভেঙ্গে যায় কি?
প্রশ্ন (১২/১২): জনৈক বক্তা বলেন, ওমর (রাঃ) যে রাস্তা দিয়ে হাঁটে ঐ রাস্তা দিয়ে শয়তান হাঁটে না। উক্ত হাদীছ কি ঠিক? যদি সঠিক হয় তাহ’লে হাদীছ সহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৩২/৪৩২) : তাসবীহ গণনার নিয়ম কি? ডান হাতের কোন দিক থেকে তাসবীহ গণনা করতে হবে?
প্রশ্ন (১৭/২৫৭) : জনৈক আলেম বলেন, কোন ব্যক্তি জুম‘আর দিন গোসল করল, ওযূ করে মসজিদে গেল এবং খুৎবা শুনল। তার প্রতি কদমে এক বছরের নফল ছালাত ও ছিয়ামের সমান নেকী হয়। কথাটা কি সত্য?
প্রশ্ন (২৩/২২৩) : রাবে‘আ বছরী সম্পর্কে জানতে চাই। - -ফাহীমা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা।
প্রশ্ন (৬/৪৬) : হজ্জব্রত পালন শেষে মহিলাদের ৪০ দিন গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করতে হবে এরূপ কোন বিধান আছে কি? - -রিয়াযুল হক, শান্তিবাগ, ঢাকা।
প্রশ্ন (৩৮/৩৫৮) : আল্লাহ তা‘আলা মুমিন বান্দার কলবের ভিতর অবস্থান করেন। আর মুমিন বান্দার কলব হল আল্লাহ্র আরশ।’ এর দলীল জানিয়ে বাধিত করবেন। হে আল্লাহ তোমার রহমত ও গুণসমূহের অসীলায় আমাকে আরোগ্য দান কর। এভাবে দো‘আ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৫/২৫) : জনৈক আলেম বলেন, আকীকার গোশত সাত দিনের বেশী রাখা যাবে না। এ ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২/২) : বিভিন্ন সময় আরব থেকে শায়েখ-মাশায়েখ বাংলাদেশে আগমন করেন এবং বিভিন্ন মসজিদে খুৎবা দেন। আরবী ভাষায় খুৎবা প্রদান করায় মুছল্লীরা বুঝতে পারে না। এমতাবস্থায় কোন বাঙ্গালী খুৎবার তরজমা করে দিলে কোন দোষ হবে কি?
প্রশ্ন (৫/২০৫) : যঈফ হাদীছ তো সন্দেহযুক্ত। তাই যঈফ হাদীছের উপর আমল করা যাবে না। কিন্তু ইমাম তিরমিযী, আবুদাঊদ প্রমুখ তাদের স্ব স্ব গ্রন্থে যঈফ হাদীছ উল্লেখ করেছেন। কেউ যদি তা দেখে যঈফ হাদীছের উপর আমল করে তবে দায়ী কে হবে? কোন্ কোন্ ক্ষেত্রে যঈফ হাদীছের উপর আমল করা যায়?
প্রশ্ন (৩২/১৯২) : জেহরী বা সের্রী ছালাতে মাসবূক ছানা কখন পাঠ করবে? - -মেহেদী, কোচাশহর, গোবিন্দগঞ্জ।
আরও
আরও
.