উত্তর : উক্ত মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মওযূ‘ বা জাল (যঈফাহ হা/৪৫৪৯)। মিউজিক যুক্ত সঙ্গীত ইসলামী হৌক বা অনৈসলামিক হৌক তা শ্রবণ করা হারাম। অনুরূপভাবে অশালীন গান-বাজনা শ্রবণ করা এবং গাওয়াও হারাম। আল্লাহ বলেন, ‘লোকদের মধ্যে কিছু লোক অজ্ঞতা বশে বাজে কথা খরিদ করে ...তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি’ (লোক্বমান ৩১/৬)। ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেন, এখানে ‘বাজে কথা’ অর্থ গান-বাজনা (ইবনু কাছীর, তাফসীর উক্ত আয়াত)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘আমার উম্মতের মধ্যে অবশ্যই এমন কিছু দলের সৃষ্টি হবে, যারা ব্যভিচার, রেশমী কাপড়, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল জ্ঞান করবে’ (বুখারী হা/৫৫৯০; মিশকাত হা/৫৩৪৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বাদ্যযন্ত্রকে مِزْمَارُ الشَّيْطَانِ ‘শয়তানের বাদ্য’ বলেছেন (আবুদাঊদ হা/২৫৫৬)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘অবশ্যই এই উম্মতের মধ্যে ভূমিধ্বস, আসমানী গযব ও দৈহিক রূপান্তরগত শাস্তির প্রাদুর্ভাব দেখা দিবে। এসব তখনই ঘটবে যখন তারা মদ্যপান করবে, গায়িকা রাখবে ও বাদ্যযন্ত্র বাজাবে (তিরমিযী হা/২২১২; ছহীহাহ হা/২২০৩)।
প্রশ্নকারী : ফরীদুল ইসলাম, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।