উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ মুছাফাহা এক হাতে করার বিষয়টি একাধিক ছহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) কারো সাক্ষাতে মুছাফাহার করার পর নিজের হাতটি আগে সরাতেন না যতক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যক্তি নিজের হাত না সরাতো (ফাৎহুল বারী ১১/৬১ পৃঃ)। অন্য হাদীছে রয়েছে, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, কোন মুসলমান যদি পারস্পরিক সাক্ষাতের সময় দু’জন দু’জনের হাত মিলায় তাহ’লে তাদের দুই হাত পৃথক হওয়ার পূর্বে তাদের পাপ ক্ষমা করা হয় (তারগীব হা/৩৮৮৩)। আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বলেছেন, যখন কোন মুমিন কোন মুমিনের সাথে সাক্ষাৎ করে এবং তার একটি হাতের মাধ্যমে তার সাথে মুছাফাহা করে তাহ’লে তাদের পাপ ঝরে পড়ে, যেমন গাছের পাতা ঝরে পড়ে (তারগীব হা/৩৮৮৫)। অত্র হাদীছসমূহ দ্বারা  প্রমাণিত হয় যে, মুছাফাহা এক হাতে করাই সুন্নাতসম্মত। আর ইমাম বুখারী (রহঃ) ‘মুছাফাহা’ করার অনুচ্ছেদ রচনা করার পর অনুচ্ছেদের অর্থ হিসাবে নিম্নোক্ত হাদীছটি পেশ করেছেন-ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাকে তাশাহহুদ শিক্ষা দিচ্ছিলেন তখন আমার হাতটি তাঁর দু’হাতের মাঝে ছিল। তবে মূল হাদীছ হিসাবে যেটি উল্লেখ করেছেন তা ওমর (রাঃ)-এর সাথে এক হাতে মুছাফাহা করা সংক্রান্ত (বুখারী হা/৬২৬৪)। অতঃপর তিনি ‘দুই হাত ধরা’ সংক্রান্ত একটি পৃথক অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন। যেখানে ইবনু মাসঊদ (রাঃ)-এর উক্ত হাদীছটিকে মূল হাদীছ হিসাবে উল্লেখ করেছেন (বুখারী হা/৬২৬৫)। দু’হাতে মুছাফাহা করা যদি শরী‘আতসম্মত হ’ত তাহ’লে ইবনু মাসঊদ (রাঃ) নিজেই প্রথমে দু’হাত দ্বারা মুছাফাহা করতেন। এছাড়াও উক্ত বর্ণনায় তিন হাতের কথা রয়েছে, চার হাত নয়।






প্রশ্ন (৫/১২৫) : মুছাফাহা করার সময় কোন দো‘আ পড়তে হয় কি?
প্রশ্ন (৯/৪৪৯): পিতা-মাতার অবাধ্য হয়ে ছেলে-মেয়ে বিবাহ করায় পিতা-মাতা উক্ত সন্তানকে পরিত্যাগ করেছে। এ ছেলে-মেয়ে কি পিতা-মাতার সম্পদের ওয়ারিছ হবে?
প্রশ্ন (৩১/৩১১) : যোগ্য প্রার্থীকে বাদ দিয়ে কম যোগ্য প্রার্থীকে সুফারিশ করে চাকুরী দিলে এবং সে ঘুষ গ্রহণ করলে সুফারিশকারীর উপর দায়ভার বর্তাবে কি?
প্রশ্ন (২৯/২২৯) : অবহেলাবশতঃ গত তিনবছর রামাযানের ছিয়াম পালন থেকে বিরত ছিলাম। এক্ষণে বোধোদয় হওয়ার পর আমার করণীয় কি?
প্রশ্ন (২৬/৩৮৬) : আমার ১০ লক্ষ টাকা ঋণ আছে। কিন্তু এখন তা শোধ করতে চাই না। এক্ষণে যাকাত বের করার সময় মূলধন থেকে উক্ত ঋণের টাকা হিসাবের বাইরে রাখতে হবে কি?
প্রশ্ন (১৭/২১৭) : জুতা পায়ে দিয়ে জানাযার ছালাত আদায় করা যাবে কি? - -রাজীবুল ইসলাম, বদরগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা।
প্রশ্ন (৩১/১৫১) : প্রত্যেক রাতে সূরা তাকাছুর পড়ে ঘুমালে কুরআনের এক হাযার আয়াত পড়ার নেকী পাওয়া যায়। কথাটির সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (১৪/৩৩৪) : ব্যক্তির সম্মানে দাঁড়ানো সম্পর্কে বুখারীতে সা‘দ বিন মু‘আয সম্পর্কিত যে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে, তার প্রকৃত ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৯/৪৫৯) : একটি হাদীছে বলা হয়েছে, ইজতিহাদ সঠিক হ’লে দ্বিগুণ নেকী এবং বেঠিক হলে একটি নেকী’। এ হাদীছটি কি ছহীহ? ছহীহ হলে কোন কোন ক্ষেত্রে এ হাদীছটি প্রযোজ্য? যে কেউ কি ইজতিহাদ করতে পারে?
প্রশ্ন (২১/৩৮১) : পুরাতন মদের বোতল পরিষ্কার করে তা পানি পানের জন্য ব্যবহার করা যাবে কি? - -আব্দুল হাসীব, চুয়াডাঙ্গা।
প্রশ্ন (১/৪০১) : বর্তমানে বাংলাদেশে ‘রেডিয়াম ইন্টারন্যাশনাল’ নামক একটি কোম্পানী ‘ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগে’র আহবান জানাচ্ছে। তাদের নিয়ম অনুযায়ী ১০ ইউএস ডলার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এর বিনিময়ে তারা ‘রিপটন কয়েন’ নামে দুইশ’ কয়েন দিচ্ছে। যেটা একদিনে দেওয়া হয় না। বরং ন্যূনতম ছয় মাসে মাইনিং হিসাবে প্রতিদিন ১/২টা করে ছয় মাসের মধ্যে প্রদান করা হয়। তাদের দাবী অনুযায়ী আগামী ৬ মাসের মধ্যে এর রেট একটা উচ্চ পর্যায়ে যেতে পারে। আনুমানিক প্রতি কয়েন ১০ ডলার থেকে ১০০ ডলার হ’তে পারে। দ্বিতীয়তঃ তাদের সাথে কাজ করলে অর্থাৎ একাধিক ব্যক্তিকে রেফার করলে কোম্পানির পক্ষ থেকে ঐ ব্যক্তির বিনিয়োগের ৫% হারে মুনাফা প্রদান করবে। কিন্তু বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের কোন কমতি হবে না। এইভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজের বিনিময়ে তারা আরো পারসেন্টেজ লাভের ব্যবস্থা রাখছে। আবার এই কারেন্সির বিনিময় মূল্য রয়েছে এবং তারা বলছে অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ববাজারে ভার্চুয়াল কারেন্সির ব্যাপক ব্যবহার শুরু হবে। ইতিপূর্বে ‘বিটকয়েন’ নামে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি বাযারে এসেছিল ২০০৯ সালে। তখন তার মূল্য ছিল ৮/৯ টাকা। বর্তমানে ২০২০ সালে সেই কয়েনের মূল্য ৮ লক্ষ টাকা (১৩১১৯ সিঙ্গাপুরী ডলার)। ঠিক তেমনি ‘রিপটন কয়েন’ থেকে আয় আসবে বলে দাবী করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হ’ল অধিক মুনাফা লাভের আশায় এ ধরনের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা যাবে কি? বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
প্রশ্ন (২৪/২২৪) : ছালাত অবস্থায় হাঁচি দিলে কি আল-হামদুলিল্লাহ পাঠ করতে হবে? পাশের মুক্তাদী কি এর উত্তর দিতে পারবে?
আরও
আরও
.