উত্তর :
উক্ত ছিয়াম কাযা আদায় করতে হবে এবং কাফফারা দিতে হবে। তা হ’ল, ১- একজন দাস
মুক্ত করবে। এতে তার সামর্থ্য না থাকলে ২- দু’মাস একটানা ছিয়াম পালন করবে।
তাতেও সক্ষম না হলে ৩- ষাটজন মিসকীনকে মধ্যম মানের খাদ্য দান করবে (বুখারী হা/১৯৩৬; মুসলিম হা/১১১১; মিশকাত হা/২০০৪ ‘ছওম’ অধ্যায়)।
রামাযান ব্যতীত অন্য কোন মাসে ছিয়াম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করলে তার উপর
কাফফারা ওয়াজিব নয়। কেননা তা কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। উপরোক্ত
দলীলে শুধুমাত্র রামাযান মাসকে খাছ করা হয়েছে। মিসকীনকে খাদ্য দানের দু’টি
পদ্ধতি রয়েছে। ১- খাদ্য রান্না করে ষাট জন মিসকীনকে এক ওয়াক্ত খাওয়াবে।
অথবা ২- প্রত্যেক মিসকীনকে দৈনিক আধা ছা‘ অর্থাৎ সোয়া এক কেজি করে চাউল দান
করবে (বুখারী হা/১৮১৬)।