উত্তর : শর্ত সাপেক্ষে ওয়াক্ফ করা জায়েয, যদি তা বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত হয় (বুখারী হা/২৭৩৭; মিশকাত হা/৩০০৮, ইবনু কুদামাহ আল-মুগনী ৬/৮)।
কিন্তু প্রশ্নমতে মসজিদ, মাদরাসা, ঈদগাহ, কবরস্থান প্রভৃতি জনস্বার্থে
প্রতিষ্ঠিত স্থানের জন্য ওয়াক্ফ করা জমিতে ব্যক্তিগত স্বার্থসূচক কোন
শর্তারোপ করা যাবে না। কেননা এগুলি আল্লাহর জন্যই নির্মাণ করা হয়। এছাড়া
ওয়াক্ফের ক্ষেত্রে এমন কোন শর্তারোপ করা যাবে না যা আল্লাহর হুকুমের বিরোধী
হয় এবং দুনিয়াবী স্বার্থ হাছিলের লক্ষ্যে করা হয়। যদি এরূপ করা হয়, তবে তা
বাতিল হবে। একজন মুমিনকে সর্বদা লক্ষ্য রাখতে হবে, কিসে আল্লাহ সন্তুষ্ট
হন। সুতরাং ছওয়াবের উদ্দেশ্যে ওয়াক্ফ করার পর এমন কোন শর্তারোপ করা মোটেও
বাঞ্ছনীয় নয়, যাতে আল্লাহ ক্রুদ্ধ হন এবং সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয় (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩১/৬৩-৬৪)।
রাসূল (ছাঃ) বলেন, লোকেদের কী হ’ল? তারা এমন সব শর্ত করে যা আল্লাহর
কিতাবে নেই। যদি কেউ এমন শর্ত আরোপ করে যা আল্লাহর কিতাবে নেই, সে শর্ত
বাতিল। যদিও তা একশ’ শর্ত হয়’ (বুখারী হা/২৫৬১; মুসলিম হা/১৫০৪; মিশকাত হা/২৮৭৭)।
অপরপক্ষে কোন মুসলিম অপর মুসলিমকে মসজিদে ছালাত আদায় থেকে বাধা দেওয়ার অধিকার রাখে না। মসজিদে ছালাত আদায় করতে নিষেধ করা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ বলেন, ‘তার চাইতে বড় যালেম আর কে আছে, যে আল্লাহর মসজিদ সমূহে তাঁর নাম উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলিকে বিরান করার চেষ্টা চালায় (বাক্বারাহ ২/১১৪)। এক্ষণে উক্ত জমির ওয়াক্ফকারী হিসাবে নিজের বড়ত্ব যাহির করে এরূপ কাজ করলে তিনি অবশ্যই গোনাহগার হবেন। তাকে আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে এবং মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। নতুবা ওয়াক্ফের নেকী থেকে তিনি বঞ্চিত হবেন।