উত্তর : রাসূল
(ছাঃ)-এর উপর ২১শে রামাযানের ক্বদর রাতে প্রথম অহি নাযিলের পর থেকে
কয়েকদিনের বিরতিকালকে فَتْرَةُ الْوَحْىِ বা অহি-র বিরতিকাল বলা হয়। এটি ৪০
দিন বা আড়াই বা তিন বছরের জন্য ছিল না, যা প্রসিদ্ধ আছে (আলোচনা দ্রষ্টব্য : আর-রাহীক্ব পৃঃ ৬৯; আকরাম যিয়া ওমরী, সীরাহ ছহীহাহ ১/১২৭-টীকা-১)। আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, অহি-র বিরতিকাল ছিল মাত্র কয়েক দিনের (كانت أيامًا) (বুখারী ফাৎহসহ হা/৩-এর আলোচনা, ফায়েদা, ১/৩৭ পৃঃ)।
উল্লেখ্য যে, অহি-র বিরতি দু’বার হয়েছিল। প্রথম বিরতির পর সূরা মুদ্দাছছির
১-৫ আয়াত নাযিল হয়। দ্বিতীয় বিরতির পর সূরা যোহা নাযিল হয়। এই সময় দুই বা
তিন দিন অহি নাযিলে বিরতি ঘটে। তাতেই মুশরিকরা বলতে থাকে মুহাম্মাদের রব
তাকে ছেড়ে গেছে। তখন অত্র সূরা নাযিল হয়।
ইবনু ইসহাক তৃতীয় আরেকটি বিরতির কথা উল্লেখ করেছেন, যেখানে কাফেররা তাকে আছহাবে কাহফ, যুলক্বারনাইন ও রূহ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি ইনশাআল্লাহ ছাড়াই পরদিন জবাব দিবেন বলেন। এতে ১৫ দিন অহি নাযিল হওয়া বন্ধ থাকে। বিষয়টি সঠিক নয়। উল্লেখ্য যে, অহি-র বিরতিকালের সময়সীমা সঠিকভাবে নির্ধারণ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায় না। তবে এর মেয়াদ কখনো দীর্ঘ ছিল না। যাতে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর অন্তর প্রশান্ত থাকে এবং তা অহি গ্রহণে প্রস্ত্তত হয়’ (দ্রঃ সীরাহ ছহীহাহ ১/১২৭-১২৮)।