উত্তর :
উক্ত আয়াতের অর্থ হল, ‘আর আল্লাহর জন্যই পূর্ব ও পশ্চিম। অতএব যেদিকেই
তোমরা মুখ ফিরাও সেদিকেই রয়েছে আল্লাহর চেহারা। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বব্যাপী ও
সর্বজ্ঞ’।
উল্লেখ্য যে, তাফসীর মা‘আরেফুল কুরআনের বঙ্গানুবাদে বলা হয়েছে, ‘তোমরা যেদিকেই মুখ ফেরাও সেদিকেই আল্লাহ বিরাজমান’। আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এই ভ্রান্ত ধারণাকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়েই উক্ত ভুল অনুবাদ করা হয়েছে। অন্যদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুবাদে বলা হয়েছে, ‘যেদিকেই মুখ ফিরাও সেই দিকই আল্লাহর দিক’। উক্ত অনুবাদ দু’টির কোনটিই সঠিক হয়নি। বস্ত্ততঃ আল্লাহর হাত, পা, চেহারা ইত্যাদি সম্পর্কে কুরআনে যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবেই অনুবাদ করতে হবে। কোনরূপ দূরতম ব্যাখ্যা বা রূপক অর্থ করা যাবে না। কেননা আল্লাহর নিজস্ব আকার আছে যার তাঁর উপযোগী, যা অন্যকিছুর সাথে তুলনীয় নয়। তিনি বলেন, ‘তার তুলনীয় কিছু নেই। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা’ (শূরা ৪২/১১)।
মূল ঘটনাটি ছিল এই যে, একদা কতিপয় ছাহাবী কোন এক অজ্ঞাত স্থানে ছালাত আদায় করার সময় ক্বিবলার দিক ভুলে উল্টা দিকে ফিরে ছালাত আদায় করেন। তারা রাসূল (ছাঃ)- কে উক্ত ঘটনা বর্ণনা করলে উক্ত আয়াত নাযিল হয় (তিরমিযী হা/২৯৫৭, সনদ হাসান)।