উত্তর : ছগীরাহ গুনাহ অর্থ ছোট গুনাহ। যে সকল গুনাহের ব্যাপারে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (ছাঃ) সতর্ক করেছেন কিন্তু কোন শাস্তির কথা বলেননি। যা নেক আমল করলেই ক্ষমা হয়ে যায় তওবার প্রয়োজন হয় না। যেমন রাসূলুল্ল­াহ (ছাঃ)  বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত ছালাত, এক জুম‘আ হ’তে আরেক জুম‘আ, এক রামাযান হ’তে আরেক রামাযান এর মধ্যবর্তী সকল গোনাহের জন্য কাফফারা হবে যদি কবীরা গোনাহ সমূহ থেকে বিরত থাকা যায়’ (মুসলিম, মিশকাত হা/৫৬৪)। আল্লাহ বলেন, যারা বড় বড় পাপ ও অশ্ল­ীল কর্ম সমূহ হ’তে বেঁচে থাকে ছোটখাট পাপ ব্যতীত (সে সকল তওবাকারীর জন্য) তোমার প্রতিপালক প্রশস্ত ক্ষমার অধিকারী’ (নাজম ৫৩/৩২)

ছগীরা গুনাহের সংজ্ঞায় ওলামায়ে কেরাম বিভিন্ন মতামত পেশ করেছেন। যেমন ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, প্রত্যেক যে সকল পাপের জন্য জাহান্নামের শাস্তি, আল্লাহর গযব, লা‘নত প্রভৃতির কথা উল্লেখিত হয়েছে, তা কবীরা গুনাহ। এমন গুনাহের সংখ্যা ৭০টির মত (তাফসীর কুরতুবী ৫/১৫৯)। ছগীরা গুনাহের উদাহরণ যেমন- বেগানা নারীর প্রতি অনৈতিক দৃষ্টি নিক্ষেপ, কাউকে গালি প্রদান, হিংসা করা, প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া ইত্যাদি।

তবে ছগীরা গুনাহ বার বার করলে তা কবীরা গুনাহে পরিণত হয়। যেমন হযরত ওমর ও ইবনু আববাস প্রমুখ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, لاَ صَغِيْرَةَ فِي الْاِصْرَارِ وَلاَ كَبِيْرَةَ فِي اْلِاسْتِغْفَارِ ‘বারবার ছগীরা গোনাহ করলে সেটি আর ছগীরা থাকে না এবং ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করলে আর কবীরা গুনাহ থাকে না’ (নববী, শরহ মুসলিম ২/৮৭)। যেমন পরনারীর প্রতি দৃষ্টি দেয়া ছগীরা গুনাহ। কিন্তু কেউ কেউ বার বার তাকালে তা কবীরা গুনাহ হয়ে যাবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৫/২৯৩)। সেজন্য রাসূল (ছাঃ) ছোট গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে তাকীদ করেছেন। তিনি বলেন, হে আয়েশা! ক্ষুদ্র গুনাহ থেকেও সাবধান হও। কারণ সেগুলোর জন্যও আল্লাহর নিকট জবাবদিহি করতে হবে’ (ইবনু মাজাহ হা/৪২৪৩; মিশকাত হা/৫৩৫৬; ছহীহাহ হা/৫১৩)






প্রশ্ন (২৩/৩৪৩) সাহারী খেতে বসেছে, কিন্তু খাওয়া শুরু করেনি, এমতাবস্থায় আযান শুরু হ’লে সাহারী খেতে পারবে কি?
প্রশ্ন (১৫/২৯৫) : গুল-জর্দা কি সরাসরি তামাক পাতা থেকে তৈরীকৃত? না স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় এগুলি হারাম সাব্যস্ত করা হয়? - -মোবারক হোসাইনবাগমারা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৬/৭৬) : মালাকুল মউত তিন ব্যক্তির জান কবযের সময় ক্রন্দন করেছিলেন। তারা কারা? কথাটির সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৬/৮৬) : ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির উপর হজ্জ ফরয হয় না। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদী ঋণের ক্ষেত্রেও কি এটি প্রযোজ্য হবে? যেমন কোন ব্যক্তির রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় ঋণ নেয়া আছে। যে ঋণ পরিশোধ করতে তার আজীবন লেগে যাবে। এই ব্যক্তির উপর কি হজ্জ ফরয? - -মীর কাসেম আলী, বাঘা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৬/২৮৬) : রাসূল (ছাঃ) কি কখনো আল্লাহকে দেখেছেন? জনৈক আলেম বলেন, তিনি তাকে স্বপ্নে সোনার জুতা পরিহিত একজন যুবকের আকৃতিতে দেখেছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (১৫/৯৫) : আমি নানীর দুধ পান করে বড় হয়েছি। বড় হয়ে বড় মামার মেয়েকে বিয়ে করেছি এবং একটি ছেলে সন্তান হয়েছে। এক্ষণে আমাদের বিবাহ কি শুদ্ধ ছিল? শুদ্ধ না হ’লে আমাদের সন্তানের কি হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন। - - মাহবূব আলম, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৭/২৪৭) : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছর বয়সী খাদীজা (রাঃ)-কে বিবাহ করেছিলেন মর্মে যে বর্ণনা এসেছে সেটা ছহীহ কি?
প্রশ্ন (৩১/৩১) : রাসূল (ছাঃ) নবুঅতপ্রাপ্তির পূর্বে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। প্রশ্ন হ’ল: কী কারণে ও কিসের ভিত্তিতে তিনি এরূপ করতেন এবং সেখানে তিনি কি ধরনের ইবাদত করতেন?
প্রশ্ন (১৫/২৫৫) : পিতা-মাতার কথা মনে আসলে তাদের জন্য আমি দু’রাক‘আত ছালাত আদায় করি। এরূপ আমল শরী‘আতসম্মত কি?
প্রশ্ন (৩৮/১১৮) : যেসব বিদ‘আতীদের সালাম প্রদান করা যাবে না তাদের কোন পর্যায় রয়েছে কি? না কি সাধারণভাবে সকল প্রকার বিদ‘আতীকেই সালাম প্রদান থেকে বিরত থাকতে হবে?
প্রশ্ন (৭/২৪৭) : আমাদের মসজিদের খত্বীব বলেছেন, ফজরের আযানের পর ২ রাক‘আত দুখূলুল মসজিদ ও ২ রাক‘আত সুন্নাত ছালাত ছাড়া অন্য কোন ছালাত পড়া যাবে না। এ বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (২১/১৪১) : অত্যাচারের শিকার এমন ব্যক্তি প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমা করে দিলে সে কেমন প্রতিদান লাভ করবে?
আরও
আরও
.