উত্তর : বিদ্বেষবশতঃ কমবেশী না করে, সন্তানদের প্রতি সমান দৃষ্টিভঙ্গি রেখে জীবদ্দশায় প্রয়োজনমত খরচে কমবেশী করায় কোন বাধা নেই। বরং এটাই ইনছাফ। কিন্তু কারো প্রতি অবজ্ঞা, কাউকে অধিক ভালোবাসা, কাউকে শাস্তি দেওয়া ইত্যাদি দৃষ্টিভঙ্গিতে কমবেশী করলে অবশ্যই গুনাহগার হ’তে হবে (বুখারী হা/২৫৮৬; মুসলিম হা/১৬২৩; মিশকাত হা/৩০১৯)

উল্লেখ্য যে, সন্তানদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিছু দান করা এবং সন্তানের প্রয়োজনীয় খরচ বহন করার মাঝে পার্থক্য রয়েছে। প্রয়োজনের বাইরে সাধারণভাবে কাউকে কিছু প্রদানের ব্যাপারে সমতা বিধান করা ওয়াজিব। কিন্তু প্রয়োজনীয় খরচ যেমন পড়াশুনা, খাদ্য সংস্থান, পোষাকাদি ইত্যাদির ক্ষেত্রে প্রত্যেকের প্রয়োজন মত খরচ করাই যরূরী। এছাড়া কোন সন্তান যদি দরিদ্র এবং পরিবার পরিচালনার মত প্রয়োজনীয় উপার্জনে অক্ষম হয়, তাহ’লে স্বচ্ছল পিতার জন্য সন্তানকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা যরূরী (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩৪/১০৫)। 

ইবনু কুদামা বলেন, পিতা সন্তানদের মধ্যে যার কোন বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে, কেউ অন্ধ, কারু পরিবারের সদস্য বেশী, কেউ জ্ঞানার্জনে রত রয়েছে ইত্যাদি কারণে কারো জন্য অধিক খরচ করেন। অথবা কোন সন্তানের পাপাচার, অবাধ্যতা, তাকে প্রদত্ত অর্থ সে আল্লাহ বিরোধী কাজে ব্যয় করবে ইত্যাদি কারণে কারু জন্য খরচ থেকে বিরত থাকেন তবে ইমাম আহমাদের বর্ণনা অনুযায়ী তা জায়েয। তিনি বলেন, এতে কোন বাধা নেই। যদি তা প্রয়োজন সাপেক্ষে হয়। তবে যদি তা পক্ষপাতিত্ব মূলক হয়ে থাকে তবে আমি তা অপসন্দ করি (ইবনু কুদামা, মুগনী ৬/৫৩)

ইবনু হাযম বলেন, কোন সন্তানকে নির্দিষ্টভাবে কিছু হেবা বা দান করা পিতার জন্য জায়েয নয়। বরং এরূপ ক্ষেত্রে সকলকে সমানভাবে দিতে হবে।... কিন্তু আবশ্যক ব্যয়ের ক্ষেত্রে নয়। যেমন আবশ্যকীয় পোষাকাদি ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রত্যেকের প্রয়োজন মত ব্যয় করবে। ধনী সন্তানদের ব্যতিরেকে দরিদ্র সন্তানদের জন্য খরচ করতে পারবে (মুহাল্লা ৮/৯৫)






প্রশ্ন (৪/৩৬৪) : কোন কোন পরিস্থিতিতে একজনের ছিয়াম অন্যজন রেখে দিতে পারবে?
প্রশ্ন (২৪/৩৮৪) : ছাহাবায়ে কেরামের সকল ফৎওয়াই কি অনুসরণযোগ্য? ছাহাবায়ে কেরামের মাঝে বিভিন্ন ফৎওয়ার ক্ষেত্রে বিভক্তি দেখা যায়। সেক্ষেত্রে যে কারো মত অনুসরণ করলেই কি যথেষ্ট হবে? এছাড়া তাদের জীবনযাপন রীতিও কি অনুসরণযোগ্য?
প্রশ্ন (২৪/৩৪৪) : মৃত্যুর পূর্বে উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টন করা জায়েয কি? কোন পিতা বাধ্যগত অবস্থায় সন্তানদের মাঝে এরূপ করলে গোনাহগার হবেন কি?
প্রশ্ন (২৭/২২৭) : অর্থনীতি, পলিটিক্যাল সাইন্স, ব্যাংকিং প্রভৃতি বিষয়ে অধিকাংশ পাঠ্য বই ইসলাম বিরোধী। এছাড়া এগুলি শেখার পর হারাম পেশা গ্রহণ করতে হয়। এসব বিষয়ে পড়াশুনা করা শরী‘আতসম্মত হবে কি?
প্রশ্ন (৯/২০৯) : মহিলাদের জামা‘আতে মহিলা ইমাম ক্বিরা’আত ও আমীন সশব্দে পড়তে পারবে কি? - মাযহারুল ইসলাম শিবগঞ্জ, বগুড়া।
প্রশ্ন (২৭/৩০৭) : জনৈক ব্যক্তির ছেলে কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে চাকুরী করে। নিরুপায় পিতা-মাতার জন্য উক্ত সন্তানের উপার্জিত অর্থে সংসার পরিচালনা করা জায়েয হবে কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, লালমণিরহাট।
প্রশ্ন (৩৩/১৫৩) : নফল ছালাতের কি কোন সংখ্যা-সীমা আছে? না যত খুশী আদায় করা যায়?
প্রশ্ন (২১/২২১) : পিতা জীবিত অবস্থায় কন্যা সন্তানদের কোন সম্পত্তি হেবা করতে পারবেন কি? পারলে কতটুকু পারবেন?
প্রশ্ন (২/২): আমি একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক। আমার প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ কর্মী তাবলীগ জামা‘আতের সাথে সম্পৃক্ত থাকায় দ্বীনী ব্যাপারে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান। কিন্তু সমস্যা হ’ল তাদের অধিকাংশই অফিসের কাজ-কর্মে অবহেলা ও অলসতা করে। তারা রাত জেগে ইবাদত করে ও অফিসে বিশ্রাম নিতে চায় এবং সর্বদা ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করে। এক্ষণে এসব কর্মীদের বেতন গ্রহণ করা হালাল হবে কি? আর বেতন হারাম হ’লে তাদের ইবাদত কবুল হবে কি? উত্তর দানে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৭/১০৭) : প্রশ্ন : জনৈক আলেম বলেন, রাসূল (ছাঃ) আল্লাহর কাছে নূর চাইতেন । তিনি বলতেন, আমার হাতে নূর দাও, পায়ে, সমস্ত অস্থি-মজ্জায় নূর দাও। উক্ত হাদীছটি কি ছহীহ?
প্রশ্ন (৬/১৬৬) : ‘তিনটি ক্ষেত্রে মিথ্যা কথা বলা যায়’ কথাটির সত্যতা আছে কি? থাকলে কোন কোন ক্ষেত্রে? - -সাইফুল ইসলাম, বিনোদপুর, বাঘা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৮/৮) : কোন কারণে দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হ’লে দাঁতে ক্যাপ পরানো যাবে কি? এটা সৃষ্টির পরিবর্তন হিসাবে গণ্য হবে কি?
আরও
আরও
.