উত্তর :
কারু ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা কারু জন্য বৈধ নয়। একত্রে
বাজার-ঘাটে কেউ কাউকে বাধা দেন না, অথচ মসজিদে একত্রে ছালাত আদায় করতে গেলে
হানাফী ভাইয়েরা আহলেহাদীছ ভাইদের বাধা দিবেন, এটি কখনই সঙ্গত নয়। তবুও যদি
তারা আহলেহাদীছদের মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরিবেশ তৈরী করেন, তাহ’লে
বাধ্যগত অবস্থায় সাময়িকভাবে কারু অনুমতিক্রমে তার জমিতে জুম‘আ ও অন্যান্য
ছালাত আদায় করা যাবে। মনে রাখতে হবে যে, মদীনায় বসবাসকারী মুসলমানদের
সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও সকলে মসজিদে নববীতেই ছালাত আদায় করতেন, আলাদা
জুম‘আ মসজিদ কায়েম করতেন না। আজও দুই হারামে হানাফী-আহলেহাদীছ সবাই একত্রে
ছালাত আদায় করেন। দুই হারামের ইমাম আহলেহাদীছের নিয়ম মতে ছালাত আদায় করেন।
হানাফী ভাইয়েরা বিনা দ্বিধায় তাদের ইকতেদা করেন। অথচ দেশে এসে তারা
আহলেহাদীছদের হিংসা করেন। এগুলি বন্ধ করা উচিৎ। হানাফী আলেমদেরও কর্তব্য
তাদের অনুসারীদের এসব থেকে বিরত রাখা।
ইবনু কুদামা (রহঃ) বলেন, বিনা প্রয়োজনে একাধিক জুম‘আ কায়েম করা জায়েয নয়। মুছল্লীদের জন্য একটি জুম‘আর মসজিদ যথেষ্ট হ’লে দ্বিতীয়টি কায়েম করা জায়েয হবে না, দু’টি যথেষ্ট হ’লে তৃতীয়টি কায়েম করা জায়েয হবে না (মুগনী ২/২৪৮)। তবে বিরোধীদের যুলুম চূড়ান্ত হ’লে বাধ্যগত অবস্থায় জুম‘আর ফযীলত হাছিল করার উদ্দেশ্যে কোথাও সাময়িকভাবে জুম‘আ কায়েম করা যেতে পারে (বিন বায, মাজমু‘ ফাতাওয়া ১২/৩৭৭)।
প্রশ্নকারী : আব্দুল্লাহ, দাউদকান্দি, কুমিল্লা।