‘হে তরুণ! তোমার দেহের প্রতি ফোঁটা রক্ত আল্লাহর পবিত্র আমানত। এসো তা ব্যয় করি আল্লাহর পথে’। ‘অহি-র আলোয় উদ্ভাসিত হৌক বাংলার প্রতিটি ঘর’। ‘সকল বিধান বাতিল কর, অহি-র বিধান কায়েম কর’। ‘আসুন পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবন গড়ি!’ এই শ্লোগানগুলি নিয়ে
ভারতের গুজরাটে ও ফিলিস্তীনের জেনিন উদ্বাস্ত্ত শিবিরের মুসলিম জনগোষ্ঠী ইতিহাসের বর্বরতম নিষ্ঠুরতার শিকার হ’ল। আধুনিক মিডিয়া এই দুই জনপদে মনুষ্যরূপী পশুদের অবিশ্বাস্য হিংস্রতার বিস্তারিত রেকর্ড জগদ্বাসীর সম্মুখে উদ্ভাসিত করে দিল। নির্যাতিত ও নিষ্পিষ্ট
দুই-তৃতীয়াংশের অধিক সংসদ সদস্যের সমর্থনে ধন্য দেশের ইতিহাসে সর্বাধিক শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার বিগত ৭ মাসে তাদের প্রধান দু’টি ওয়াদা পূরণে ব্যর্থ হয়ে এখন চরম বিব্রতকর অবস্থায় পতিত হয়েছে। তাদের প্রধান দু’টি অঙ্গীকার ছিল সন্ত্রাস দমন ও দু্র্নীতির উচ্ছ
ইঙ্গ-মার্কিন চক্রের সহায়তায় ১৯৪৮ সালের ১৪ই মে তেলআবিবে বিকেল ৪-টায় বিশ্ব ইতিহাসে প্রথম ‘ইস্রাঈল’ নামক একটি রাষ্ট্রের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমেরিকা ইসরাঈলকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। ১৯৪৯ সালে বৃহৎ শক্তিবর্গ তাকে জাতিসংঘের সদস্
ভারতের গুজরাট রাজ্যের প্রধান শহর আহমদাবাদের অনতিদূরে গোদরা রেলস্টেশন ও তৎসন্নিহিত এলাকা ছাড়িয়ে অন্যূন ৩৭টি শহরে ও গ্রামে চলছে সংখ্যালঘু মুসলমানদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করার বহ্ন্যুৎসব। নিকটাত্মীয়ের শেষ বিদায়কালে অশ্রুসিক্ত নয়নে দরদভরা অন্তরে প্রার্থনা
‘আহ্ল’ অর্থ অনুসারী, হাদীছ অর্থ বাণী। আল্লাহর বাণী ও রাসূলের বাণী উভয়কে ‘হাদীছ’ বলা হয়। ‘আহলুল হাদীছ’ বা আহলেহাদীছ অর্থ কুরআন ও হাদীছের অনুসারী। জীবনের সকল দিক ও বিভাগে আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের অনুসারী ব্যক্তিকে ‘আহলুল হ
জনমতের ভিত্তিতে একটি সরকার হটিয়ে পরবর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পূর্বকালীন সরকারকে অন্তর্বর্তীকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বলা হয়। কিন্তু অভ্যুত্থান হ’ল তার বিপরীত। এখানে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকারই সরকার। গত ৫ই আগস্ট সোমবার হাসিনা সরকারকে হটিয়ে এদে
সম্প্রতি বিভিন্ন বুদ্ধিজীবীর লেখায় এবং রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের বক্তৃতায় সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার শোনা যাচ্ছে। এর দ্বারা তারা ইসলাম মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পরোক্ষ ইঙ্গিত দিতে চান। তাঁদের বক্তৃতা ও লেখনী দৃষ্টে একথা খোলামেলা হয়ে গেছে যে,
Citadel of Asia বা ‘এশিয়ার দুর্গ’ আফগানিস্তানের পতন হয়েছে আগ্রাসী আমেরিকার হাতে। গত শতাব্দীর শেষাংশে একবার তার পতন হয়েছিল রাশিয়ার হাতে। আর বর্তমান শতাব্দীর শুরুতে পতন হ’ল আমেরিকার হাতে। দু’টি পতনেরই মূলে ছিল অর্থ ও পদলোভী দেশপ্রেমহীন আফগান নেতৃবৃন্দ।
গত ১১ই সেপ্টেম্বর ২০০১ মঙ্গলবার সকাল ৯-টায় নিউইয়র্কের বিশ্ববাণিজ্য কেন্দ্র টুইন টাওয়ারে ও ওয়াশিংটনের সামরিক প্রতিরক্ষা কেন্দ্র পেন্টাগনে যুগপৎ হামলার প্রতিশোধের নামে বিনা প্রমাণে উসামা বিন লাদেনকে দায়ী করে গত ৭ই অক্টোবর রবিবার রাতের অন্ধকারে যুক্তরাষ
পত্রিকান্তরের হিসাব মতে সরকারীভাবে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ের বাইরে সাড়ে ঊনিশ শত প্রার্থীর অন্যূন দশ হাযার কোটি টাকা ব্যয়ের মধ্য দিয়ে দেশের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পালাবদল শেষ হ’ল গত পহেলা অক্টোবর ২০০১ সোমবারে। সরকারী দল আওয়ামী লীগের বদলে দেশ পরিচালনার
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচলিত ধারায় দেশে কি সৎ ও যোগ্য নেতারা নির্বাচিত হয়ে সংসদে আসতে পারবেন? আর এলেও তিনি কি সৎ ও যোগ্য থাকতে পারবেন? বর্তমান নেতৃত্ব নির্বাচন পদ্ধতিতে সেটা আদৌ সম্ভব কি-না ভেবে দেখার বিষয়। কারণ : (১) এখানে প্রার্থী হওয়ার মাধ্যমে নে
দলীয় শাসনে পিষ্ট মানুষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অপেক্ষায় দিন গুণছিল। অবশেষে গত ১৫ই জুলাই’০১ বাদ মাগরিব তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জনাব লতিফুর রহমান ও দশজন উপদেষ্টার শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাস্ত
দেশের স্বাধীনতার উপরে হামলা হয়েছে। গত ১৮ই এপ্রিল’০১ কুড়িগ্রাম রৌমারী সীমান্তে এ হামলা চালিয়েছে বৃহৎ প্রতিবেশী ভারত। এযাবতকালের এই ভয়াবহ সংঘর্ষে হানাদার পক্ষ স্বাভাবিকভাবেই চরম মার খেয়েছে। ৩জন বিডিআর ও ৪০জন বিএসএফ নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৬টি লাশ ফেলে
সঊদী আরবের ত্বায়েফ প্রবাসী আত-তাহরীক-এর জনৈক পাঠক আমাদের বিগত সম্পাদকীয় ‘ভালো আছি’ পড়ে প্রভাবিত হয়ে ‘ভালোবাসি’ নামে আরেকটি সম্পাদকীয় উপহার দেওয়ার দাবী জানিয়ে পত্র লিখেছেন। হজ্জ ও কুরবানী তথা বিশ্ব মুসলিম মহাসম্মেলন ও আল্লাহর জন্য জীবন উৎসর্গ করার প্র
ইসলাম টিকে থাকে আলেমদের মাধ্যমে। আলেমগণ হ’লেন আল্লাহ প্রেরিত অহি-র ইলমের ধারক, বাহক ও প্রচারক। হকপন্থী আলেমদের মাধ্যমেই যুগ যুগ ধরে দ্বীন বেঁচে আছে ও আগামীতেও থাকবে। ‘আল্লাহকে সত্যিকার অর্থে ভয় করেন আলেমগণ’ (ফাত্বির ৩৫/২৮)। ‘যারা আলেম ও যারা আলেম নয়,
জনৈক ভদ্রলোক ভাগিনার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে ভগিনীর বাড়ীতে গিয়েছেন সান্ত্বনা দেবার জন্য। শোকার্ত লোকজনে ভরপুর বাড়ীর বাইরে বিষণ্ণ ভগ্নিপতির সঙ্গে দেখা। যথারীতি সালাম বিনিময়ের পর অভ্যাসবশতঃ জিজ্ঞেস করলেন, ভাই কেমন আছেন? বোনাই জবাব দিলেন, ভালো আছি। যদিও ঘরে ত
গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বাদ জুম‘আ খুলনা খালিশপুরে ইমাম পরিষদের ব্যানারে একদল লোক খালিশপুর ১২ নং সড়কের আহলেহাদীছ জামে মসজিদে হামলা করে মসজিদ ও ওযূখানা ভাংচুর করে এবং পার্শ্ববর্তী মাওলানা আব্দুর রঊফ ছাহেবের বাড়ী ও লাইব্রেরীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষ
গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বপল্লী গড়ার স্বপ্ন নিয়ে সাম্প্রতিক কালের বিশ্বায়ন তত্ত্ব বর্তমান সময়ের একটি অতি আলোচিত বিষয়বস্ত্ত। এ তত্ত্বের অন্তর্নিহিত বক্তব্য হ’ল সারা বিশ্বকে একই মোহনায় জমায়েত করা। আপাত মধুর এই তত্ত্বটি এসেছে পশ্চিমা পুঁজিবাদী বিশ্বের কাছ থ
হিজরী বর্ষের ৯ম মাস রামাযান আমাদের দুয়ারে সমাগত। বছরে একবার রামাযান তার মাসব্যাপী অফুরন্ত রহমতের পশরা নিয়ে আমাদের নিকটে হাযির হয়। যারা একে চিনেন ও বুঝেন, তারা একে সম্মান করেন, মর্যাদা দেন, নিজের গোনাহ মাফের জন্য তওবা করেন, আল্লাহর নিকট থেকে বিশেষ পুর
‘উড়ে এল চিল জুড়ে নিল বিল’ বলে বাংলায় একটি প্রবাদ বাক্য চালু আছে। আজকের ফিলিস্তীনের অবস্থা তাই। সংখ্যাগুরু ফিলিস্তীনী আরব মুসলিম জনগণকে বিতাড়িত করে বাহির থেকে আসা মুষ্টিমেয় সংখ্যক ইহূদী ফিলিস্তীনের শতকরা ৮০ ভাগ এলাকা গ্রাস করে সেখানে তাদের স্বাধীন রাষ
মাসিক আত-তাহরীক-এর ৪র্থ বর্ষের প্রথম সম্পাদকীয় লিখতে হচ্ছে এমন এক সময় যখন আকস্মিক প্রলয়ংকরী বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৭টি যেলা বিশেষ করে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত যশোরের শার্শা উপযেলা ও ‘বন্যামুক্ত এলাকা’ বলে পরিচিত সাতক্ষীরা যেলা উজানের দেশ থেকে
মানুষের পাপ যত বৃদ্ধি পাবে, ততই নতুন নতুন গযব নাযিল হবে। পাপের প্রকৃতির যেমন পরিবর্তন হচ্ছে, গযবের প্রকৃতিও তেমনি পরিবর্তিত হচ্ছে। এক সময় ম্যালেরিয়া জ্বর, কালাজ্বর এদেশের আতংক ছিল। ওলাউঠা, গুটি বসন্ত, টিবি ইত্যাদির পরে আসলো ‘ক্যান্সার’। তারপর বর্তমান
ফারাক্কা বাঁধ থেকে ছাড়া পানি হু হু করে ধেয়ে আসছে রাজশাহীর দিকে। সে চায় শিক্ষানগরী রাজশাহীকে গ্রাস করতে। শহর রক্ষা বাঁধ তার প্রধান শত্রু। একে সে খাবেই। এবার যেন সে মরিয়া হয়ে উঠেছে। উত্তরাঞ্চলের এই বিভাগীয় শহরকে তলিয়ে দিতে পারলে পুরা উত্তরাঞ্চলকে সে ডু
২৬শে মার্চ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। এ মাসেরই ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকার ঘুমন্ত মানুষের উপর হিংস্র আক্রোশে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নীতিহীন পাকিস্তানী সেনাবাহিনী। ফলে পরদিন ২৬শে মার্চকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসাবে ঘোষণা করেন দেশের রাজনৈতিক নে
শামসুদ্দীন জুয়েল (২৫)। মৃত্যুর দিকে দ্রুত ধাবমান ডুবন্ত এক তরতাযা যুবক। চাঁদাবাজ পুলিশের তাড়া খেয়ে সচ্ছল ঘরের শিক্ষিত এই নিরপরাধ যুবকটি দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটে পালাতে গিয়ে পড়ে যায় ড্রেনে। তার সাথী কিরণের পকেট থেকে পুলিশ পঞ্চাশ টাকা হাতিয়ে নিয়ে
পারমাণবিক শক্তিধর একমাত্র মুসলিম দেশ পাকিস্তান এখন সামরিক শাসনের অধীনে। প্রতিবেশী চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতে যখন নতুন সরকারের অভিষেকের আয়োজন চলে, পাকিস্তানে তখন ঘটে সামরিক অভ্যুত্থান। অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন কারগিল বিজয়ের পুরস্কার ঘরে তুলেন অর্থাৎ তৃতীয়
‘আত-তাহরীক’ অর্থ বিশেষ আন্দোলন। এ আন্দোলন তাওহীদ ও রিসালাতের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। এ আন্দোলন পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক সমাজ গড়ার আন্দোলন। আমাদের কাংখিত শিরক ও বিদ‘আত মুক্ত এবং তাক্বওয়াশীল সমাজ গঠনের উদ্দেশ্য সম্মুখে রেখে দু’
পানি চুক্তি ও পার্বত্য চুক্তির পর বর্তমানে প্রক্রিয়ারত করিডোর চুক্তি, সীমান্তে বিএসএফ-এর নিয়মিত হামলা, ফারাক্কা ও গোজলডোবা ব্যারেজ ও অন্যান্য বাঁধ সমূহের মাধ্যমে উজানে পানি শাসন, খরা ও বন্যা সৃষ্টি, অসম বাণিজ্য, প্রায় উন্মুক্ত চোরাচালান, অস্ত্র ও মাদ
গত ২৭শে জুন’৯৯ রবিবার দেশব্যাপী মহা সমারোহে ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ পালিত হ’ল। ঈমানী তেজে বলীয়ান হ’ল বাংলাদেশের মুসলিম সমাজ। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হ’ল সবাই। ইসলামপন্থী, ধর্মনিরপেক্ষ বা জাতীয়তাবাদী সকল দলের মুসলমান স্ব স্ব দৃষ্টিকোণ থেকে রাস
দেশে ইসলামী শিক্ষার সংকোচন নীতি প্রকাশ্যভাবেই চলছে। বিশ্বের প্রায় সকল দেশের সব ধরনের সরকারই যেন ইসলামকে ভীতির চোখে দেখে। এই ভীতির কারণ সম্ভবতঃ দু’টি। নৈতিক ও রাজনৈতিক। নৈতিক ভীতি এজন্য যে, ক্ষমতাসীন দল বা সরকার এবং সরকারী আমলাতন্ত্রের প্রধান একটি অংশ
ভারতের প্রথম গবর্ণর জেনারেল মাউন্টব্যাটেন ও তৎকালীন ভারতীয় নেতৃবৃন্দের কূটচালের ফলশ্রুতি হিসাবে বিগত ৫২ বছর ধরে কাশ্মীরে যে রক্ত ঝরছে, গত কয়েক সপ্তাহে তা তীব্র আকার ধারণ করেছে। অতঃপর গত ২৬শে মে’৯৯ বুধবার সকাল সাড়ে ৭-টায় স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরী মুজাহিদ
মানুষের জীবন মূলতঃ অসংখ্য ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ড, পল ও অনুপলের সমষ্টির নাম। যাকে ‘হায়াত’ বলা হয়। আল্লাহ নির্ধারিত সময়ে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার মত এক সময় জীবনের আলো নিভে যাবে ও ‘মউত’ সংঘটিত হবে। মানুষের এই হায়াত ও মউত সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্ল
কসোভো বর্তমানে একটি বিপন্ন মানবতার নাম। কসোভোর সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগণ সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান সার্বদের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে সবকিছু ফেলে নিঃস্ব হাতে বানের স্রোতের মত পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র সমূহে পালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কেন? কি তাদের অপরাধ? তাহ’ল
কুরবানীর সুমহান আদর্শ নিয়ে ঈদুল আযহা সমাগত। উৎসর্গ ও সহিষ্ণুতার আহবানের মধ্যে দিয়ে পালিত হবে এই মহান ব্রত। দেওয়ার প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করবে বিশ্ব মুসলিমকে। ত্যাগ এবং ভোগ উভয়ই জড়িয়ে আছে ঈদুল আযহার সাথে। ভোগের আনন্দ ক্ষণিক। কিন্তু ত্যাগের আনন্দ দীর্ঘস্থায়
দেশের ৩৭টি যেলা বন্যায় হাবুডুবু খাচ্ছে। হাযার হাযার মানুষ ও লক্ষ লক্ষ প্রাণী অসহনীয় কষ্টে ও অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশায় দিনাতিপাত করছে। ইতিমধ্যে পৌনে তিন শতাধিক মানুষ মারা গেছে। অন্যান্য প্রাণী ও গবাদিপশুর কোন হিসাব নেই। বন্যার পানি সরছে না। দুষিত পানি পা
নির্যাতিত, অবহেলিত ও উপেক্ষিত নারী সমাজের অধিকার নিশ্চিত করেছে ইসলাম। কন্যা সন্তানকে জীবন্ত পুঁতে মেরে ফেলার মত জাহেলী প্রথার মূলোৎপাটন করেছে ইসলাম। ইসলামই দিয়েছে তাদের উত্তরাধিকারের সুমহান মর্যাদা। দিয়েছে মাতৃত্বের চির গৌরব। অথচ সে নারী আজ প্রতিনিয়ত
মুসলিম বিশ্বের অন্যতম দু’টি দেশ ইরান ও আফগানিস্তান। সুন্নী মতাবলম্বী তালেবান কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তান। অপর দিকে শী‘আদের দ্বারা শাসিত ইরান। দেশ দু’টির মধ্যে ভয়াবহ উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় ভয়ঙ্কর সংঘাত লেগে যেতে পারে। সম্প্রতি আফগানিস্তানের
প্রায় আড়াই মাস যাবৎ স্থায়ী স্মরণকালের ভয়াবহতম সর্বগ্রাসী বন্যার ফলে বাংলাদেশের সার্বিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোটি কোটি মানুষ হয়েছে দুর্গত ও দুর্দশাগ্রস্ত। অসংখ্য মানুষের জীবন ধারণের স্বাভাবিক ব্যবস্থা তছনছ হয়ে গেছে। বাসগৃহ ধ্বংস
‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ নামক প্রচলিত নবী দিবস সমাগত। এই দিবসকে বরণ করে নেবার জন্য সারা দেশে চলছে ব্যাপক প্রস্ত্ততি। অতি গরীব মানুষটিও এদিনটি উদযাপনের জন্য আগে থেকেই প্রস্ত্ততি নিচ্ছে। অধিকাংশ জনগণের অনুভূতির দিকে খেয়াল করে ইসলামী বা ধর্মনিরপেক্ষ সকল দলের র
প্রতিবেশী ভারত গত ১১ ও ১৩ই মে’৯৮ যথাক্রমে ২+৩= ৫টি পারমাণবিক বোমার পরীক্ষা চালিয়েছে। এই বোমাগুলির সম্মিলিত ধ্বংসকারী ক্ষমতা ছিল ৫৬ কিলোটন টিএনটি (১ কিলোটন= ১০,০০০ টন টিএনটি´৫৬= ৫ লাখ ৬০ হাযার টন টিএনটি)। যা ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমায় ২য় মহাযুদ্ধে মি
আদর্শকে কেন্দ্র করেই মানুষের সার্বিক জীবন আবর্তিত হয়। আদর্শহীন মানুষ এমনকি নিজ পরিবারের সদস্যদের নিকটেও অবিশ্বস্ত ও অশ্রদ্ধার পাত্র। অনুরূপভাবে একটি জাতি উন্নত হয় তার আদর্শনিষ্ঠার কারণে। জাতিকে নীতি ও কল্যাণের পথে পরিচালনার জন্যই প্রয়োজন আদর্শবান ও ক
তাবলীগী ইজতেমা’৯৮ সবেমাত্র শেষ হ’ল (২৬ ও ২৭শে ফেব্রুয়ারী)। নওদাপাড়ার মাটি ধন্য হ’ল লক্ষ মুমিনের পদস্পর্শে। রাজশাহী মহানগরী প্রকম্পিত হ’ল গগনভেদী তাকবীর ধ্বনিতে। উচ্চকিত হ’ল অযুত কণ্ঠের প্রাণোৎসারিত দাবী ‘সকল বিধান বাতিল কর, অহি-র বিধান কায়েম কর’। অহি
২১শে ফেব্রুয়ারী ভাষা দিবস সমাগত। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারী ঢাকার রাজপথে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার ন্যায্য দাবীকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য অদূরদর্শী শাসনশক্তি সেদিন বুলেট চালিয়ে হত্যা করেছিল আমাদেরই কিছু তরুণ ভাইকে। আমরা তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করি শ্রদ
বর্ষ পরিক্রমায় অন্যান্য বারের ন্যায় এবারও আমাদের দুয়ারে নেকী ও ছওয়াবের ডালি নিয়ে মাহে রামাযানের আগমন ঘটেছে। আল্লাহভীতির বিশেষ গুণ অর্জনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি অর্জন ও সংযমশীলতার প্রশিক্ষণ গ্রহণের ফলে যে আত্মশক্তির উন্মেষ ঘটে, সেই আত্মশুদ্ধি ও আত্মশক্তি
১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর তারিখে সেদিনের পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন বাংলাদেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বতন্ত্র অবস্থান নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। রাজনৈতিক ও সামরিক বিজয়কেই সাধারণতঃ বিজয় হিসাবে দেখা হয়। কিন্তু মূল বিজয় সেখানেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং মানবতার স্ব
৩. ১ম বর্ষ ৩য় সংখ্যা ‘আত-তাহরীক’ আত্মপ্রকাশের ছুবহে ছাদিকে হৃদয় নিংড়ানো কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি মহান কারুণিক আল্লাহ পাকের হুযূরে, যাঁর অফুরন্ত রহমতে আমরা আমাদের প্রিয় পত্রিকার প্রথম সরকারী রেজিস্ট্রেশন হাতে পেয়েছি, আল-হামদুলিল্লাহ। আজ আমরা স্মরণ করছি আম
২. ১ম বর্ষ ১ম সংখ্যা ‘আত-তাহরীক’ বের হওয়ার সাথে সাথেই এমনভাবে জনপ্রিয়তা পাবে আশা করিনি। আল্লাহ পাকের হাযারো শুকরিয়া যে, তিনি তাঁর বান্দাদের অন্তরকে আমাদের দিকে রুজূ করে দিয়েছেন। ‘আত-তাহরীক’ আত্মপ্রকাশের সাথে সাথে তা যে পরহেযগার মুমিনদের হৃদয় কেড়েছে,
১. আরবীতে ‘তাহরীক’ অর্থ আন্দোলন। ‘আত-তাহরীক’ অর্থ বিশেষ আন্দোলন। ইংরেজীতে যাকে বলা যাবে The Movement অথবা That very Movement. অতএব ‘আত-তাহরীক’ বিশেষ একটি আন্দোলনের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে। সে আন্দোলন পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ ভিত্তিক জীবন গড়ার
সঙ্গতভাবেই কথা উঠেছে ৭২-এর সংবিধান বাতিল হবে এবং নতুন সংবিধান রচিত হবে। কেন বাতিল হবে? কেননা ঐ সংবিধান ছিল ভারতের চাপিয়ে দেওয়া। যা এদেশের মানুষের আক্বীদা-বিশ্বাসের উপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে ছিল গত ৫২ বছর। মুখে গণতন্ত্র বলা হচ্ছে। অথচ দেশের গণ মানুষের
গত ১লা জুলাই থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যা ঘটে গেল, তা রীতিমত বিস্ময়কর। যা পৃথিবীর তাবৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিমন্ডলে দারুণ ঝাঁকুনি দিয়েছে। মেধা আল্লাহর দান। কিন্তু যখনই সেই মেধার স্বাভাবিক বিকাশে ও তার মূল্যায়নে সরকার নানাবিধ কোটা চাপিয়ে দীর্ঘ দ
সম্প্রতি দেশের সরকার ও প্রশাসনে কর্মরত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির যে ভয়াল চিত্র প্রকাশিত হয়েছে এবং প্রায় প্রতিদিন হচ্ছে, তা কল্পনাকেও হার মানায়। সেই সাথে বিসিএস ও পিএসসির বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফঁাস জালিয়াতিতে জড়িত ড্রাইভা
পৃথিবীতে এযাবত মৌলিকভাবে দু’টি শাসনব্যবস্থা দেখা গিয়েছে। রাজতন্ত্র ও খেলাফত। দু’টির মধ্যে দু’টি আদর্শের প্রতিফলন রয়েছে। রাজতন্ত্রে রাজার ইচ্ছাই চূড়ান্ত। তাঁর হাতেই থাকে সার্বভৌমত্বের চাবিকাঠি। যেমন বিগত যুগে নমরূদ, ফেরাঊন ও সর্বযুগে তাদের অনুসারী শাস
২০২৪ সালকে বলা হচ্ছে নির্বাচনের বছর। নির্বাচন হচ্ছে ৭০টির বেশী দেশে। এক বছরে এতগুলো দেশে নির্বাচনের নযীর ইতিপূর্বে নেই। বিশ্বের প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষ এ বছর ভোটের আওতায় থাকছে। এমন এক সময়ে এই নির্বাচনগুলো হচ্ছে, যখন বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্রের মান ক্রমশ নীচ
হিব্রু ভাষায় ইস্রাঈল অর্থ আল্লাহর দাস। এটি হ’ল ইয়াকূব (আঃ)-এর অপর নাম। বিশ্বের দু’জন নবীর নাম দু’টি করে ছিল। ইয়াকূব বিন ইসহাক বিন ইব্রাহীম (আঃ)। ঈসা (আঃ) ছিলেন বনু ইস্রাঈলের শেষনবী। আরেকজন হলেন শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)। যার অপর নাম আহমাদ। যিনি ছিলেন ইব
আল্লাহর নিকট ছওয়াব লাভের দৃঢ় আশায় আল্লাহর পথে মুমিনের সকল প্রকার ঐচ্ছিক দানকে ‘ছাদাক্বা’ বলে এবং নিজের সঞ্চিত ধন ও অন্যান্য সম্পদের ‘নেছাব’ পরিমাণ অংশের বাধ্যতামূলক দানকে ‘যাকাত’ বলে। দু’টিই মুমিনের মালকে পরিশুদ্ধ করে এবং দু’টিরই লক্ষ্য আল্লাহর সন্তু
এটি প্রচলিত অর্থে কোন ব্যক্তি ভিত্তিক মাযহাব, মতবাদ বা ইজম-এর নাম নয়। বরং এটি একটি পথের নাম। যে পথ আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ অহি-র পথ। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পথ। এপথের শেষ ঠিকানা হ’ল জান্নাত। মানুষের আধ্যাত্মিক ও বৈষয়িক জীবনের সমস্ত হেদায়াত এপথেই ম
‘বানরবাদ’ হ’ল ডারউইনের তত্ত্ব অনুযায়ী মানুষকে বানর জাতীয় পশুর বংশধর হিসাবে প্রমাণ করা। সাবেক বামপন্থী শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ (সিলেট) ২০১২ সালে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এটি চালু করেন। যা আজও চলছে। আর ‘ট্রান্সজেন্ডার’ হ’ল অস্ত্রোপচার ও হরমোন প্রত
প্রত্যেক মানুষের স্বভাবগত মৌলিক অধিকারকে ‘মানবাধিকার’ বলা হয়। যেমন জান-মাল-ইযযত, খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান, শিক্ষা-চিকিৎসা এবং সর্বোপরি স্বাধীন ও সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার। মানবাধিকার সর্বদা পরস্পর সম্পর্কিত। তা কখনো এককভাবে অর্জিত হয় না। আর এ কার
আগামী ৭ই জানুয়ারী ২০২৪ রবিবার বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারী থেকে প্রায় ১৫ বছর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই সরকারী ও বিরোধী দলের হানাহানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। উভয় দলের ক্যাডাররাই
হযরত ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকূবসহ প্রায় পাঁচ হাযার নবীর কর্মস্থল এবং শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর মে‘রাজের স্মৃতিধন্য মুসলমানদের ৩য় ক্বিবলা বায়তুল আক্বছার আদি বাসিন্দা ফিলিস্তীনীদের একাংশ গাযা আজ উড়ে আসা বহিরাগত ইহূদীদের মাধ্যমে অবরুদ্ধ। খাদ্য, পানি-বিদ্য
তরুণ সমাজ, যাদেরকে জাতির মেরুদন্ড বলা হয়, তাদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন আমাদের প্রাণপ্রিয় সন্তানেরা বাপ-মায়ের কোল ছেড়ে বিদেশ-বিভুঁইয়ে জীবন কাটাতে চায়? লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাগর-মহাসাগর পাড়ি দিয়ে মধ্যপ্রা
মানবদেহে ষড়রিপু হ’ল কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য। এর মধ্যে ‘মদ’ হ’ল হিংসা, গর্ব ও অহংকার। জীবনে চলার পথে ষড়রিপু আমাদের সার্বক্ষণিক সাথী। এগুলি ডাক্তারের আলমারিতে রক্ষিত ‘পয়জন’ (Poison)-এর বোতলের মত। দেহের মধ্যে লুক্কায়িত উপরোক্ত ৬টি আগুনের মধ্য
সংস্কার ও কুসংস্কার পাশাপাশি চলে। কুসংস্কার হয় শয়তানের পক্ষ থেকে এবং সংস্কার হয় আল্লাহর পক্ষ থেকে। উভয় পক্ষে লোক থাকে। কুসংস্কার অত্যন্ত লোভনীয় ও চাকচিক্যপূর্ণ। ফলে সেখানে লোক বেশী থাকে। যাদের চাপে সংস্কার চাপা পড়ে যায়। আল্লাহর বিশেষ রহমতে যুগে যুগে
২০১৯ সালের জুন মাসে প্রকাশিত বিবিএস (Bangladesh Bureau of Statistics)-এর ‘দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস’ (the situation of vital statistics) শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে তালাকের ঘটনা ১৭ শতাংশ বেড়েছে। ঢাকায় বিবাহবিচ্
গত ১০ই মে বুধবার শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমাদ মজুমদার বলেন, ‘দেশের মানুষের ত্রাহি অবস্থা। পকেটে টাকা নেই, মানুষ বাজারে গিয়ে কাঁদে। সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম নাগালের বাইরে নিয়ে গেছে’ (দৈনিক ইনকিলাব ১১.০৫.২৩ বৃহস্পতিবার)। গত ১৭ই মে বুধবার রাজধানী
সম্প্রতি হঠাৎ কিছু বক্তাদের মাধ্যমে গুজব রটল এ বছরের ১৫ই রামাযান শুক্রবার ক্বিয়ামত হবে। সেদিন আকাশে বিকট আওয়ায হবে। তাতে বহু লোক মারা যাবে, অন্ধ হবে, বধির হবে’ ইত্যাদি। তারা প্রমাণ উপস্থাপনের সময় বললেন, ‘হয়তো হাদীছ হিসাবে সনদটি ছহীহ নাও হ’তে পারে, কি
ওহে আত্মভোলা মানুষ! দুনিয়ার ব্যস্ততায় তোমার জীবনের গাড়ী পাথেয়শূন্য অবস্থায় এগিয়ে চলেছে সৌর গতির তুলনা মতে প্রতি সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার বেগে। অথচ সাত আসমানের উপর আরশে উন্নীত আল্লাহর কাছ থেকে আদেশ নিয়ে তোমার নিকট ফেরেশতাদের পৌঁছতে সময় লাগে এক পলক মা
পৃথিবীর অন্যতম সক্রিয় ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী বিস্তৃত অঞ্চলে গত ৬ই ফেব্রুয়ারী সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪-টা ১৭ মিনিটে প্রচন্ড শীত, তুষারপাত ও বৃষ্টিপাতের মধ্যে ৭.৮ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে
২০১৩ সাল থেকে স্কুল-কলেজে এবং ২০১৪ সাল থেকে আলিয়া মাদ্রাসাগুলির সিলেবাসে ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী ‘বিবর্তনবাদ’ অনুসরণে মানুষকে বানরের পরিবর্তিত রূপ হিসাবে প্রমাণ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। জনগণের আক্বীদা বিরোধী এই দুঃসাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের পুরস্কার স্বরূপ
আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমান আনে ও সৎকর্মসমূহ সম্পাদন করে, আল্লাহ তাদের ওয়াদা দিয়েছেন যে, তিনি তাদেরকে অবশ্যই পৃথিবীতে শাসন ক্ষমতা প্রদান করবেন, যেমন তিনি দান করেছিলেন পূর্ববর্তীদেরকে’ (নূর ২৪/৫৫)। তিনি স্বীয় রাসূলকে বলেন, ‘তুমি বল, হে
৩১শে ডিসেম্বর প্রতিটি সৌর বর্ষের শেষ দিন। এদিন দিবাগত রাতকে ইংরেজীতে ‘থার্টি-ফার্স্ট নাইট’ বলা হয়। এই বিদায়ী রাত্রির ১২-টা ১ মিনিটে ইংরেজী ক্যালেণ্ডারের হিসাবে পরবর্তী নববর্ষ শুরু হয়। যদিও চান্দ্র বর্ষ হিসাবে দিন গণনা শুরু হয় প্রতিদিন সূর্যাস্তের পর
আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ নিহিত রয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতকে কামনা করে এবং আল্লাহকে অধিকহারে স্মরণ করে’ (আহযাব ৩৩/২১)। নবুঅতী জীবনের ভিত্তি ছিল অহিয়ে মাতলু পবিত্র ‘কুরআন’ ও অহিয়ে গায়ের মাত
‘আল্লাহু আকবর’ (আল্লাহ সবার চেয়ে বড়)। দু’টি শব্দের এই বাক্যটি আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এটি মুমিনের ঈমানের বহিঃপ্রকাশ। এটি সৃষ্টিকর্তার প্রতি সৃষ্টিজগতের স্বভাবজাত ঘোষণা। অতি বড় নাস্তিকও বিপদে পড়লে স্রেফ আল্লাহকে ডাকে। কিন্তু যুগে যুগে শয়
জনৈক ব্যক্তি ভারতের রাজস্থান প্রদেশে অবস্থিত আজমীরে খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী (১১৩৮-১২৩৫ খৃ.)-র মাযার দেখতে গিয়েছে। সেখানে একটা ছোকরা এসে খাজার কাছে ভিক্ষা চাইল। তখন লোকটি তাকে একটা থাপ্পড় দিয়ে তার হাতে দু’টি টাকা দিয়ে বলল, ভাগ এখান থেকে! খাজা তো
মূল্যস্ফীতি বলতে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়ে কোন দেশের দ্রব্য বা সেবার মূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে বুঝায়। আর মুদ্রাস্ফীতি বলতে অর্থনীতিতে মুদ্রার সরবরাহ বৃদ্ধিকে বুঝায়। তাতে সীমিত পণ্য ও সেবার পিছনে বিস্তর টাকা ব্যয় হয়।চাহিদা ও যোগানের অসমতার কারণে সাধারণত ম
অন্যায় পন্থায় অর্থ উপার্জনের ও স্বার্থ উদ্ধারের অন্যতম মাধ্যম হ’ল ‘ঘুষ’। যা সমাজের জন্য দূর নিয়ন্ত্রিত বোমার মত কাজ করে। কেননা ঘুষ দেখা যায় না এবং এর কোন রেকর্ড থাকে না। অথচ কার্যোদ্ধার হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা পরস্পরের সম্
ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশের বারাণসীতে অবস্থিত প্রাচীন ‘জ্ঞানবাপী মসজিদটি’ শিব মন্দির ভেঙ্গে করা হয়েছে বলে কিছুদিন পূর্বে মিথ্যা গুজব সৃষ্টি করা হয়। অতঃপর এর উপরে ‘টাইম্স নাউ’ টেলিভিশন চ্যানেল আয়োজিত একটি টকশোতে অংশ নিয়ে গত ২৬শে মে ২০২
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভের পর বিগত ৭৪ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে জটিল অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে অগ্রসর অর্থনীতির দেশ শ্রীলংকা। যেখানে মাথাপিছু জিডিপি ছিল ৪ হাযার ডলারের বেশী। যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ। তাদের ৯৫ শতাংশ ম
আল্লাহ বলেন, ‘রামাযান হ’ল সেই মাস, যাতে কুরআন নাযিল হয়েছে। যা মানুষের জন্য পথ প্রদর্শক ও সুপথের স্পষ্ট ব্যাখ্যা এবং সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী’ (বাক্বারাহ ২/১৮৫)। সত্য-মিথ্যার মানদণ্ড পবিত্র কুরআন আমাদের সামনে রয়েছে। সেই সাথে রয়েছে তার স্পষ্ট ব্যাখ্
এ বছর জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্টে ১৪৬টি দেশের তালিকায় ২০১৮ সাল থেকে টানা পঞ্চমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ নির্বাচিত হয়েছে ফিনল্যান্ড। বাংলাদেশ ৯৪, পাকিস্তান ১২১ এবং ভারত রয়েছে ১৩৬ নম্বরে। তালিকা অনুযায়ী শীর্ষ ১০টি সুখী দেশ হ’ল
সম্প্রতি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের উদুপী যেলার সরকারী কলেজে কয়েক সপ্তাহ যাবত ৬ জন মুসলিম ছাত্রীর হিজাব পরতে বাধা দেওয়া হয় এবং একে তাদের কলেজের ইউনিফর্ম বিরোধী বলে আখ্যায়িত করা হয়। ফলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে কলিকাতা সহ ভারতের প্রায় সকল বড় বড় শহরে। ইতি
মানুষের জান-মাল ও ইযযত যখন লুণ্ঠিত হচ্ছিল, আরবের মরু বিয়াবান যখন অশান্তির আগুনে জ্বলছিল, শোষক পূঁজিপতিদের হাতে যখন দীন-হীন মানুষ গরু-ছাগলের মত বিক্রি হচ্ছিল, তখন সেখানে আল্লাহর পক্ষ থেকে অহি-র বিধান নিয়ে আগমন করেন বিশব শান্তির অগ্রদূত বিশ্বনব
দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা তাদের মৌলিক মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত। অথচ বর্তমানে আমাদের মত অনেকেরই মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত। বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে- ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা। ৪১। (১) আইন, জনশৃঙখলা ও নৈতিকতা সাপেক্ষে (ক) প্রত্যেক নাগর
Registration Form Register Here First Name :
বিশ্বব্যাপী সামাজিক অস্থিরতা দিন দিন বেড়ে চলেছে। মানুষের জান-মাল ও ইয্যতের নিরাপত্তা নিম্নতম পর্যায়ে চলে গেছে। পৃথিবী ক্রমেই মানুষের অবাসযোগ্য হয়ে উঠছে। তাই বান্দাদের সতর্ক করে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ করোনা ভাইরাস সহ নানাবিধ গযব পাঠাচ্ছেন। দুর্ভিক
প্রকাশিত খবর অনুযায়ী এমএলএম নামক বহুস্তর বিপণন কোম্পানী ও সমবায় সমিতি সমূহ মিলিয়ে গত ১৫ বছরে ২৮০টি প্রতিষ্ঠান দেশবাসীর অন্ততঃ ২১ হাযার ১৭ কোটি টাকা লোপাট করেছে। সবক্ষেত্রেই মূল উৎস ছিল লোভ। অর্থাৎ ১০০ টাকার পণ্য কিনলে তার চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ ফে
বর্তমান বিশ্ব চরম আবহাওয়া বিপর্যয়ের সম্মুখীন। পরাশক্তিগুলির অধিক শিল্পায়নের কার্বন নিঃসরণের ফলে আবহাওয়া পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল সহ বাংলাদেশ এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার। অতিবৃষ্টি-অনাবৃষ্টি, খরা-দাবানল, বজ্রপাত, ঘূর
‘তালেবান’ অর্থ ছাত্র সংগঠন। যারা ইতিপূর্বে সোভিয়েট দখলদারদের হটানোর জন্য রাস্তায় নেমেছিল ও তাতে সফল হয়েছিল। অতঃপর তারা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত পাঁচ বছর আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতায় ছিল। আমেরিকা তাদেরকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানিয়েছিল। কিন্তু তালেব
করোনা ভাইরাস সত্বর চলে যাবে, এর পর অন্য কোন ভাইরাস বাংলাদেশে আসবে না, এমন কোন গ্যারাণ্টি কেউ দিতে পারবেন কি? তাহ’লে বড় বড় ব্যবসা-বাণিজ্য সবই চলছে, কেবল ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ বন্ধ থাকবে কেন? ‘বিশব স্বাস্থ্য সংস্থা’
শ্বাস-প্রশ্বাসের মূল্য যে কত বেশী, সেটা কেবল সেই-ই বুঝে যে মহামারি করোনায় চূড়ান্ত শ্বাসকষ্টের সম্মুখীন হয়েছে। করোনা মূলতঃ ফুসফুসে হানা দেয়। আর তাই প্রয়োজন হয় অক্সিজেনের। বুকের মধ্যে রক্ষিত ফুসফুস বা ফুল্কা এই অক্সিজেন সিলিন্ডারের কাজ করে এবং
সমাজ পরিচালনার জন্য নেতৃত্ব একটি অপরিহার্য বিষয়। মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত নে‘মতসমূহের মধ্যে অন্যতম সেরা নে‘মত হ’ল নেতৃত্বের যোগ্যতা। এই যোগ্যতা ও গুণ-ক্ষমতা সীমিত সংখ্যক লোকের মধ্যেই আল্লাহ দিয়ে থাকেন। বাকিরা তাদের অনুসরণ করেন। নেতৃত্ব ও আ
মানুষের ভিতরকার অনুশীলিত কৃষ্টির বাহ্যিক পরিশীলিত রূপকে বলা হয় ‘সংস্কৃতি’। ‘সংস্কৃতি’ একটি ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ যা মানুষের সার্বিক জীবনাচারকে শামিল করে। কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তাই অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। সংস্কৃতিবান মানুষকে চেনা যায় তার বাহ্যিক ব্যবহা
মানুষ স্বাধীন সত্তা হিসাবেই জন্মগ্রহণ করে। সে স্বাধীনভাবেই হাসে-কাঁদে ও চলাফেরা করে। যার যা স্বভাব ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে আল্লাহ সৃষ্টি করেন, সে সেই স্বভাব ও বুদ্ধিমত্তা নিয়েই চলে। কিন্তু যখন সে বড় হয় এবং তার কথা ও কর্ম সমাজে প্রভাব ফেলে, তখন স্ব
টেরিটরি, পপুলেশন, গভর্ণমেন্ট ও সভারেন্টি তথা নির্দিষ্ট ভূ-খন্ড, জনসংখ্যা, সরকার ও সার্বভৌমত্ব-এই চারটি স্তম্ভ মিলে রাষ্ট্র গঠিত হয়। এর মধ্যে সার্বভৌমত্বের স্থান সবার উপরে। যা না থাকলে তাকে রাষ্ট্র বলা যায় না। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পূর্বে
বায়ু সর্বদা প্রবাহিত হয়, পানি সবকিছুকে ভিজিয়ে দেয়, আগুন সবকিছুকে জ্বালিয়ে দেয়, এগুলিই ওদের ধর্ম। ওরা নীরবে ওদের ধর্ম মেনে চলে, যতক্ষণ না সৃষ্টিকর্তার অন্য কোন হুকুম আসে। যেমন আগুন ইবরাহীমকে পোড়ায়নি, নদী ইউনুসকে ডুবিয়ে মারেনি। বায়ু সুলায়মানকে
আদিকাল থেকেই পৃথিবীতে সত্য ও মিথ্যার সংঘাত চলে আসছে। মিথ্যার চাকচিক্য এত বেশী যে, স্বয়ং মিথ্যাবাদীও বুঝতে পারে না যে, সে মিথ্যা বলছে। অথচ মিথ্যা সর্বদা মিথ্যাই থাকে। তা কখনোই সত্য হয় না। মানুষ তার সীমিত জ্ঞানে ওটা ধরতে পারে না বলেই পৃথিবীতে মিথ
মে‘রাজ বলে পরিচিত ঐতিহাসিক ঘটনাটি দু’টি অংশে বিভক্ত। প্রথমে ইসরা হরবং পরে মে‘রাজ। ‘ইসরা’ অর্থ নৈশভ্রমণ হরবং মি‘রাজ অর্থ সিঁড়ি। শারঈ পরিভাষায় মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে ফিলিস্তীনের বায়তুল মুক্বাদ্দাস পর্যন্ত বোরাকের সাহায্যে শেষরাতের স্বল্পকালী
প্রত্যেক মানুষের স্বভাবগত মৌলিক অধিকারকেই মানবাধিকার বলা হয়। যেমন জান-মাল-ইযযত, খাদ্য-বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং সর্বোপরি স্বাধীন ও সম্মানজনকভাবে বেঁচে থাকার অধিকার। মানবাধিকার সর্বদা পরস্পর সম্পর্কিত। তা কখনোই এককভাবে অর্জিত হয় না
‘ছিয়াম’ অর্থ বিরত থাকা। ছুবহে ছাদিক হ’তে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খানা-পিনা ও যৌনসম্ভোগ হ’তে বিরত থাকার নাম ‘ছিয়াম’। এসময় মিথ্যা কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকতে হয়, অন্যায় কাজ এমনকি অন্যায় চিন্তা থেকেও বিরত থাকতে হয়। এমনকি গোপনেও কেউ এক গ্লাস পানি পান করে
গত ১০ই মে ২৭শে রামাযান সোমবার দিবাগত রাত থেকে বিশ্বের বৃহত্তম কারাগার ফিলিস্তীনের গাযা সিটির উপর বর্বর ইস্রাঈলী বিমান হামলা শুরু হয়। যা মিসরের মধ্যস্থতায় ১১ দিনের মাথায় ২০শে মে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২-টায় ইস্রাঈলের যুদ্ধিবিরতি ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হয়।
নুযূলে কুরআনের অল্পদিন পর আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের উদ্দেশ্যে নাযিল করেন, ‘তোমরা ছালাত কায়েম কর ও যাকাত আদায় কর এবং আল্লাহকে উত্তম ঋণ দাও। বস্ত্ততঃ তোমরা নিজেদের জন্য যতটুকু সৎকর্ম অগ্রিম পাঠাবে, তোমরা তা আল্লাহর নিকটে পাবে। সেটাই হ’ল উত্তম ও মহ
ভূমন্ডল ও নভোমন্ডল ও এর মধ্যস্থিত সবকিছু মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর একক পরিকল্পনায় সৃষ্টি- এ বিশ্বাসকেই তাওহীদ বিশ্বাস বলা হয়। এর উদ্ভাবন ও পরিচালনায় আল্লাহর কোন শরীক ও সহযোগী নেই। তিনি অদৃশ্যে থেকে দৃশ্যমান ও অদৃশ্য সবকিছুকে অনস্তিত্ব হ’তে অস্
অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করলে মানুষ সাময়িকভাবে অচেতন হয়। যদি এই ঔষধ স্থানিক হয়, তাহ’লে রোগী নিজে তার দেহের কাটাছেঁড়ার সবকিছু দেখতে পায়। কিন্তু ঔষধের প্রভাবে সে ব্যথাতুর হয় না বা কোন প্রতিক্রিয়া দেখায় না। চেতনানাশক ঔষধ তৈরী হয় ফ্যাক্টরীতে, প্রয়োগ
সমঝোতা ও শান্তি ব্যতীত সমাজ এগোতে পারে না। কিন্তু সরকারী ও বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক সমাজ ব্যবস্থায় দেশ এখন অশান্তির দাবানলে জ্বলছে। এরপরেও সমঝোতা থাকতেই হবে। প্রধানত: সমাজনেতা ও ধর্মনেতাদের পদস্খলনেই সমাজে আল্লাহর গযব নেমে আসে। আর এই দুই শ্রেণী য
বিগত সংসদ নির্বাচনের পর এখন আসছে পৌরসভা নির্বাচন। এরপর আসবে ইউপি নির্বাচন। উদ্দেশ্য, দেশের সর্বত্র সুশাসন কায়েম করা। দলমত নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জীবনে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দেওয়া। সমাজে ন্যায়নীতি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়া। জনগণের নির্বাচিত
১৯৯৬ সালের শেয়ার বাজার কেলেংকারির পর ২০১০-১১ সালে পুনরায় কেলেংকারি ঘটল। সেবারের কেলেংকারিতে ২০০ কোটি টাকার মত লোপাট হলেও এবার হয়েছে ১৫ হাযার কোটি টাকার উপর। যার রেশ এখনো চলছে। সর্বস্ব হারিয়েছে প্রায় ৪০ লাখ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। চলছে হাযার
সম্প্রতি উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে গণ অভ্যুত্থান হয়েছে। তাতে ইতিমধ্যে তিউনিসিয়া ও মিসরের দুই লৌহমানবের পতন ঘটেছে। লিবিয়া ও ইয়ামনের দুই লৌহমানব এখন পতনের মুখে। বাহরায়েন ও জর্ডানে লু হাওয়া বইছে। সিরিয়া ও সঊদী আরবে আতংক দেখা দিয়েছে। সুদান ইতি
পৃথিবীতে যেকোন স্থানে যেকোন প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান আল্লাহর অপূর্ব সৃষ্টি। এগুলি দেখে বান্দা আল্লাহর অস্তিত্ব ও তাঁর অসীম ক্ষমতা উপলব্ধি করতে পারে। সেকারণ তিনি মানবজাতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘তুমি বল, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ কিভাবে তিনি সৃষ্টি
১৯৭৫ সালে মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ১ম বিশ্ব নারী সম্মেলনে অংশ গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশ সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পা রাখে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে গৃহীত নারী নীতি সমূহে জোরালো সমর্থন ও ভূমিকা রাখতে শুরু করে। অতঃপর ডিসেম্বর ১৯৭৯-তে
নববই ভাগ মুসলমানের দেশে ২০১৩ সাল থেকে ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী বিবর্তনবাদকে সিলেবাস ভুক্ত করা হয়েছে। অথচ দেশের হয়তোবা লাখে একজনকেও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যে নিজেকে ‘বানরের বংশধর’ বলে মনে করে। সকল মহল থেকে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ উঠলেও কথিত গণতান্ত্র
তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাত বিশ্বাসের আলোকে শারঈ নির্দেশনায় গড়ে ওঠা মানুষের সুষ্ঠু ও সুনিয়ন্ত্রিত জীবনাচারকেই প্রকৃত অর্থে ‘সংস্কৃতি’ বলা হয়। এর বাইরে সবকিছুই অপসংস্কৃতি ও কুসংস্কার। যার পরিমাণ কোন ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ, কোন ক্ষেত্রে ৮০ বা কম
আপেক্ষিকতা সূত্রের (Law of Relativity) উদ্গাতা জন আইনস্টাইনের পর অনেকের নিকট বর্তমান বিশ্বের সেরা পদার্থ বিজ্ঞানী ড. স্টিফেন হকিং (জন্ম : লন্ডন, ১৯৪২), যিনি মধ্যাকর্ষণ শক্তির উদ্ভাবক স্যার আইজাক নিউটনের ন্যায় কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘লুক
জনগণের আশা-আকাংখার প্রতীক হয়ে আমেরিকার ক্ষমতায় এলেন বরাক হোসায়েন ওবামা। তাঁর কথায় ও আচরণে মুগ্ধ হয়ে আন্তর্জাতিক নোবেল কমিটি তাঁকে অল্প দিনের মধ্যেই শান্তিতে ‘নোবেল’ পুরস্কারে ভূষিত করলেন। কিন্তু ব্যক্তি হিসাবে তিনি যত ভাল মানুষই হন না কেন, আম
তুষ পদ্ধতিতে মুরগীর বাচ্চা উৎপাদনরাজবাড়ী যেলার বালিয়াকান্দি উপযেলার অন্তর্গত সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বালিয়াকান্দি গ্রামের শাহীদা বেগম চীনা তুষ পদ্ধতির মিনি হ্যাচারির মাধ্যমে মানসম্মত মুরগির বাচ্চা উৎপাদন করছেন। জানা যায়, শাহীদা বেগম প্রায় ১৫ বছর আগ
‘আহলেহাদীছ’ অর্থ পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের নিঃশর্ত অনুসারী। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের ভিত্তিতে যারা জীবন সমস্যার সমাধান তালাশ করেন, তাদেরকে ‘আহলেহাদীছ’ বলা হয়। আর দুনিয়ার মানুষকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মর্মমূলে জমায়েত করার জন্য ছাহাব
লাগাতার ২ দিন, ৩ দিন, ৪ দিন সহ মোট ৭০ দিন হরতাল, অবরোধ ও লাগাতার ২২ দিন সহ ২৬ দিন অসহযোগ মিলে মোট ৯৬ দিনের তান্ডব ও তাতে সহিংসতায় নিহত শতাধিক ও আহত সহস্রাধিক মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির বিনিময়ে ১৯৯৬ সালের ২৬শে মার্চ ৬ষ্ঠ জাতীয় সংসদে নির
মে ২০০৬ (৯/৮ সংখ্যা) ‘দরসে কুরআন’ কলামে আমাদের শিরোনাম ছিল ‘জাতিসংঘের সংবিধান হৌক ইসলাম’। আজ আমরা সম্পাদকীয়তে বলছি ‘বাংলাদেশের সংবিধান হৌক ইসলাম’। কেন বলছি? শুনুন তাহ’লে-সংবিধান হ’ল একটি জাতি ও রাষ্ট্রের আয়না স্বরূপ। যার মধ্যে তাকালে পুরা দেশ
১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর যখন বিগত আওয়ামী লীগ সরকার সর্বপ্রথম তথাকথিত শান্তি বাহিনীর নেতা সন্তু লারমার সঙ্গে শান্তিচুক্তি করে, তখন বিএনপি সহ সকল বিরোধী দল এ চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করে মিটিং-মিছিল-হরতাল করেছিল। এই চুক্তিকে বাংলাদেশের এক দশমাংশ ভ
সাদ্দাম, বিন লাদেন অতঃপর গাদ্দাফীকে হত্যা করল আমেরিকান সাম্রাজ্যবাদ। ওবামা হুমকি দিলেন পূর্বের ন্যায় এই বলে যে, আবারও প্রমাণিত হ’ল, ‘আমেরিকা যা চায় তাই করে’। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ব্যক্তির এই দম্ভোক্তি আল্লাহ শুনেছেন ও দেখেছেন। নিশ্চয়ই আসমানী
Occupy Wall Street বা ‘ওয়াল স্ট্রীট দখল করো’ শ্লোগান দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু শিক্ষার্থী ও সদ্য পাস করা বেকার যুবক গত ১৭ই সেপ্টেম্বর ’১১ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক রাজধানী নিউইয়র্কের রাস্তায় যে আন্দোলন শুরু করেছিল, তা মাত্র এক মাসের ব্যবধানে গত
মানুষের জৈববৃত্তি ও বুদ্ধিবৃত্তির সমন্বিত ও উন্নীত রূপকে বলা হয় নৈতিকতা। নৈতিকতা ও উন্নয়ন দু’টি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। নৈতিকতাকে বাদ দিয়ে যদি বস্ত্তগত উন্নয়ন হয়, তাহ’লে ঐ উন্নয়ন হবে ক্ষণস্থায়ী এবং তাতে ধস নামতে বাধ্য। বর্তমান সমাজে নৈতিক অবক্ষয়
শুভ বড় দিন মানে ঈসা মসীহের শুভ জন্মদিন। ঈসা মসীহের জন্ম এইভাবে হয়েছিল। ইউসুফের সঙ্গে ঈসার মা মারিয়ামের বিয়ে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু তারা একসঙ্গে বসবাস করবার আগেই পাক রূহের শক্তিতে মারিয়াম গর্ভবর্তী হয়েছিলেন। মারিয়ামের স্বামী সৎ লোক ছিলেন... (মথি ১/১
নবীগণের মাধ্যমে আল্লাহ প্রেরিত বিধানকে বলা হয় অহি-র বিধান। পক্ষান্তরে মানুষের মস্তিষ্কপ্রসূত বিধানকে বলা হয় মানব রচিত বিধান। দু’টি আইনের উৎস হ’ল দু’টি : আল্লাহ এবং মানুষ। এক্ষণে আমরা দু’টি আইনের মৌলিক পার্থক্য তুলে ধরব।-১ম : মানব রচিত আইনের ন
আমি স্বাধীনতা চাইআমি আমার কথাগুলি প্রাণ খুলে বলতে চাইআমি আমার ভাষার স্বকীয়তা চাইআমি আমার ধর্মীয় স্বাধীনতা চাইআমি আমার বাঁচার অধিকার চাইআমি স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাইআমি মিথ্যা মামলাকারীর শাস্তি চাইআমি আমার জান-মাল ও ইয্যতের নিরাপত্তা চাইআমি আমা
পৃথিবীতে বর্তমানে আনুমানিক ৬শো কোটি মানুষের মধ্যে ধর্মের সংখ্যা কত? এর সঠিক হিসাব কেউ দিতে পারবে না। ছোট্ট এই বাংলাদেশে কত ধর্মের লোক বসবাস করে? একটি ধর্মের মধ্যে কতগুলি ফের্কা ও তরীকা রয়েছে, তার হিসাব কেউ বলতে পারবে কি? তবুও মানুষ ধর্মের কাছ
তাওহীদের সাথে শিরকের সম্পর্ক যেমন ওযূর সাথে বায়ু নিঃসরণের সম্পর্ক। তাওহীদ থাকলে শিরক থাকবেনা, শিরক থাকলে তাওহীদ থাকবেনা। দু’টির মাঝে আপোষের কোন সুযোগ নেই। তাওহীদের চেতনা হ’ল সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর দাসত্বের অধীনে সকল মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করা। আর শি
আল্লাহর দাসত্ব ছেড়ে মানুষকে মানুষের দাসত্বে বন্দী করা এবং ‘বিভক্ত কর ও শাসন কর’-এর বহু প্রাচীন অপরাজনীতির আধুনিক দার্শনিক নাম হ’ল ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্র। বর্তমানে যা সরকারী ও বিরোধীদলীয় হানাহানিতে বিপর্যস্ত একটি জরাজীর্ণ সমাজের নাম। দুই বিপরীত জোটের প
দেশে চলছে চরম অরাজকতা। সর্বত্র আতংক। কারু জান-মাল ও ইযযতের নিরাপত্তা নেই। এক দল অপর দলকে দায়ী করেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। কিন্তু ফলাফল একটাই, মরছে মানুষ, পুড়ছে গাড়ী, চলছে গুম-খুন-অপহরণ। শিল্প কারখানায় দৈনিক ১২ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে ব
আধুনিক জাহেলিয়াত তার সর্বগ্রাসী প্রতারণার জাল ফেলে মানবতাকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ফেলেছে। দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা ও বিচারব্যবস্থা সবই আল্লাহ বিরোধী। এমনকি ধর্মনীতিতেও জমাট বেঁধেছে ধর্মনেতাদের বানোয়াট রীতিনীতি ও অগণিত শিরক ও বিদ‘আতের জঞ্জা
২২ সেপ্টেম্বর ’১১ বৃহস্পতিবার বিরোধী দলের ডাকা নিরুত্তাপ হরতালের দিন ঢাকায় নিরীহ দরিদ্র পথচারী হাসপাতাল কর্মী ইউসুফকে লাঠিপেটা করে মাটিতে চিৎ করে শুইয়ে বুকের উপর দাঁড়িয়ে পুলিশের পেট্রোল ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ হোসেনের বুট জুতায় দাবানো এবং নির্যাতি
পার্শ্ববর্তী আরাকান রাজ্যের বাঙ্গালী মুসলিম ভাই-বোনেরা আবারও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। মিয়ানমারের সরকারী ও বিরোধী দলীয় রাখাইন মগ দস্যুরা এবং নাসাকা পুলিশ বাহিনী সম্মিলিতভাবে পোড়ামাটি নীতি অনুসরণ করে রোহিঙ্গা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে গত ৮ই জুন শ
মানুষকে আল্লাহর ইবাদত থেকে ফিরিয়ে কথিত অন্তর্গুরুর ইবাদতে লিপ্ত করার অভিনব প্রতারণার নাম হ’ল কোয়ান্টাম মেথড। হাযার বছর পূর্বে ফেলে আসা হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান পাদ্রী ও যোগী-সন্ন্যাসীদের যোগ-সাধনার আধুনিক কলা-কৌশলের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মেডিটেশন’। হত
বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তের ওপারে ভারতের আসাম রাজ্য অবস্থিত। ৭৮ হাযার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই রাজ্যে ৩ কোটির কিছু বেশী লোকের বাস। ভাষ্যগত দিক দিয়ে ‘অহমিয়া’ হ’ল প্রধান ভাষা প্রায় ৫৮ শতাংশ। এর পরেই বাংলার অবস্থান প্রায় ২২ শতাংশ। ধর্মীয় দিক দিয়ে
হক্বের দাওয়াতমুহাম্মাদ আব্দুল ওয়াকীলনাড়াবাড়ী হাট, বিরল, দিনাজপুর।কোথায় পাবো হক্বের দাওয়াত আজঅসংখ্য মতবাদে বিধ্বস্ত জাতি, বিপর্যস্ত সমাজ।চারিদিকে শুধু শিরক-বিদ‘আতের কুহেলিকা,এরই মাঝে হক্বের দাওয়াতঅপলক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকা।নতুন প্রাণে উ
মানবাধিকার ও ইসলামশামছুল আলম*(৪র্থ কিস্তি)জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদ :মানবতার ইতিহাসে বিভীষিকাময় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮) সংঘটিত হওয়ার পর যুদ্ধে জড়িত এবং জড়িত নয় এরূপ প্রায় সকল দেশ উপলব্ধি করল যে, যুদ্ধ মানুষের কখনও কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। তাই এ
ভূমিকা :পরহেযগারিতা বা আল্লাহভীরুতা দ্বীনের ভিত্তিসমূহের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। তাক্বওয়া ও পরহেযগারিতা ছাড়া ঈমান কখনোই পূর্ণতা লাভ করতে পারে না। ঈমান হ’ল একটি বৃক্ষের ন্যায় আর পরহেযগারিতা হ’ল তার সৌন্দর্য। পানি যেমন কাপড় থেকে সকল প্রকার অপবিত্রতা দূর
আল-কুরআনের আলোকে ক্বিয়ামতরফীক আহমাদ*(পূর্ব প্রকাশিতের পর)ক্বিয়ামত দিবসের প্রতিকূল পরিবেশে অপরাধীদের বাস্তব অবস্থার বর্ণনা দিয়ে মহান আল্লাহ বলেন,وَلَوْ أَنَّ لِلَّذِيْنَ ظَلَمُوْا مَا فِي الْأَرْضِ جَمِيْعاً وَمِثْلَهُ مَعَهُ لاَفْتَدَوْا بِهِ مِن
মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবيَا أَيُّهَا الَّذِيْنَ آمَنُوْا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ- إِنَّمَا يُرِيدُ الشَّيْطَانُ أَن يُوْقِعَ بَيْنَ
বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তের ওপারে ভারতের আসাম রাজ্য অবস্থিত। ৭৮ হাযার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই রাজ্যে ৩ কোটির কিছু বেশী লোকের বাস। ভাষ্যগত দিক দিয়ে ‘অহমিয়া’ হ’ল প্রধান ভাষা প্রায় ৫৮ শতাংশ। এর পরেই বাংলার অবস্থান প্রায় ২২ শতাংশ। ধর্মীয় দিক দিয়ে
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ধ্বংসের ১১শ বার্ষিকী উপলক্ষে এ বছর Innocense of Muslims (মুসলিমদের নির্দোষিতা) শিরোনামে আমেরিকা থেকে একটি সিনেমা চিত্র ইন্টারনেটে ছাড়া হয়েছে। যাতে পবিত্র কুরআন, ইসলাম ও ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (ছ
গিনিপিগ হ’ল ছোট কান বিশিষ্ট বড় ইঁদুর জাতীয় একটি প্রাণী, যাকে চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রয়োজনে যবহ করে কেঁটে-ছেটে ইচ্ছামত ব্যবহার করা হয়। অত্যাচারী শাসকরা যখনই কাউকে তাদের স্বার্থের বিরোধী মনে করে, তখনই তার উপর মিথ্যা অপবাদ দিয়ে অত্যাচারের খড়গ চালিয়ে
গত ৩০শে সেপ্টেম্বর’২০ ফ্রান্সের ম্যাগাজিন ‘শার্লি এবদো’র সর্বশেষ সংস্করণের প্রচ্ছদে শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-কে ব্যঙ্গ করে আঁকা ১২টি কার্টুন ছাপা হয়। এর পক্ষকাল পরে ১৬ই অক্টোবর ফ্রান্সের জনৈক স্কুল শিক্ষক ক্লাসে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বল
বারাক হোসেন ওবামা গত ৬ নভেম্বর’১২ পুনরায় ৪ বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। গতবারের ন্যায় এবারও আইনসভার উচ্চকক্ষ (সিনেট) ডেমোক্রাটদের দখলে এবং নিম্নকক্ষ (কংগ্রেস) রিপাবলিকানদের দখলে গেছে। সেদেশের ঐতিহ্য হ’ল দ্বিদলীয় নির্বাচন : ডেমোক্রাট
২৩ বছরের দর্জি শ্রমিক বিশ্বজিৎ। যাচ্ছিল তার কর্মস্থলে। হঠাৎ পড়ে যায় ‘অবরোধ’ বিরোধীদের কোপানলে। দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তী দোতলায় এক দোকানে। গুন্ডারা ছুটল সেখানে। ধরে এনে রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশের সামনে লাঠিয়ে-কুপিয়ে হত্যা করল। অ
নৈতিক অবক্ষয় প্রতিরোধের জন্য যথাযথ অনুশাসন ও কড়া শাসন দু’টিই সমভাবে প্রযোজ্য। অনুশাসন তিনভাবে হ’তে পারে : (১) পিতা-মাতা ও পরিবারের অনুশাসন (২) শিক্ষক ও গুরুজনদের অনুশাসন এবং (৩) আল্লাহ ও আখেরাতভীতির অনুশাসন। যে সন্তানের ভাগ্যে এ তিনটি ন
বর্তমানে অনেকে বলছেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই। এর সরলার্থ হ’ল অনৈসলামিক বাংলাদেশ চাই। কেউ বলছেন, নাস্তিক্যবাদও একটি ধর্ম। অতএব তাকে রক্ষা করাও আমাদের কর্তব্য। কেউ বলছেন, রাসূল (ছাঃ)-কে গালি দিলেও সে মুসলমান। কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, এরা কোনটা
মেয়াদী দলতন্ত্রের নিষ্ঠুর ধ্বংসযজ্ঞে দেশ এখন রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। আতংকিত সাধারণ মানুষ শান্তির জন্য আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ করছে, হে আমাদের প্রতিপালক! এই অত্যাচারী জনপদ থেকে তুমি আমাদের মুক্তি দাও এবং তোমার পক্ষ হ’তে আমাদের জন্য অভিভাবক ও স
হে মানুষ! একবার ভেবে দেখ তোমার এ জীবনটা কার দেওয়া? কিভাবে তুমি দুনিয়ায় এসেছ? অথচ ইতিপূর্বে তুমি উল্লেখযোগ্য কিছুই ছিলে না। তোমার মায়ের গর্ভে একটি পানিবিন্দু থেকে তোমার জন্ম। কে তোমাকে সেখানে মানুষের রূপ দান করল? কে তোমাকে সুন্দর অবয়ব ও উন্নত
আল্লাহ বলেন, তিনিই সেই সত্তা, যিনি স্বীয় রাসূলকে হেদায়াত (কুরআন) ও সত্যদ্বীন (ইসলাম) সহ প্রেরণ করেছেন, যেন তাকে সকল দ্বীনের উপর বিজয়ী করে দেন। যদিও মুশরিকরা তা অপসন্দ করে’ (তওবা ৩৩; ছফ ৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খেলাফতে রাশেদাহর যুগে ইসলামের ধর্
রাষ্ট্রের কোন যথার্থ সংজ্ঞা আজও নির্ধারিত হয়নি। তবে নির্দিষ্ট ভূখন্ড, জনসমষ্টি, সরকার ও সার্বভৌমত্ব এবং সেই সাথে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মিলে বর্তমান যুগে একটি রাষ্ট্র বাস্তবে রূপ লাভ করে থাকে। মানবতার সুরক্ষা ও উত্তম জীবন যাপনই যার একমাত্র লক্ষ
মুরসির পতন। গণতান্ত্রিক বিশ্ব নীরব। ইসলামী বিশ্ব হতবাক। ইসলামী নেতাদের মুখ বন্ধ। মিসরের ইতিহাসের সর্বপ্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত (৫১.৭) প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ মুরসির পতন হ’ল মাত্র এক বছরের মাথায় গত ৩রা জুলাই’১৩ বুধবার। এখন তিনি সেনাবাহিনীর
কথায় বলে ‘ঠেলার নাম বাবাজী’। দেশ যখন একের পর ধর্ষণ-গণধর্ষণে ছেয়ে যাচ্ছে, চারদিকে ছিঃ ছিঃ রব উঠছে, পিতা-মাতারা যখন তাদের ধর্ষক সন্তানদের ফাঁসি চাচ্ছে, তখনই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর টনক নড়েছে। সংসদ অধিবেশন লাগেনি। কয়েকজন মন্ত্রীকে ডেকে নিয়ে মন্ত্র
রামাযানের প্রথম রাত্রিতেই আল্লাহ বান্দাদের উদ্দেশ্যে ডেকে বলেন, হে কল্যাণের অভিযাত্রী এগিয়ে চল! হে অকল্যাণের অভিসারী থেমে যাও’ (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)। প্রতি রাত্রির শেষ প্রহরে নিম্ন আকাশে নেমে আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের প্রতি অনুরূপভাবে সারা বছর দরদভরা আহ
১৯৭১-এর ডিসেম্বরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিগত প্রায় ৪২ বছর আমরা কথিত গণতন্ত্রের দেশে বসবাস করছি। গণতন্ত্রের অর্থ যদি কেবল ভোটাভুটি হয়, তবে সেটা ইংরেজ ও পাকিস্তান আমলেও ছিল। যার যুলুম থেকে বাঁচার জন্য বহু রক্তের ও ইয্যতের বিনিময়ে দেশ স্বাধী
মানুষের প্রতি আল্লাহর সর্বশেষ আহবান ‘তোমরা ভয় কর সেই দিনকে, যেদিন তোমরা সকলে ফিরে যাবে আল্লাহর কাছে। অতঃপর প্রত্যেকে পাবে তার স্ব স্ব কর্মফল। আর তারা কেউ সেদিন অত্যাচারিত হবে না (বাক্বারাহ ২৮১)। বস্ত্ততঃ এটাই ছিল কুরআনের সর্বশেষ আয়াত, যা রাসূ
বিশ্বব্যাপী ইসলামী আন্দোলন সমূহ ক্রমেই প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। নাস্তিক ও সেক্যুলারদের মুকাবিলা করার নামে ও ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে ইসলামী নেতারা একে একে যেসব কৌশল নিচ্ছেন, তাতে ইসলামের কল্যাণের চাইতে অকল্যাণ বেশী হচ্ছে। সেই সাথে সাধারণ মুসলমানদের দ
২০শে নভেম্বর’১৩ বুধবার বিকাল ৪-৩০ মিনিট। মোট ১০টি মিথ্যা মামলার সর্বশেষ হত্যা মামলায় বিচারকের মুখ দিয়ে বের হওয়া একটি শব্দ ‘খালাস’। সাথে সাথে বের হ’ল একটি স্বস্তির নিঃশ্বাস। মুখে উচ্চারিত হ’ল আলহামদুলিল্লাহ। কেউ খুশীতে বলে উঠলেন আল্লাহু আকবর।
জনগণের বেতনভুক আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা মিলে প্রতিদিন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করছে। আর তাকে ‘ক্রসফায়ারে সন্ত্রাসী নিহত’ বলে তারা হরহামেশা মিথ্যাচার করছে। গভীর রাত্রিতে গাড়িবহর নিয়ে আসামী ধরার নামে ঘুমন্ত গ্রামবাসীর উ
মানুষ সৃষ্টিগতভাবেই ভাল ও মন্দের সমষ্টি। যার মধ্যে যেটার আধিক্য, তার আচরণে সেটাই প্রকাশ পায়। হাদীছের ভাষায়, সে আল্লাহভীরু সৎকর্মশীল অথবা হতভাগ্য পাপাচারী। এই দু’টি মজ্জাগত স্বভাব ও আচরণের মধ্যে সর্বদা দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলছে। কিন্তু উভয় স্বভাবে
একটি বেসরকারী সংস্থার হিসাব মতে এবারে পঞ্চম শ্রেণী সমাপনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের শতকরা ৭৫ জন বাংলা লিখতে জানে না’। ইংরেজী ও গণিতের অবস্থা আরও করুণ। বলা হয়েছে, গত বছর ইন্টারমিডিয়েট থেকে উত্তীর্ণ জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ৮০ শতাংশ
অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশেরও পররাষ্ট্র নীতি হ’ল ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়’। অনেকে বলেন, ‘বন্ধু, প্রভু নয়’। এগুলি স্বাভাবিক সময়ের নীতি। যা সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কিন্তু এরপরেও প্রত্যেক দেশ ও জাতির নিজস্ব নীতি-আদর্শ
The urging came from the UN Secretary General, António Guterres. He has already been praised everywhere for making the right call at the right time. In his call last Saturday on July 18, 2020, warning everyone against the growing inequality around th
আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমার প্রতিপালক এমন নন যে, সেখানকার অধিবাসীরা সৎকর্মশীল হওয়া সত্ত্বেও জনপদ সমূহকে অন্যায়ভাবে ধ্বংস করে দিবেন’ (হূদ ১১/১১৭)। পৃথিবীর প্রাচীন ছয়টি জাতি আল্লাহর গযবে ধ্বংস হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে তাদের যুলুমের কারণে। উক্ত ৬টি জাতি হ’
উক্ত তাকীদ এসেছে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের পক্ষ থেকে। সঠিক সময়ে সঠিক আহবান জানানোর মাধ্যমে ইতিমধ্যেই তিনি সর্বত্র প্রশংসিত হয়েছেন। গত ১৮ই জুলাই ২০২০ শনিবারে তিনি তাঁর আহবানে বিশ্বজুড়ে ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়া অসমতার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক করে
সদ্য সমাপ্ত উপযেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনে ‘সীল মারার মহোৎসব’ বেলা ৮-টায় ভোটদান শুরুর আগেই ভোর ৪-টায় ভোটের বাক্স ভর্তি ইত্যাদি নানা চটকদার শিরোনাম পত্রিকা সমূহে এসেছে। বস্ত্ততঃ বিগত সময়ে প্রায় সকল নির্বাচ
বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ ও শব্দ দূষণের চাইতে ভয়াবহ দূষণ হ’ল মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন দূষণ। মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, টেলিভিশন ও বিদ্যুতের লাইনের মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক রেডিয়েশন। যা আধুনিক প্রযুক্তি
৮ জন নিরীহ শ্রমিকের লাশের উপর দাঁড়িয়ে ল্যাংটা মেয়েদের নাচানাচি ও আতশবাজির মধ্য দিয়ে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে ফুটবলের ২০তম বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে গত ১৩ই জুন’১৪ শুক্রবার থেকে। যা শেষ হবে আগামী ১৪ই জুলাই সোমবার। অর্থাৎ ১৫ই শা‘বান থেকে ১৬ই রামা
সত্য সেটাই যা আল্লাহ প্রেরিত। আর মিথ্যা সেটাই যা আল্লাহ বিরোধী এবং যাতে প্রবৃত্তির রং মিশ্রিত। সত্য সর্বদা বিজয়ী এবং মিথ্যা সর্বদা পরাজিত। আল্লাহ বলেন, তিনিই তার রাসূলকে প্রেরণ করেছেন হেদায়াত ও সত্য দ্বীন সহকারে। যাতে তিনি উক্ত দ্বীনকে সকল দ্
কুরবানীর মাসায়েলচুল-নখ না কাটাকুরবানীর পশু‘মুসিন্নাহ’ দ্বারা কুরবানীপরিবারের পক্ষ হ’তে একটি পশুই যথেষ্টকুরবানীতে শরীক হওয়াকুরবানী করার পদ্ধতিযবহকালীন দো‘আছালাত ও খুৎবার পূর্বে কুরবানীগোশত বণ্টনগোশত সংরক্ষণমৃত ব্যক্তির নামে কুরবানীকুরবানীর গোশত ও চামড়
কুরবানীর সংজ্ঞাগুরুত্বউদ্দেশ্যহুকুম, তাৎপর্য, ফাযায়েলযিলহাজ্জ মাসের ১ম দশকের ফযীলতআরাফার দিনের ছিয়াম কুরবানীর ইতিহাসকুরবানীর সংজ্ঞাআরবী ‘কুরবান’ (قربان) শব্দটি ফারসী বা ঊর্দূতে ‘কুরবানী’ রূপে পরিচিত হয়েছে, যার অর্থ ‘নৈকট্য’। পারিভাষিক অর্থে 
মিথ্যা অজুহাতে গত ৮ই জুলাই থেকে গাযায় ইস্রাঈলের একতরফা গণহত্যা চলছে। সারা বিশ্ব চেয়ে চেয়ে দেখছে। যাদের ক্ষমতা নেই, তারা চোখের পানি ফেলছে, প্রতিবাদ করছে, মিছিল-মিটিং করছে ও আল্লাহর কাছে প্রাণভরে দো‘আ করছে। পক্ষান্তরে যাদের ক্ষমতা আছে, তারা নিজ
বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আছে। যেমন ধর্মের জন্য মানুষ, না মানুষের জন্য ধর্ম। একইভাবে আইনের জন্য মানুষ, না মানুষের জন্য আইন। কথাগুলির জওয়াব এককথায় দেওয়া মুশকিল। অথচ এক কথায় জবাব দিতেই হবে। নইলে আপনি সারা জীবন দিশেহারা হয়ে ঘুরবেন।প্রশ্ন হ’ল, আমরা মানুষ
চীনের হুবেই প্রদেশের জনবহুল রাজধানী উহান শহরে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনা ভাইরাসের আক্রমণ শুরুর পর থেকে গত ১৭ই মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার পর্যন্ত বৈশ্বিক রিপোর্ট হ’ল চীন সহ আক্রান্ত দেশ ও অঞ্চলের সংখ্যা ১৬১, মোট আক্রান্ত ১,৮২,২৬০; মৃত্যু ৭,১৬৫। তন্মধ্য
মানুষ আল্লাহর সর্বাধিক প্রিয় এবং সেরা সৃষ্টি (ইসরা ১৭/৭০)। মানুষকে আল্লাহ ‘নিজের দু’হাত দ্বারা সৃষ্টি করেছেন’ (ছোয়াদ ৩৮/৭৫)। অতএব জীবন দানের মালিক যিনি, তিনিই কেবল জীবন নিতে পারেন। কেউ তাতে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করলে সে মহাপাপী হবে এবং জাহান্নামী
সুন্দর দেশ ও সমাজ গড়তে গেলে চরিত্রবান মানুষ আবশ্যক। চরিত্রবান মানুষ ও নেতা ব্যতীত সুষ্ঠু সমাজ গড়া সম্ভব নয়। সেকারণ যুগে যুগে আল্লাহ যত নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন, তাদেরকে সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী করে পাঠিয়েছেন। কারণ কেবল কথা শুনে নয়, বরং সুন
‘তুই জঙ্গী। এখন তোর আল্লাহ কোথায়? তোকে বাঁচালে আমরা বাঁচাবো। তাছাড়া কেউ তোকে বাঁচাতে পারবে না’। দূর অতীতে হযরত ইবরাহীম (আঃ)-এর তাওহীদী দাওয়াতের মুকাবিলায় ইরাকের অহংকারী সম্রাট নমরূদ বলেছিল ‘আমিও বাঁচাতে পারি ও মারতে পারি’ (বাক্বারাহ ২/২৫৮)। আজ স
গত ১০ই অক্টোবর সুইডেনের নোবেল কমিটি পাকিস্তানের ১৭ বছরের তরুণী মালালা ইউসুফযাইকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। মালালা হ’ল এযাবৎকালের সর্বকনিষ্ঠ এবং পাকিস্তানের দ্বিতীয় নোবেল জয়ী। মালালা শান্তির জন্য কি কাজ করেছে যে, তাকে নোবেল শা
গত ১৬ই ডিসেম্বর সকালে পাকিস্তানের পেশোয়ার শহরে সেনাবাহিনী পরিচালিত স্কুলে ‘তাহরীকে তালেবান পাকিস্তান’ (টিটিপি) হামলায় বার্ষিক পরীক্ষারত ১৩২ জন শিশু-কিশোর শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-অভিভাবক ও কর্মকর্তা মিলে ১৪৫ জনের নৃশংস হত্যাকান্ডে আমরা গভীর ভাবে
জান-মাল-ইযযতের নিরাপত্তা, খাদ্য-পানীয়-চিকিৎসা-বাসস্থান ও স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা এবং সর্বোপরি অধিকতর উন্নত জীবন যাপনের জন্য রাষ্ট্র গঠিত হয়। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে এর কোনটাই কি খুঁজে পাওয়া যাবে? রাস্তায় বের হ’লে বোমাবাজ ও চাঁদাবাজদের আতং
গণতন্ত্রের পরিভাষায় জনগণই সার্বভৌম ক্ষমতার উৎস। অথচ জনপ্রতিনিধিরাই এখন জনগণকে হত্যা করছে নির্বিচারে। প্রত্যেকে একে অপরকে দোষ দিচ্ছে। তাতে লাভ কি? নিহত ভোটারটি কি আর বেঁচে উঠবে? বা আগুনে পোড়া মানুষটি কি কখনও নেতাদের ক্ষমা করবে? ৭দিন চলে গেছে অ
‘ইজতেমা’ অর্থ সম্মেলন। আরবীতে বলার মধ্যে ইঙ্গিত রয়েছে যে, এটি ইসলামী সম্মেলন। অতঃপর ‘আহলেহাদীছ’ বলার মাধ্যমে এর অর্থ হবে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ সংগঠন কর্তৃক প্রচারিত পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ-এর আলোকে জীবন গড়ায় বিশ্বাসী ঈমানদার মুসলমানদ
গত ১৪ই এপ্রিল মঙ্গলবার ১লা বৈশাখের সন্ধ্যায় ‘বর্ষবরণ’ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটে কয়েকজন নারী যৌন হামলার শিকার হয়েছেন। তারা তাদের বস্ত্র হারিয়েছেন ও সংস্কৃতিবাজ দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষত-বিক্ষত হয়
আমেরিকার এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড (৪৬)-কে এক ঠুনকো কারণে গত ২৫শে মে সোমবার প্রকাশ্য দিবালোকে রাস্তায় উপুড় করে ফেলে জনৈক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ৮ মিঃ ৫৬ সেঃ তার গলা মাটিতে চেপে ধরে হত্যা করল। সাথী বাকী তিন পুলিশ তাতে নীরব সমর্থন দিল।
নেপালের ভূমিকম্প ও আমাদের শিক্ষণীয়গত ২৫শে এপ্রিল শনিবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১২-টা ১১-মিনিটে ঘটে গেল উপমহাদেশের শতাব্দী কালের ইতিহাসে ভয়ংকরতম ভূমিকম্প। যার উৎপত্তিস্থল ছিল রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে ৮০ কি.মি. পূর্বে। এটি ছিল বিগত ২০৫ বছরের ইতিহাসে ক
‘মুসলিম’-এর পারিভাষিক অর্থ ‘আল্লাহর আজ্ঞাবহ’। ‘আহলেহাদীছ’ অর্থ ‘কুরআন ও হাদীছের অনুসারী’। ‘আল্লাহর আজ্ঞাবহ’ হ’তে হ’লে তাকে অবশ্যই কুরআন ও হাদীছের অনুসারী হ’তে হবে। এর বাইরে গিয়ে ‘মুসলিম’ হওয়ার সুযোগ নেই। ইসলামের প্রাথমিক যুগে মুসলমানদের মধ্যে
সম্প্রতি দেশে ছিদ্দীক্বী ও চৌধুরীদের বকওয়াস ও উল্লম্ফন দেখে এবং সেই সাথে আদর্শহীন ও দেশপ্রেমহীন নেতাদের চানক্যনীতি দেখে দূর অতীতের জগৎশেঠ, উমিচাঁদ ও মীরজাফরদের চেহারা মনের আয়নায় ভেসে উঠছে। মীর মদন ও মোহনলাল হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও তরুণ মুসলিম নবাব সিরাজ
(১) গত ২রা আগস্ট’১৫ শেরপুরে প্রথম শ্রেণীর ছাত্র ৮ বছরের শিশু রাহাত-কে তার আপন খালু অপহরণ করে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। অতঃপর তাকে হত্যা করে কুকুর দিয়ে খাইয়ে দেয়। ৮ই আগস্ট দুপুরে নালিতাবাড়ী উপযেলার মধুটিলা ইকোপার্কের কাছে একটি পাহাড় থেকে ত
তুরস্কের সাগরতীরে কালো হাফপ্যান্ট ও লাল শার্ট পরা তিন বছরের শিশুপুত্র কুর্দী আয়লানের মৃতদেহ পড়ে আছে উপুড় হয়ে। হঠাৎ নযর পড়ল দূর থেকে এক মহিলা চিত্রগ্রাহিকার। বুকটা বেদনায় ককিয়ে উঠল তাঁর। এক দৃষ্টে তাকিয়ে রইলেন সেদিকে। বুঝলেন, শিশুটি সবার মায়া
নারী আমাদের মা, মেয়ে, বোন ও স্ত্রী। এদের স্নেহ-মমতা ও ভালবাসা এবং স্ত্রীর সাহচর্য, সহমর্মিতা ও সহযোগিতা ব্যতীত পুরুষ অচল। মানব সমাজের প্রাথমিক ইউনিট হ’ল পরিবার। যা একজন পুরুষ ও নারীর মাধ্যমে গড়ে ওঠে। এই পরিবার থেকেই বেরিয়ে আসে ভবিষ্যৎ বংশধর।
বর্তমানে যেসব কথিত জঙ্গী ধরা পড়ছে, তারা নাকি সবাই ‘আহলেহাদীছ’। সরকারে নাকি এ নিয়ে টেনশন চলছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এর প্রতিবাদ করছি এবং জানিয়ে দিচ্ছি যে, অনেকে ছালাতে রাফাদানী হ’লেও আক্বীদায় ‘আহলেহাদীছ’ নয়। কেননা প্রকৃত ‘আহলেহাদীছ’ সর্বদা ম
হিংসার আগুনে জ্বলছে পৃথিবী। মানুষে মানুষে ভালবাসা, মায়া-মমতা, সহমর্মিতা সবই যেন হারিয়ে গেছে। ‘কাক কাকের গোশত খায় না’ বলে একটা প্রবাদ আছে। কিন্তু এখন মানুষ মানুষের গোশত খাচ্ছে। যত মারণাস্ত্র তৈরী হচ্ছে সবই মানুষকে মারার জন্য। হিংসান্ধ ব্যক্তির
অদৃশ্য করোনা ভাইরাসের ভয়ে আতংকিত মানুষ দিগ্বিদিক জ্ঞানহারা হয়ে ছুটছে। সরকারী-বেসরকারী কোন হিসাবেই কারো আস্থা নেই। সবাই অজানা আশংকায় বিষণ্ণ বদনে স্বেচ্ছা লকডাউনে বন্দী জীবন যাপন করছেন। এরি মধ্যে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী মাহে রামাযান আমাদের নিকট স
ভারত ভাগ হয়ে যাচ্ছেভারতের রাজধানী দিল্লীতে মুসলমানদের উপর গত ২৪-২৭শে ফেব্রুয়ারী চার দিনে চালানো রক্তাক্ত সহিংসতার বিষয়ে বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘ভারত ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এতে কারও লাভ হচ্ছে না। কেবল ভারতেরই ক্ষতি হবে’। গত ৫ই মার্চ বৃহস
করোনা ভাইরাসচীনের উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে গত ডিসেম্বরে ছড়িয়ে পড়ে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। পরিস্থিতি ৩০ কোটি মানব ভ্রূণ হত্যাকারী চীন সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় একপর্যায়ে এই ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপী ‘যরূরী স্বাস্থ্য অবস্থা
আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করেছেন এবং সেই সাথে ইবলীসকেও সৃষ্টি করেছেন মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য। আর সেজন্য তিনি অন্য প্রাণীর বিপরীতে মানুষকে জ্ঞান ও স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দান করেছেন। ইবলীস সর্বদা মানুষকে ধোঁকা দিয়ে তার পক্ষে কাজে লাগায়। মানুষের নিজস্ব
মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি। আর মানুষের জন্য সৃষ্টি হয়েছে এ পৃথিবী এবং এর সবকিছু। আল্লাহর মালিকানাধীন এ পৃথিবীর যেখানে খুশী তার বান্দারা বসবাস করবে। সবারই ফিৎরাত ও স্বভাবধর্ম এক। সবারই জৈবিক ও মানবিক চাহিদা এক। সবারই মধ্যে কুপ্রবৃত্তি, বিবেকশক্তি ও
ভারতবর্ষে ৩২৬ বছরব্যাপী মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা যহীরুদ্দীন মুহাম্মাদ বাবর (১৫২৬-১৫৩১)-এর সেনাপতি মীর বাকী ১৫২৮ খ্রিস্টাব্দে অযোধ্যায় বাবরী মসজিদ নির্মাণ করেন। (ক) ৩৫৭ বছর পর ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে উক্ত মসজিদকে মন্দির বানানোর প্রথম দাবী তোলেন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপযেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে শত শত মুছল্লীর অশ্রুবন্যার মধ্যে তৃতীয় জানাযা শেষে ছাত্রলীগের হাতে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২য় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের দাফন সম্পন্ন হয়। এই নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডে ক
‘জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন’ তথা National Register of Citizens (NRC) নামে ভারতে সর্বপ্রথম আসাম প্রদেশে আইন রচিত হয়েছে। যে আইনের বিধান মতে ১৯৭১-এর ২৪শে মার্চ মধ্যরাতের পর থেকে যারা আসামে এসে বসবাস করছে, তারা সবাই বিদেশী। বিগত সাড়ে ৪৮ বছর ধরে যারা সে
১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির দীর্ঘ ৭২ বছর পর জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য তার ‘বিশেষ মর্যাদা’ হারালো। জম্মু-কাশ্মীর থেকে কারগিল ও লাদাঘকে পৃথক করে তৈরী করা হ’ল নতুন দুই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। এখন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের বাইরের রাজ্যের লোকেরা সেখানে স্
সমাজে সর্বত্র অশান্তি বিরাজ করছে। মানুষের জান-মাল ও ইযযতের নিরাপত্তা নেই। দু’বছরের বাচ্চা থেকে শতবর্ষী অন্ধ বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষিতা হচ্ছে। ইয়াবা সর্বত্র হাতের নাগালে এসে যাচ্ছে। তুচ্ছ কারণে মানুষ খুন হচ্ছে। প্রকাশ্যে দিনমানে শত শত লোকের সামনে
জ্ঞানী মানুষ সর্বদা সত্যের সন্ধানে থাকেন। যেখানেই সত্য পান, সেখানেই ছুটে যান। মানুষ প্রথমে নিজের জ্ঞান মোতাবেক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। কিন্তু পরক্ষণে তা ভুল প্রমাণিত হ’লে পুনরায় সত্যের সন্ধানে রত হয়। এভাবেই চলে মানুষের জীবন, যতক্ষণ না সে শেষ নিঃ
উক্ত সংগঠনের নামে গত ১২ই মে রবিবার দেশের প্রথম সারির কয়েকটি জাতীয় দৈনিকের প্রথম পৃষ্ঠায় নিম্নোক্ত শিরোনামে একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়। যদিও সংগঠনটির সভাপতি বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক ও ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা’র ব্যবস্থাপনা পরিচাল
বিবিসি বাংলার তথ্যানুসন্ধানী রিপোর্ট অনুযায়ী, জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের অর্থায়নে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সালের শেষ পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সরকারের ‘জেনারেশন ব্রেক থ্রু’ নামক একটি প্রকল্প সম্প্রতি শেষ হয়েছে। যা পুনরায় শুরু হ’তে যাচ্ছে। উক্ত
গত ১৫ই মার্চ’১৯ শুক্রবার নিউজিল্যান্ডে ক্রাইস্টচার্চের ডিন্স এভিনিউ-এর হ্যাগলি পার্কের নিকট ‘আল-নূর’ মসজিদে ৪২ জন মুছল্লীকে ব্রাশফায়ারে হত্যা করার পর গাড়ী চালিয়ে ৩ মাইল দূরে ‘লিনউড’ মসজিদে গুলি চালিয়ে আরও ৮ জনকে হত্যা করে ২৮ বছর বয়স্ক ব্রেন্ট
আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করার পর জান্নাত থেকে নামিয়ে দেওয়ার সময় তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘যখন আমার নিকট থেকে তোমাদের কাছে কোন হেদায়াত পৌঁছবে, তখন যারা আমার হেদায়াতের অনুসরণ করবে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তান্বিত হবে না’। ‘পক্ষান্তরে যারা অবিশ্বা
ইসলামে নারী শিক্ষা অপরিহার্য। যেমন পুরুষের জন্য অপরিহার্য। তবে উভয়ের জন্য শিক্ষার পরিবেশ হবে ভিন্ন এবং উভয়ের উপযোগী শিক্ষা সিলেবাস হবে ক্ষেত্রবিশেষে ভিন্ন। তবে উভয়ের শিক্ষার ভিত্তি হবে একই। আর তা হ’ল তাওহীদ, রিসালাত ও আখেরাত। দুনিয়াতে ভূমিষ্ট
মিথ্যা ও প্রতারণার গাঢ় তমিশ্রায় নিমজ্জিত এ পৃথিবীতে সত্যের আলো নিয়ে দাঁড়াবার মত মানুষ কদাচিৎ খুঁজে পাওয়া যায়। যদিও সত্য কোনটা মিথ্যা কোনটা তা বাছাই করার যোগ্যতা বা তার আগ্রহ কারু মধ্যে তেমন একটা দেখা যায় না। যে যেটা করেন সেটাই সত্য অথবা অধিকা
হে মানুষ! তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাসের মালিক কে? তুমি কি জান কিভাবে তোমার নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের আগমন-নির্গমন হয়? কে সেটি নিয়ন্ত্রণ করেন? তুমি কি জানো তোমার নিঃশ্বাসটুকুর মূল্য কত? ওটা বন্ধ হয়ে গেলেই তুমি মৃত লাশে পরিণত হবে। তুমি সবই জানো। আবার কিছু
মানব জীবনে অধঃপতনের অন্যতম প্রধান কারণ হ’ল জবাবদিহিতার অনুভূতির দুর্বলতা। যা দু’প্রকার : মানুষের নিকট জবাবদিহিতা এবং আল্লাহর নিকট জবাবদিহিতা। মানুষের নিকট জবাবদিহিতার অনুভূতি কমে গেলে বা বিলুপ্ত হ’লে মানুষ যত না বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার চাইতে
বড় বড় নদীগুলির ভাঙ্গনের তীব্রতা এবারে সবচেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে দেশের ভিতরে গ্রাম, মহল্লা, ইউনিয়ন এমনকি উপযেলার মানচিত্র পাল্টে যাচ্ছে। দু’বছর আগের বসতভিটার এখন অস্তিত্ব নেই। জন্মস্থান গ্রামটি নিশ্চিহ্ন হয়ে চলে গেছে নদীর অভ্যন্তরে দু’তিন মাইল
১০ম হিজরী সনে রাসূল (ছাঃ)-এর বিদায় হজ্জ অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষাধিক ছাহাবী উপস্থিত ছিলেন। যে কোন আদর্শিক নেতার জীবনের সর্বশেষ কর্মী সম্মেলনে দেওয়া ভাষণ নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) কেবল নেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন শেষনবী ও ব
‘হজ্জ’ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম। এটি বিশ্ব মুসলিমের বার্ষিক সম্মেলনের প্রতীক। ‘হজ্জ’ অর্থ সংকল্প করা। ‘ওমরাহ’ অর্থও তাই। কিসের সংকল্প? আল্লাহর উদ্দেশ্যে বায়তুল্লাহ যেয়ারতের সংকল্প। বায়তুল্লাহ কেন? কারণ এটি আল্লাহর হুকুমে ভূপৃষ্ঠে নির্মিত প্র
আহলেহাদীছের বৈশিষ্ট্য সমূহ গত কয়েক বছর থেকে আহলেহাদীছের বিরুদ্ধে ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলির বিষোদ্গার ও সহিংসতা চলছে। সম্প্রতি সেটা বেড়ে গেছে। তাতে যোগ দিয়েছেন সরকারী ও বিরোধী দলের কিছু কিছু রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধি। কোন কোন অঞ্চলে আইনশৃংখলা রক্ষাকা
১৯৪৮ সালের ১৫ই মে আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্রাঈল রাষ্ট্র জন্মলাভের ঠিক ৭০ বছর পরে ২০১৮ সালের ১৫ই মে তেলআবিব থেকে আমেরিকান দূতাবাস জেরুযালেমে স্থানান্তর করা হ’ল। উদ্বোধন করলেন ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা। এরপর আমেরিকার বশংবদ রাষ্ট্রগুলির দূতাবাসও একে একে সে
‘সালাফী’ অর্থ পূর্বসূরীদের অনুসারী। ইসলামী পরিভাষায় এর অর্থ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ছাহাবায়ে কেরামের তরীকার অনুসারী। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, ইহূদীরা ৭১ ফের্কায়, নাছারারা ৭২ ফের্কায় এবং আমার উম্মত ৭৩ ফের্কায় বিভক্ত হবে। তার মধ্যে মুক্তিপ্রাপ
গত ১৭-১৮ই মার্চ’১৮ শনি ও রবিবার সংগঠনের ‘শিক্ষা সফর’ উপলক্ষে কাপ্তাই লেক, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পরিদর্শনে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হ’ল তার একটি অংশ ছিল শেষ দিন রবিবার রাঙ্গামাটি থেকে খাগড়াছড়ি সফর। বেলা ১২-টার দিকে হঠাৎ আটকে গেলাম মানিকছড়ি উপযেলার বুড়
পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস মানেই জাতির গলায় ফাঁস। এখন যার মহোৎসব চলছে। শিশু শ্রেণী থেকে শুরু করে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পর্যন্ত ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনের বংশধরগণের জন্যই বর্তমানের যত প্রচেষ্টা। অথচ যদি তাদেরকেই পঙ্গু করে ফেলা হয়, তাহ’লে বাংল
গত ১৩ই জানুয়ারী’১৮ ঢাকায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাম দল সমূহের প্রতিনিধিদের দু’দিন ব্যাপী সম্মেলন ‘ঢাকা ঘোষণা’র মাধ্যমে শেষ হ’ল। সম্মেলনে ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের বামনেতারা অংশ নেন। সম্ম
গত ৬ই ডিসেম্বর’১৭ বুধবার আমেরিকার প্রেসিডেণ্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ বায়তুল আক্বছা তথা যেরুসালেমকে অবৈধ ইহূদী রাষ্ট্র ইস্রাঈলের রাজধানী ঘোষণা করেছেন। যাদের রাষ্ট্র তারা ঘোষণা করার সাহস করেনি। ঘোষণা করলেন যিনি, তিনি সে
আল্লাহ বলেন, ‘আর আমরা যাদের সৃষ্টি করেছি, তাদের মধ্যে একটি দল রয়েছে, যারা সত্য পথে চলে ও সে অনুযায়ী ন্যায়বিচার করে’। ‘যারা আমাদের আয়াত সমূহে মিথ্যারোপ করে আমরা তাদেরকে ক্রমান্বয়ে পাকড়াও করব এমনভাবে যে তারা বুঝতেও পারবে না’। ‘আর আমি তাদেরকে অব
পরাশক্তি নামধারী অস্ত্র ব্যবসায়ী রাষ্ট্রগুলির সৃষ্ট যুদ্ধ, সহিংসতা ও নির্যাতন-নিপীড়নের কারণে বিশ্বে বাস্ত্তহারা হওয়া লোকের সংখ্যা গত সাত দশকের যেকোন সময়ের চেয়ে এখন বেশী। তাদের কেউ হয় বিদেশে শরণার্থী, নয় আশ্রয়প্রার্থী কিংবা দেশের ভেতরেই বাস্ত্
গত ২৫শে আগষ্ট’১৭ শুক্রবার থেকে আরাকানে পুনরায় রোহিঙ্গা নিধন শুরু হয়েছে। সীমান্তবর্তী নাফ নদীতে নিহত রোহিঙ্গাদের শত শত লাশ ভাসছে। ঈদুল আযহার এক সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হওয়ায় এবারের এই নিধনযজ্ঞের প্রতি বাংলাদেশ সহ মুসলিম বিশ্বের প্রায় সর্বত্র ব্যা
গত ৩১শে জুলাই’১৭ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের প্রতিক্রিয়ায় পক্ষে-বিপক্ষে দেশব্যাপী হৈ চৈ শুরু হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে আমরা দেশের সংবিধানের উপর সংক্ষিপ্ত আলোচনা করতে চাই। ১৯৯৯ সালের ২৬শে জানুয়ারীতে প্রকাশিত ১৯২ পৃষ্ঠাব্যাপী সংবিধান, যা ২০০৫ সাল
মানুষের সৃষ্টিকাল থেকেই পিওর ও পপুলারের দ্বন্দ্ব চলছে। জান্নাতে ইবলীস আদম ও হাওয়াকে নিষিদ্ধ বৃক্ষের প্রতি প্রলুব্ধ করেছিল সেখানে তাদের চিরস্থায়ী হওয়ার লোভ দেখিয়ে। সেদিন ইবলীসের পপুলার প্রস্তাবের কাছে পিওরের অনুসারী আদম ভুলক্রমে পরাজিত হন। ফলে
সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সামনে তলোয়ারধারী ও শাড়ি পরিহিতা গ্রীক পুরাণে বর্ণিত বিচারের দেবী থেমিসের ভাষ্কর্য বা মূর্তি উঠানো হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৮ই ডিসেম্বর রবিবার গভীর রাতে। ইসলামী জ
মানুষ আর পশুতে পার্থক্য হ’ল নৈতিক মূল্যবোধ। মানুষ বড়-ছোট হিসাব করে ও মা-বোন তারতম্য করে চলে। পশুরা তা করে না এবং তাদের কোন বিচার হয় না। কিন্তু মানুষ তা পারে না। ফলে যখনই তার নৈতিক মূল্যবোধ হারিয়ে যায় বা শিথিল হয়ে যায়, তখনই তার পশু প্রবণতা জেগ
এ বছর দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বাধ্যতামূলকভাবে পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে বর্ষবরণের জন্য রয়েছে সরকারী ছুটি এবং গত বছর থেকে চালু হয়েছে বৈশাখী ভাতা। প্রশ্ন জাগে, মুসলমানের দেশে হঠাৎ এসব হিন্দুয়ানী প্রথা নিয়ে এত মাতামাতি
বিশ্বব্যাপী যুলুম বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানবাধিকার এখন কেবল শ্লোগানে পরিণত হয়েছে। ধর্মীয় অধিকার, সত্য বলার অধিকার, জান-মাল-ইয্যতের অধিকার, বড়-ছোট ভেদাভেদ, পুরুষ ও নারীর ভেদাভেদ ইত্যাদি সব ধরনের মানবিক মূল্যবোধ এখন ভূলুণ্ঠিত। সর্বত্র যেন চলছে মত্ত হস
বর্তমানে যেসব কথিত জঙ্গী ধরা পড়ছে, তারা নাকি সবাই ‘আহলেহাদীছ’। সরকারে নাকি এ নিয়ে টেনশন চলছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এর প্রতিবাদ করছি এবং জানিয়ে দিচ্ছি যে, অনেকে ছালাতে রাফাদানী হ’লেও আক্বীদায় ‘আহলেহাদীছ’ নয়। কেননা প্রকৃত ‘আহলেহাদীছ’ সর্বদা মধ্যপন্থী
বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত ফসিল জ্বালানি ব্যবহারের কারণে তথাকথিত উন্নয়ন ও শিল্পায়নের দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবে আবহাওয়া পরিবর্তনের ছোবলে দেশে দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবিক বিপর্যয় যখন অনিবার্য হয়ে উঠেছে, ঠিক তখনই বিশ্বের উন্নয়ন পরিকল্পনাবি
ভেবেছিলাম প্রতিবাদের শুরুতেই মূর্তিটি নামিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এখন দেখছি এ্যাটর্নী জেনারেল সহ বড় বড় নাস্তিক্যবাদী নেতারা একযোগে এই দাবীকে স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী বলে চিৎকার করছেন। আমরা বিস্মিত হই, মূর্তি পূজারীদের দেশ হিন্দুস্থানের সুপ্রীম কোর্টে যে
বস্ত্তবাদী ধারণায় দুনিয়ার আদালতই হ’ল সত্য-মিথ্যার সর্বশেষ মানদন্ড। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অজ্ঞ মানুষ যখন নিজেরা ভবিষ্যৎ কল্যাণের জন্য আইন রচনা করে, তখন সেখানে খুঁৎ থেকে যায়। তবুও সেটা সে করে নিজের অক্ষমতা ও আল্লাহর প্রতি অবাধ্যতাকে আড়াল করার জন্য।
১৯৪২, ৪৮, ৭৮, ৯২ ও ২০১২-এর মত এ বছর ৯ই অক্টোবর’১৬ থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর আবারও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। ৯ জন পুলিশ হত্যার অজুহাত তুলে সরকারী আইন-শৃংখলা বাহিনী ও বৌদ্ধ ভিক্ষু সন্ত্রাসী ক্যাডাররা হেন বর্বরতা নেই যা নিরপরা
গত ৮ই নভেম্বর সদ্যসমাপ্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হয়েছেন। তের লক্ষাধিক পপুলার ভোটে বিজয়ী হয়েও ডেমোক্রাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ৫৮টি ইলেক্টোরাল (২৯০-২৩২) ভোটে হেরে পরাজিত হয়েছেন। মূলতঃ আমেরিকার এই নির্ব
সালাফী দাওয়াত হ’ল রহমতের নবীর রেখে যাওয়া শান্তি ও রহমতের দাওয়াত। পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহর দিকে মানুষকে ফিরিয়ে নেবার দাওয়াত। যে দাওয়াতের মধ্যে হেদায়াত ব্যতীত কোন ভ্রষ্টতা নেই। প্রশান্তি ব্যতীত কোন ভীতি নেই। সৌভাগ্য ব্যতীত কোন দুর্ভাগ্য নেই। আল্লাহ
আল্লাহ বলেন, ‘..মানুষ হ’ল সবচেয়ে বেশী ঝগড়া প্রিয়’ (কাহফ ১৮/৫৪)। তিনি বলেন, ‘যদি তোমার প্রতিপালক চাইতেন, তবে সকল মানুষকে একই দলভুক্ত করতেন। কিন্তু তারা সর্বদা মতভেদ করতেই থাকবে’। ‘কেবল তারা ব্যতীত যাদের উপর তোমার পালনকর্তা অনুগ্রহ করেন..’ (হূদ ১১/১১৮-
চেতনার সংকটজ্ঞান ও শুদ্ধ চেতনার কারণে মানুষ হ’ল সৃষ্টির সেরা। এই চেতনা বিনষ্ট হ’লে মানুষ হয় নিকৃষ্টতম জীব। কিন্তু এই চেতনা একসাথে এক দিনে বিকশিত হয় না। এজন্য প্রয়োজন হয় জ্ঞান বিকাশের সুষ্ঠু পরিবেশ, সুষ্ঠু শিক্ষা এবং সুষ্ঠু কর্মসংস্থান ও কর্মস্থ
শান্তি ও সহিষ্ণুতার ধর্ম ইসলামইসলাম আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ ধর্ম। যা মানবতার সর্বশেষ আশ্রয়। শয়তানের ধোঁকায় পড়ে মানবতা যখন নিষ্পিষ্ট, ধনী-গরীব, শক্তিমান ও দুর্বলের দ্বন্দ্বে সমাজ যখন বিপর্যস্ত, মানুষের সম্মান যখন সস্তায় বিক্রীত, তখন সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ
দেশে দেশে পরাশক্তিগুলির অব্যাহত যুলুম ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ মানবতা যখন ইসলামের শান্তিময় আদর্শের দিকে ছুটে আসছে, তখন ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসাবে প্রমাণ করার জন্য তারা তাদেরই লালিত একদল বুদ্ধিজীবীর মাধ্যমে কুরআন-হাদীছের অপব্যাখ্যা করে চরমপন্থী দর্শন প্র
ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প চালু হয়ে গেল। ভারতের পনি সম্পদমন্ত্রী উমা ভারতী গত ১৬ই মে’১৬ সোমবার উক্ত ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি এলাকা থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এখন চলে যাবে ১২ কি.মি. দক্ষিণে কেরানীগঞ্জের খোলামেলা পরিবেশে। বলা হচ্ছে এটি এখন এশিয়ার সর্বাধুনিক ও বৃহত্তম কারাগার। খবরটি বন্দীদের জন্য কিছুটা স্বস্তিদায়ক হ’লেও আসলে এতে বরং আমাদের সমাজের ক্
পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি এলাকা থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এখন চলে যাবে ১২ কি.মি. দক্ষিণে কেরানীগঞ্জের খোলামেলা পরিবেশে। বলা হচ্ছে এটি এখন এশিয়ার সর্বাধুনিক ও বৃহত্তম কারাগার। খবরটি বন্দীদের জন্য কিছুটা স্বস্তিদায়ক হ’লেও আসলে এতে বরং আমাদের সমাজের
গত ৮ই মার্চ ছিল আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এর পূর্বনাম ছিল আন্তর্জাতিক কর্মজীবী নারী দিবস। ১৮৫৭ সালে মজুরী বৈষম্য, অনির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা, কাজের অমানবিক পরিবেশ ইত্যাদির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আমেরিকার রাস্তায় নেমে এসেছিল সেদেশের সূতা কারখানার নারী শ্রমিক
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী মাসব্যাপী বাংলা একাডেমীর উদ্যোগে সরকারীভাবে বইমেলা হয়ে থাকে। বইমেলায় এবার ৪০০-এর বেশী প্রকাশনা সংস্থা এবং সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। গতবারের বইমেলায় চার হাযারের বেশী বই প্রকাশিত হয়েছিল। ধরে নেওয়া যায় যে, এবা
Pornography অর্থ অশ্লীল বৃত্তি। এর উদ্দেশ্য নগ্ন ও অর্ধনগ্ন যৌন অঙ্গভঙ্গিপূর্ণ ছবি দেখিয়ে অন্যকে যৌনতায় প্রলুব্ধ করা। ১৮৯৫ সালে ইউরোপের জনৈক উইজেন পিরো এবং আলবার্ট কার্চনারের মাধ্যমে পর্ণো নির্ভর চলচ্চিত্রের উদ্ভব ঘটে। এতে তারা আর্থিকভাবে ব্যাপক লাভব