(৮) কাতারের ফাঁকা বন্ধ করা :
জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায়ের প্রাক্কালে পায়ে পা এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ছালাত আদায় করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, مَنْ سَدَّ فُرْجَةً فِي صَفٍّ رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرَجَةً، وَبَنَى لَهُ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ، ‘যে ব্যক্তি কাতারের মাঝে ফাঁকা বন্ধ করবে, এর বিনিময়ে আল্লাহ তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন এবং তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করেন’।[1] অন্যত্র তিনি বলেন,إِنَّ اللهَ وَمَلَائِكَتَهُ يُصَلِّونَ عَلَى الَّذِينَ يَصِلُونَ الصُّفُوفَ، وَمَنْ سَدَّ فُرْجَةً رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرْجَةً، ‘নিশ্চয়ই যারা কাতারগুলো মিলিয়ে রাখে আল্লাহ তাদের প্রতি রহমত নাযিল করেন এবং ফেরেশতারা তাদের জন্য রহমত প্রার্থনা করেন। আর যে ব্যক্তি কাতারের ফাঁকা বন্ধ করে দেয়, আল্লাহ এর বিনিময়ে তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন’।[2]
(৯) তাহাজ্জুদে অভ্যস্ত হওয়া :
ফরয ছালাতের পরে তাহাজ্জুদের ছালাত সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ।[3] তাহাজ্জুদ ছালাতের বিবিধ ফযীলত রয়েছে, তন্মধ্যে অন্যতম হ’ল এই ছালাতের বিনিময়ে আল্লাহ বান্দাকে জান্নাতের বিশেষ প্রাসাদের মালিক বানিয়ে দেন। আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,إِنَّ فِي الجَنَّةِ غُرَفًا تُرَى ظُهُورُهَا مِنْ بُطُونِهَا وَبُطُونُهَا مِنْ ظُهُورِهَا ‘জান্নাতের মধ্যে কতিপয় প্রাসাদ আছে, যেগুলোর ভিতর থেকে বাইরের এবং বাহির থেকে ভিতরের দৃশ্য দেখা যায়’। এক বেদুঈন দাঁড়িয়ে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! এই প্রাসাদগুলো কাদের জন্য? তিনি বললেন, لِمَنْ أَطَابَ الكَلَامَ، وَأَطْعَمَ الطَّعَامَ، وَأَدَامَ الصِّيَامَ، وَصَلَّى بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ، ‘যে ব্যক্তি মানুষের সাথে উত্তমভাবে কথা বলে, (ক্ষুধার্তকে) খাদ্য দান করে, নিয়মিত নফল ছিয়াম পালন করে এবং মানুষ যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকে, তখন সে (আললাহর জন্য) ছালাত আদায় করে’।[4] আয়েশা ছিদ্দীক্বা (রাঃ) বলেন,لَا تَدَعْ قِيَامَ اللَّيْلِ فَإِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لَا يَدَعُهُ، وَكَانَ إِذَا مَرِضَ، أَوْ كَسِلَ صَلَّى قَاعِدًا، ‘তুমি ক্বিয়ামুল লায়ল ছেড়ে দিও না। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) কখনো এটা ছাড়তেন না। তিনি অসুস্থ হ’লে কিংবা অলসতা বোধ করলে বসে ছালাত আদায় করতেন’।[5] মুহাম্মাদ ইবনে সীরীন (রহঃ) বলেন, لَا بُدَّ مِنْ قِيَامِ اللَّيْلِ وَلَوْ قَدْرَ حَلْبِ شَاةٍ، ‘ক্বিয়ামুল লায়ল (রাত্রীকালীন নফল ইবাদত) অবশ্যই আদায় করবে। যদিও বকরির ওলান থেকে দুধ দোহনের সময় পরিমাণও হয়’।[6] ফুযাইল ইবনে ইয়ায (রহঃ) বলেন, إِذَا لَمْ تَقدِرْ عَلَى قِيَامِ اللَّيْلِ، وَصِيَامِ النَّهَارِ، فَاعْلَمْ أَنَّكَ مَحْرُوْمٌ، كَبَّلَتْكَ خَطِيئَتُكَ، ‘যদি তুমি রাতে তাহাজ্জুদ না আদায় করতে পার এবং দিনে ছিয়াম পালন করতে না পার, তবে জেনে রেখ! তুমি (ইবাদতের বরকত থেকে) বঞ্চিত হয়েছ, তোমার গুনাহ-খাত্বা তোমাকে বন্দী করে রেখেছে’।[7]
(১০) সদাচরণকারী হওয়া :
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সদাচরণকারী বান্দাদের জন্য জান্নাতের সুউচ্চ স্থানে একটি বালাখানার ব্যাপারে যিম্মাদারী গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেছেন,أَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَإِنْ كَانَ مُحِقًّا، وَبِبَيْتٍ فِي وَسَطِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْكَذِبَ وَإِنْ كَانَ مَازِحًا وَبِبَيْتٍ فِي أَعْلَى الْجَنَّةِ لِمَنْ حَسَّنَ خُلُقَهُ، ‘যে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত হওয়া সত্তেবও ঝগড়া-বিবাদ পরিহার করবে, আমি তার জন্য জান্নাতের উপকণ্ঠে একটি ঘরের যিম্মাদার। আর যে ব্যক্তি তামাশার ছলেও মিথ্যা বলে না, আমি তার জন্য জান্নাতের মাঝখানে একটি ঘরের যিম্মাদার। আর যে ব্যক্তি তার চরিত্রকে সৌন্দর্যমন্ডিত করেছে, আমি তার জন্য জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত একটি ঘরের যিম্মাদার’।[8] মুমিন বান্দাকে ঈমানের পরে উত্তম চরিত্রের চেয়ে উত্তম আর কিছু প্রদান করা হয়নি। এজন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাত শুরুর সময় উত্তম চরিত্র লাভের জন্য দো‘আ করতেন।[9] আয়না দেখার সময় চারিত্রিক সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রার্থনা করতেন।[10]
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, أَتُدْرُونَ مَا أَكْثَرُ مَا يُدْخِلُ النَّاسَ الْجَنَّةَ؟ تَقْوَى اللهِ وَحُسْنُ الْخُلُقِ ‘তোমরা কি জানো! মানুষকে কোন্ জিনিস সবচেয়ে বেশী জান্নাতে প্রবেশ করাবে? সেটা হ’ল- আল্লাহভীতি ও উত্তম চরিত্র।[11] ইবনুল ক্বাইয়িম (রহঃ) বলেছেন, جمع النبى بَين تقوى الله وَحسن الْخلق لِأَن تقوى الله يصلح مَا بَين العَبْد وَبَين ربه وَحسن الْخلق يصلح مَا بَينه وَبَين خلقه فتقوى الله توجب لَهُ محبَّة الله وَحسن الْخلق يَدْعُو إِلَى محبته، ‘নবী কারীম (ছাঃ) আল্লাহভীতি ও সচ্চরিত্রকে একত্রে বর্ণনা করেছেন। কেননা তাক্বওয়া বান্দা ও তাঁর রবের মাঝে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। আর সচ্চরিত্র বান্দা এবং সৃষ্টিকূলের মাঝে সম্পর্ক তৈরী করে। ফলে তাক্বওয়ার মাধ্যমে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জিত হয় আর সদাচরণ তাকে সৃষ্টির ভালোবাসার দিকে টেনে নিয়ে যায়’।[12]
(১১) সালামের প্রসার ঘটানো :
সালাম একটি সম্মানজনক, অভ্যর্থনামূলক, অভিনন্দনজ্ঞাপক, শান্তিময় উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন পরিপূর্ণ ইসলামী অভিবাদন। সালামের প্রসার ঘটানোর মাধ্যমে মুমিনদের মাঝে ভালোবাসার বুনিয়াদ গড়ে ওঠে। সালাম আদান-প্রদান করা জান্নাতে প্রবেশ করার অন্যতম একটি মাধ্যমে এবং সেখানে অনবদ্য প্রাসাদ তৈরী করার অন্যতম হাতিয়ার। আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إِنَّ فِي الْجَنَّةِ غُرَفًا يُرَى ظَاهِرُهَا مِنْ بَاطِنِهَا وَبَاطِنُهَا مِنْ ظَاهِرِهَا أَعَدَّهَا اللهُ لِمَنْ أَطْعَمَ الطَّعَامَ وَأَفْشَى السَّلَامَ، وَصَلَّى بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ، ‘জান্নাতে মধ্যে এমন কিছু প্রাসাদ আছে, যার বাইরের দৃশ্য ভিতর থেকে এবং ভিতরের দৃশ্য বাহির থেকে দেখা যায়। মহান আল্লাহ এসব প্রাসাদ সেই সকল লোকের জন্য তৈরী করেছেন, যারা অপরকে খাবার খাওয়ায়, সালামের প্রসার ঘটায় এবং রাতে মানুষ ঘুমিয়ে থাকলে (তাহাজ্জুদের) ছালাত আদায় করে’।[13] আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন,إِنِّي لأَخْرُجُ وَمَا لِي حَاجَةٌ إِلا لأُسَلِّمَ عَلَى النَّاسِ وَيُسَلِّمُونَ عَلَيَّ، ‘আমি (মাঝে মাঝে) কোন প্রয়োজন ছাড়াই এই উদ্দেশ্যে বাড়ির বাইরে বের হই যে, আমি মানুষকে সালাম দিব এবং তারাও আমাকে সালাম দিবে’।[14] আম্মার ইবনে ইয়াসার (রাঃ) বলেন, ثلاث من كن فيه فقد استكمل الإيمان: الإنصاف من نفسه، والإنفاق من الإقتار، وبذل السلام للعالم، ‘যার মধ্যে তিনটি বৈশিষ্ট্য আছে, সে তার ঈমানকে পূর্ণ করেছে- (১) নিজের ব্যাপারে ইনছাফ করা, (২) অভাবগ্রস্ত হওয়ার পরও দান-ছাদাক্বা করা এবং (৩) জগৎজুড়ে সালামের প্রসার ঘটানো’।[15]
(১২) মানুষকে খাবার খাওয়ানো :
মানুষকে খাবার খাওয়ানো আল্লাহর নৈকট্য হাছিলে বড় একটি মাধ্যম, যার দ্বারা জান্নাতে প্রাসাদ নির্মিত হয়। আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إِنَّ فِي الْجَنَّةِ غُرَفًا يُرَى ظَاهِرُهَا مِنْ بَاطِنِهَا وَبَاطِنُهَا مِنْ ظَاهِرِهَا أَعَدَّهَا اللهُ لِمَنْ أَطْعَمَ الطَّعَامَ... ‘জান্নাতে মধ্যে এমন কিছু প্রাসাদ আছে, যার বাইরের দৃশ্য ভিতর থেকে এবং ভিতরের দৃশ্য বাহির থেকে দেখা যায়। মহান আল্লাহ এসব প্রাসাদ যাদের জন্য তৈরী করেছেন, তন্মধ্যে অন্যতম হ’ল- যে ক্ষুধার্তকে খাবার খাওয়ায়...’।[16] তিনি আরো বলেন,اعْبُدُوا الرَّحْمَنَ، وَأَطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَأَفْشُوا السَّلَامَ، تَدْخُلُوا الجَنَّةَ بِسَلَامٍ ‘তোমরা রহমানের ইবাদাত কর, অপরকে খাবার খাওয়াও, মুসলিমদেরকে সালাম দাও; আর নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ কর’। অন্যত্র তিনি নির্দেশ দিয়ে বলেন, أَطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَأَطْيِبُوا الْكَلَامَ، ‘তোমরা (মানুষকে) খাবার খাওয়াও এবং সুন্দর ভাষায় কথা বল’।[17] কারণ ইসলামের সর্বোৎকৃষ্ট কাজ হচ্ছে, মানুষকে খাওয়ানো এবং পরিচিত অপরিচিত সবাইকে সালাম প্রদান করা।[18]
(১৩) নিয়মিত নফল ছিয়াম পালন করা :
ফরয ছিয়ামের পাশাপাশি নিয়মিত নফল ছিয়ামের মাধ্যমে জান্নাতী অট্টালিকার অধিকারী হওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘জান্নাতের মধ্যে কতিপয় প্রাসাদ আছে, যেগুলোর ভিতর থেকে বাইরের এবং বাহির থেকে ভিতরের দৃশ্য দেখা যায়’। এক বিদুঈন দাঁড়িয়ে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! এই প্রাসাদগুলো কাদের জন্য? তিনি বললেন, لِمَنْ أَطَابَ الكَلَامَ، وَأَطْعَمَ الطَّعَامَ، وَأَدَامَ الصِّيَامَ، وَصَلَّى بِاللَّيْلِ وَالنَّاسُ نِيَامٌ، ‘যে ব্যক্তি মানুষের সাথে উত্তমভাবে কথা বলে, (ক্ষুধার্তকে) খাদ্য দেয়, নিয়মিত নফল ছিয়াম পালন করে এবং মানুষ যখন রাতে ঘুমিয়ে থাকে, তখন সে আল্লাহর জন্য ছালাত আদায় করে’।[19] ক্বাযী বায়যাবী (রহঃ) বলেন, ‘শুধু ক্ষুত-পিপাসা থেকে নিবৃত্ত থাকাই ছিয়ামের মূল উদ্দেশ্য নয়; বরং প্রবৃত্তিকে দমন করে নফসে আম্মারাকে বশীভূত করে নফসে মুত্বমাইন্না বা আল্লাহর আনুগত্যে প্রশান্ত হৃদয় গঠন করাই ছিয়ামের মূল তাৎপর্য।[20] এজন্য প্রখ্যাত তাবেঈ আহনাফ ইবনে ক্বায়েস (রহঃ) বৃদ্ধ বয়সেও ছিয়াম রাখতেন। তাকে বলা হ’ত, ‘আপনি তো বৃদ্ধ মানুষ, ছিয়াম আপনাকে আরো দুর্বল করে দিচ্ছে। (সুতরাং এতো কষ্ট করে ছিয়াম রাখার কী প্রয়োজন?)’। প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন,إني أعده لسفر طويل، والصبر على طاعة الله سبحانه أهون من الصبر على عذابه، ‘আমি দীর্ঘ সফরের (পাথেয়র) জন্য ছিয়ামকে প্রস্ত্তত করছি। আল্লাহর আযাবে ধৈর্য ধারণ করার চেয়ে তাঁর আনুগত্যে ধৈর্য ধারণ করা অনেক সহজ’।[21]
(১৪) সূরা ইখলাছ পাঠ করা :
সূরা ইখলাছ হচ্ছে পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ সূরা। যা কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান মর্যাদাপূর্ণ।[22] অত্র সূরা দশ বার তেলাওয়াত করার মাধ্যমে নিজের জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ বরাদ্দ পাওয়া যায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, مَنْ قَرَأَ قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ عَشْرَ مَرَّاتٍ، بُنِيَ لَهُ بِهَا قَصْرٌ فِي الْجَنَّةِ، وَمَنْ قَرَأهاَ عِشْرِينَ مَرَّةً، بُنِيَ لَهُ بِهَا قَصْرَانِ فِي الْجَنَّةِ، وَمَنْ قَرَأَهَا ثَلَاثِينَ مَرَّةً، بُنِيَ لَهُ بِهَا ثَلَاثَةُ قُصُورٍ فِي الْجَنَّةِ. فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ: وَاللهِ يَا رَسُولَ اللهِ إِذَنْ لَنَكْثُرَنَّ قُصُورُنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: اللهُ أَوْسَعُ مِنْ ذَلِكَ، ‘যে ব্যক্তি দশবার সূরা ইখলাছ পাঠ করবে, এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে। আর যে ব্যক্তি বিশবার পাঠ করবে, তার জন্য দু’টি প্রাসাদ নির্মাণ করা হবে। আর যে ব্যক্তি ত্রিশবার পাঠ করবে, তার জন্য তিনটি প্রাসাদ নিমার্ণ করা হবে। অতঃপর ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! তবে তো আমাদের প্রাসাদেও সংখ্যা অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে। তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘আল্লাহ তোমাদের ধারণার চেয়েও অধিক দাতা’।[23] অন্যত্র রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ‘কুল হওয়াল্লাহু আহাদ’ বা সূরা ইখলাছ শেষ পর্যন্ত দশবার পাঠ করবে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন’।[24]
আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে আসছিলাম। তখন তিনি এক ব্যক্তিকে সূরা ইখলাছ পাঠ করতে শুনলেন এবং বললেন ওয়াজিব (অবধারিত) হয়ে গেছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কি ওয়াজিব হয়ে গেছে? তিনি বললেন, জান্নাত। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি লোকটিকে এই সুসংবাদ দেওয়ার জন্য তার কাছে যেতে চাইলাম। অন্যদিকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সকাল বেলার খাবার ছুটে যাওয়ার আশংকা করলাম। তাই আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সকালের খাবার গ্রহণকে অগ্রাধিকার দিলাম। পরে সেই লোকের কাছে এসে দেখি সে (ওখান থেকে) চলে গেছে’।[25]
(১৫) দ্বীনি ভাই ও অসুস্থ-রোগীকে দেখতে যাওয়া :
দ্বীনী ভ্রাতৃত্ব আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের একটি বড় মাধ্যম। যারা পরস্পরকে স্রেফ আল্লাহর জন্য ভালোবাসে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদেরকে তাঁর আরশের ছায়ায় আশ্রয় দান করবেন[26] এবং তাদের মর্যাদা দেখে নবী ও শহীদগণ ঈর্ষা করবেন।[27] আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إِذَا عَادَ الرَّجُلُ أَخَاهُ أَوْ زَارَهُ، قَالَ اللهُ لَهُ: طِبْتَ وَطَابَ مَمْشَاكَ، وَتَبَوَّأْتَ مَنْزِلًا فِي الْجَنَّةِ، ‘যখন কোন ব্যক্তি তার অসুস্থ (মুসলিম) ভাইকে দেখতে যায় অথবা তার সাথে সাক্ষাত করতে যায়, তখন আল্লাহ তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তোমার পথচলা উত্তম হয়েছে, তুমি তো জান্নাতে একটি বাড়ি বানিয়ে নিলে’।[28] বোঝা গেল, অসুস্থ মুসলিম ভাইকে দেখতে যাওয়া বা তার সাথে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া নেক আমালের অন্তর্ভুক্ত। যারা এটা করে আল্লাহর ফেরেশতামন্ডলী তাদের জন্য কল্যাণের দো‘আ করেন এবং সেই বান্দার জন্য জান্নাতে একটি প্রাসাদ বরাদ্দ দেওয়ার প্রার্থনা করেন।
ইবনু জুরাইজ (রহঃ) বলেন, ‘যদি তোমার সাথে তোমার কোন দ্বীনী ভাই সাক্ষাত করতে আসে, তবে তাকে জিজ্ঞেস করো না যে- কোত্থেকে আসলে? কারণ হ’তে পারে যে, সে এমন স্থান থেকে এসেছে, যা সে তোমাকে জানাতে পসন্দ করছে না। যদি সে তোমাকে বলে, সে কোথা থেকে এসেছে, তবে তুমি তাকে কষ্ট দিলে। আর সে যে স্থান থেকে এসেছে তা না বলে ভিন্ন কথা বলে, তবে এটি মিথ্যা হিসাবে লিখিত হবে’।[29] মুহাম্মাদ ইবনে ওয়াসে‘ (রহঃ)-কে একবার জিজ্ঞেস করা হ’ল, দুনিয়াতে সর্বোত্তম আমল কোন্টি?, তিনি বলেন,صُحْبَةُ الْأَصْحَابِ وَمُحَادَثَةُ الْإِخْوَانِ إِذَا اصْطَحَبُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَى، ‘বন্ধুদের সংস্রব এবং দ্বীনী ভাইদের সাথে কথোপথন, যদি তা একই সাথে নেকী ও তাক্বওয়ার ভিত্তিতে হয়ে থাকে’।[30]
(১৬) সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্য ধারণ করা :
সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্য ধারণ করা একটি কঠিন ইবাদত, তবে এর প্রতিদানও অনেক বড়। যারা সন্তানের মৃত্যুতে ধৈর্য ধারণ করতে পারে, ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদেরকে প্রশংসিত প্রাসাদের মালিক বানিয়ে দিবেন। আবূ মূসা আশ‘আরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, إِذَا مَاتَ وَلَدُ العَبْدِ قَالَ اللهُ لِمَلَائِكَتِهِ: قَبَضْتُمْ وَلَدَ عَبْدِي، فَيَقُولُونَ: نَعَمْ، فَيَقُولُ: قَبَضْتُمْ ثَمَرَةَ فُؤَادِهِ، فَيَقُولُونَ: نَعَمْ، فَيَقُولُ: مَاذَا قَالَ عَبْدِي؟ فَيَقُولُونَ: حَمِدَكَ وَاسْتَرْجَعَ، فَيَقُولُ اللهُ: ابْنُوا لِعَبْدِي بَيْتًا فِي الجَنَّةِ، وَسَمُّوهُ بَيْتَ الحَمْدِ، ‘যখন বান্দার কোন সন্তান মারা যায়, তখন আল্লাহ তার ফেরেশতাদের প্রশ্ন করেন, তোমরা আমার বান্দার সন্তানকে কি ছিনিয়ে আনলে? তারা বলেন, হ্যাঁ। পুনরায় আল্লাহ প্রশণ করেন, তোমরা তার হৃদয়ের টুকরাকে ছিনিয়ে আনলে? তারা বলেন, হ্যঁা। তখন তিনি জিজ্ঞেস করেন, (সন্তানের মৃত্যুতে) আমার বান্দা কি বলেছে? ফেরেশতারা বলে, সে আপনার প্রশংসা করেছে এবং ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি‘ঊন’ পাঠ করেছে। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, জান্নাতের মধ্যে আমার এই বান্দার জন্য একটি ঘর তৈরী কর এবং তার নাম রাখ ‘বায়তুল হামদ’ বা ‘প্রশংসালয়’।[31]
(১৭) তর্ক-বিবাদ পরিহার করা :
ঝগড়া-বিবাদ ও তর্ক-বিতর্কের মাধ্যমে ইসলামী ভ্রাতৃত্বের মাঝে ফাটল সৃষ্টি হয়। এজন্য ইসলাম আমাদেরকে ন্যায়সঙ্গত ঝগড়া-বিবাদও পরিহার করার প্রতি উৎসাহিত করেছে। আর এর প্রতিদানে রয়েছে জান্নাতী প্রাসাদ লাভের নিশ্চয়তা। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,أَنَا زَعِيمٌ بِبَيْتٍ فِي رَبَضِ الْجَنَّةِ لِمَنْ تَرَكَ الْمِرَاءَ وَإِنْ كَانَ مُحِقًّا، ‘আমি সেই ব্যক্তির জন্য জান্নাতের যামিনদার হব, যে ব্যক্তি ন্যায়সঙ্গত হওয়া সত্ত্বেও ঝগড়া-বিবাদ পরিহার করে’।[32] হাসান ইবনে আলী (রাঃ) বলেন,الْمُرُوءَةُ فَحِفْظُ الرَّجُلِ نَفْسَهُ، وَإِحْرَازُهُ دِينَهُ وَحُسْنُ قِيَامِهِ بِصَنْعَتِهِ، وَتَرْكُ الْمُنَازَعَةِ، وَإِفْشَاءُ السَّلَامِ، ‘প্রকৃত মানবিকতা হ’ল আত্মনিয়ন্ত্রণ করা, নিজের দ্বীনকে হেফাযত করা, নিপুণতার সাথে নিজের কাজ করা, ঝগড়া-বিবাদ পরিহার করা এবং সালামের প্রসার ঘটানো’।[33]
(১৮) কৌতুকের ছলে হ’লেও মিথ্যা পরিহার করা :
পৃথিবীর সকল ধর্মে মিথ্যা বলা মহাপাপ। ইসলাম ধর্মে মজা ও কৌতুক করার জন্য মিথ্যা বলাও হারাম। যারা যাপিত জীবনে মিথ্যাকে পরিহার করতে পারে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তাদের জন্য জান্নাতের মাঝখানে অবস্থিত একটি প্রাসাদের যিম্মাদারী গ্রহণ করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আমি জান্নাতের মধ্যখানে একটি বাড়ির যিম্মাদার সেই ব্যক্তির জন্য, যে কৌতুকবশত হ’লেও মিথ্যা বলা পরিহার করে’।[34] এখানে বাড়ি বলতে প্রাসাদ বুঝানো হয়েছে।[35] অন্যত্র তিনি বলেন,لَا يُؤْمِنُ عَبْدٌ الْإِيمَانَ كُلَّهُ حَتَّى يَتْرُكَ الْكَذِبَ فِي الْمُزَاحَةِ، وَالْمِرَاءِ، وَإِنْ كَانَ صَادِقًا، ‘কোন বান্দা পূর্ণরূপে ঈমানদার হ’তে পারবে না, যতক্ষণ না সে মজা করে ও ঝগড়া-বিবাদে মিথ্যাকে পরিহার করতে না পারে, যদি সে (স্বাভাবিক জীবনে) একজন সত্যবাদি ব্যক্তি হয়’।[36] এজন্য সালাফগণ মিথ্যার ব্যাপারে যারপরনাই সতর্ক থাকতেন। প্রখ্যাত তাবেঈ আহনাফ ইবনে ক্বায়েস রহিমাহুল্লাহ (মৃ.৭২হি.) বলেন, আমি ইসলাম গ্রহণের পরে শুধু একবার মিথ্যা কথা বলেছি। তাছাড়া আর কখনো মিথ্যা কথা বলিনি। একদা আমীরুল মুমিনীন ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) আমাকে আমার পরিধেয় পোষাক সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, এটা কত দিয়ে কিনেছি? আমি দুই-তৃতীয়াংশ মূল্য কমিয়ে বলেছিলাম।[37] তাবে তাবেঈ আবূ আব্দুর রহমান আল-খুরাইবী (মৃ. ২১৩) বলেন, আমি যিন্দেগীতে শুধু একবারই মিথ্যা বলেছি। আববু আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তুমি কি ওস্তাযের সামনে ইবারত পড়েছিলে?’ আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ। অথচ আমি ইবারত পড়িনি।[38] সুবহানাল্লাহ। অথচ আমরা হরহামেশা কত মিথ্যা কথা বলে থাকি। আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন।
(১৯) বাজারে প্রবেশের দো‘আ পড়া :
হাট-বাজার দুনিয়াবী কর্মকান্ড এবং গাফেলতির জায়গা। এখানে গেলে মানুষ কদাচিৎ আল্লাহকে স্মরণে রাখতে পারে। যারা মানুষের গাফেলতির সময় আল্লাহকে স্মরণ করতে পারে, তারা সত্যিকারার্থে আল্লাহর প্রিয়ভাজন বান্দা। ফলে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাতের প্রাসাদ সহ মহা প্রতিদান। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন,مَنْ قَالَ فِي السُّوقِ: لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ، لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الحَمْدُ، يُحْيِي وَيُمِيتُ وَهُوَ حَيٌّ لَا يَمُوتُ، بِيَدِهِ الخَيْرُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ، كَتَبَ اللهُ لَهُ أَلْفَ أَلْفِ حَسَنَةٍ، وَمَحَا عَنْهُ أَلْفَ أَلْفِ سَيِّئَةٍ، وَبَنَى لَهُ بَيْتًا فِي الجَنَّةِ، ‘যে ব্যক্তি বাজারে গিয়ে বলে, ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহূ লা-শারীকা লাহূ লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ইউহয়ী ওয়া ইউমীতু, ওয়াহুওয়া হায়য়ুন, লা-ইয়ামূতু, বিয়াদিহিল খয়রু, ওয়াহুয়া ‘আলা-কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর’ (অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোন মা’বূদ নেই, তিনি এক, তাঁর কোন শরীক নেই। তিনিই সব কিছুর ধারক এবং তাঁর জন্যই সকল প্রশংসা। তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু দেন। তিনি চিরঞ্জীব, তিনি কখনো মৃত্যুবরণ করবেন না। তাঁর হাতেই যাবতীয় কল্যাণ, তিনি সব কিছুর উপরে ক্ষমতাবান) আল্লাহ তার জন্য দশ লক্ষ নেকী বরাদ্দ করেন, তার দশ লক্ষ গুনাহ মাফ করেন এবং তার জন্য জান্নাতে একখানা ঘর তৈরী করেন’।[39]
(২০) অন্যকে জান্নাতে প্রাসাদ নির্মাণকারী আমল শিক্ষা দেওয়া :
অপরকে কোন নেক আমলের শিক্ষা দিলে সে ব্যক্তি যদি আমলটি সম্পাদন করে, তবে শিক্ষাদানকারী ব্যক্তি তার পূর্ণ নেকী লাভ করে থাকে। রাসূলুল্লহ (ছাঃ) বলেন,مَنْ دَلَّ عَلَى خَيْرٍ فَلَهُ مِثْلُ أَجْرِ فَاعِلِهِ، ‘যে ব্যক্তি অন্য কোন মানুষকে কোন নেক কাজের পথ দেখায় (উৎসাহিত করে), সে ঐ নেক কাজ সম্পাদনকারীর সমান ছওয়াব পায়’।[40] অর্থাৎ কেউ যদি আলোচিত আমলগুলো কাউকে শিখায় এবং সে যদি আমলটি সম্পাদন করে, তবে শিক্ষাদানকারী বান্দা আমলটি সম্পাদন না করেই শুধু শিক্ষাদানের কারণে জান্নাতী প্রাসাদের মালিক হ’তে পারবে।
মহান আল্লাহ আমাদের জন্য জান্নাতের পথকে সহজ করে দিন, আলোচিত আমলগুলো নিজেরা সম্পাদন করে অপরকেও সেগুলো শিখানোর তাওফীক্ব দান করুন, তাঁর অবাধ্যতা থেকে দূরে থেকে তাঁর অনুগত্যের মাধ্যমে যিন্দেগানীর সফর শেষ করার সুযোগ দান করুন এবং আজীবন ছিরাতে মুস্তাক্বীমে অটল থেকে আমাদেরকে জান্নাতুল ফেরদাউসের যোগ্য বাসিন্দা হওয়ার তাওফীক্ব দান করুন- আমীন!
আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ
এম.ফিল গবেষক, আরবী বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষক,
আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী।
[1]. তাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওসাত্ব হা/৫৭৯৭; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৮৯২, সনদ ছহীহ।
[2]. ইবনু মাজাহ হা/৯৯৫, সনদ ছহীহ।
[3]. মুসলিম হা/১১৬৩; মিশকাতা হ/২০৩৯।
[4]. তিরমিযী হা/১৯৮৪; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/২৫৭৪৩, সনদ হাসান।
[5]. আবূদাঊদ হা/১৩০৭; ছহীহুত তারগীব হা/৬৩২, সনদ ছহীহ।
[6]. আহমাদ ইবনে হাম্বল, কিতাবুয যুহদ, পৃ. ২৪৭।
[7]. যাহাবী, সিয়ারু আ‘লামিন নুবালা ৮/৪৩৫।
[8]. আবূদাঊদ হা/৪৮০০; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৭৬৫৩, সনদ হাসান। রাবী আবূ উমামা বাহেলী (রাঃ)।
[9]. মুসলিম হা/৭৭১; নাসাঈ হা/৮৯৭।
[10]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৮১৮৪; ছহীহুল জামে‘ হা/১৩০৭, সনদ ছহীহ।
[11]. তিরমিযী ২০০৪; মিশকাতা হা/৪৮৩২, সনদ হাসান।
[12]. ইবনুল ক্বাইয়িম, আল-ফাওয়াইদ, পৃ:৫৪।
[13]. ছহীহ ইবনু হিববান হা/৫০৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৯৪৭, সনদ ছহীহ।
[14]. যাহাবী, তারীখুল ইসলাম ৫/২৭৪।
[15]. ইবনে তায়মিয়া, কিতাবুল ঈমান, পৃ. ১৭৮।
[16]. ছহীহ ইবনু হিববান হা/৫০৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৯৪৭, সনদ ছহীহ।
[17]. তাবারাণী, আল-মু‘জামুল কাবীর ২৭৬৩; ছহীহাহ হা/১৪৬৫, সনদ ছহীহ।
[18]. বুখারী হা/১২; মুসলিম হা/৩৯।
[19]. তিরমিযী হা/১৯৮৪; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/২৫৭৪৩, সনদ হাসান।
[20]. ইবনু হাযার আসক্বালানী, ফাৎহুল বারী ৪/১১৭।
[21]. গাযালী, ইহ্ইয়াউ উলূমিদ্দীন ১/২৩৬।
[22]. বুখারী হা/৬৬৪৩; মুসলিম হা/৮১১।
[23]. দারেমী হা/৩৪২৯; হাদীছটি প্রখ্যাত তাবেঈ সাঈদ ইবনুল মুসাইয়িব (রহঃ) থেকে মুরসাল সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। হাদীছটির রিজাল বুখারী-মুসলিমের এবং ছিক্বাত। আলবানী হাদীছটিকে হাসান বলেছেন।
[24]. সিলসিলা ছহীহাহ হা/৫৮৯; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪৭২, সনদ হাসান।
[25]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/২৩০৭; মুস্তাদরাকে হাকেম হা/২০৭৯; ছহীহুত তারগীব হা/১৪৭৮, সনদ ছহীহ।
[26]. বুখারী হা/৬৬০; মুসলিম হা/১০৩১; মিশকাত হা/৭০১।
[27]. আবূদাঊদ হা/৩৫২৭; মিশকাত হা/৫০১২, সনদ ছহীহ।
[28]. আল-আদাবুল মুফরাদ হা/৩৪৫; ছহীহুত তারগীব হা/৩৪৭৪, সনদ হাসান।
[29]. বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, ১৩/৫০৮, হা/১০৬৯৭, সনদ হাসান।
[30]. ইবনু আবিদ্দুনয়া, আল-ইখওয়ান, পৃ. ৫০।
[31]. তিরমিযী হা/১০২১; ছহীহাহ হা/১৪০৮, সনদ হাসান।
[32]. আবূদাঊদ হা/৪৮০০; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৭৬৫৩, সনদ হাসান। রাবী আবূ উমামা বাহেলী (রাঃ)।
[33]. শামসুদ্দীন ইবনে মুফলিহ, আল-আদাবুশ শার‘ইয়াহ, ২/২২০।
[34]. আবূদাঊদ হা/৪৮০০; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/৭৬৫৩, সনদ হাসান। রাবী আবূ উমামা বাহেলী (রাঃ)।
[35]. খাত্তাবী, মা‘আলিমুস সুনান ৪/১১০ পৃ:।
[36]. তাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওসাত হা/৫১০৩; ছহীহুত তারগীব হা/২৯৩৯, সনদ ছহীহ লিগায়রিহী। রাবী আবূ হুরায়রা (রাঃ)।
[37]. ইবনু আবিদ্দুনয়া, কিতাবুছ ছামত, পৃ. ২৫৩।
[38]. শামসুদ্দীন যাহাবী, তাযকিরাতুল হুফফায ১/২৪৭।
[39]. তিরমিযী হা/৩৪২৯; মিশকাত হা/২৪৩১। সনদ হাসান।
[40]. মুসলিম হা/১৮৯৩।