উত্তর : এটি আল্লাহর জন্য ছিয়ামের কারণে হয়ে থাকে, অন্য কারণে নয়। ফলে সেটি আল্লাহর নিকটে অতীব প্রিয়। যদিও দুর্গন্ধ হওয়ার কারণে মানুষের নিকট অপ্রিয়। অবশ্য এর অর্থ এটা নয় যে, ছায়েমকে তার মুখ দুর্গন্ধযুক্ত রাখতে হবে। বরং সে প্রয়োজনে সকাল-বিকাল নিয়মিত মিসওয়াক করবে, যাতে দুর্গন্ধ না হয়। কেননা সে মিসওয়াক করুক বা না করুক, ক্বিয়ামতের দিন তার মুখ অবশ্যই মিশকের খোশবুর চাইতে সুগন্ধিময় হবে। এর মাধ্যমে আল্লাহর নিকটে ছিয়ামের উচ্চ মর্যাদা প্রমাণিত হয়।
‘মিসওয়াক’ দ্বারা প্রচলিত কাঁচা বা শুকনা ডালের মিসওয়াক ও পেস্ট-ব্রাশ সবকিছুকে বুঝায়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘যদি আমার উম্মতের উপর কষ্টকর মনে না হ’ত, তাহ’লে আমি তাদেরকে এশার ছালাত দেরীতে এবং প্রতি ছালাতে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম’ (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/৩৭৬)। এখানে ‘প্রতি ছালাতে’ অর্থ ‘প্রতি ছালাতের ওযূতে’। যেমন অন্য বর্ণনায় ব্যাখ্যা এসেছে (আহমাদ হা/৭৫০৪; ইরওয়া হা/৭০)। অত্র হাদীছ মেনে চললে ছায়েমের মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার অবকাশ থাকবে না।
কিছু ভাই মুছাল্লায় দাঁড়িয়ে পকেট থেকে সরু যয়তুন ডাল বের করে দ্রুত মিসওয়াক শেষে কুলি না করেই মিসওয়াকটি পুনরায় পকেটে রেখে ছালাত পড়েন। তিনি ভাবেন, সুন্নাত আদায়ের নেকী পেলাম। অথচ এটি পবিত্রতার বিরোধী। আর এটি রাসূল (ছাঃ)-এর তরীকাও নয়। কেননা তিনি বলেন, ‘মিসওয়াক হ’ল মুখ পবিত্রকারী এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকারী’ (নাসাঈ হা/৫; আহমাদ হা/২৪২৪৯; মিশকাত হা/৩৮১)। অর্থাৎ আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম।
প্রশ্নকারী : সোহেল, কুমিল্লা।